<p>সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ করে আক্রমণাত্মক কথা বলা এবং তাকে ‘ক্লাউন’ হিসেবে উল্লেখ করা মালদ্বীপের দুই মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর দপ্তরে পদত্যাগপত্র জমা দেন তারা।</p> <p>অব্যাহতি নেওয়া দুই মন্ত্রীর নাম মারিয়াম শিউনা ও মালশা শরিফ। ব্যক্তিগত কারণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান তারা। মালদ্বীপ সরকারের একজন কর্মকর্তা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মালদ্বীপে জয়শঙ্কর, মুইজুর সঙ্গে বৈঠকের পর যা বললেন" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/08/10/1723291233-40ca8a691e6b3cf5dea9f0e80e8cde93.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মালদ্বীপে জয়শঙ্কর, মুইজুর সঙ্গে বৈঠকের পর যা বললেন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/08/10/1413494" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এর আগে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ভ্রমণ শেষে ফিরে ভারত মহাসাগরের তীরে অবস্থিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই দ্বীপটির কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেন মোদি। তার সেসব ছবি শেয়ারের পরপরই শোরগোল পড়ে যায় মালদ্বীপের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। দেশটির সাধারণ নেটিজেনদের পাশাপাশি এতে জড়িয়ে পড়েন মালদ্বীপের কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা-মন্ত্রিসভার সদস্যরাও। তাদের অভিযোগ, ভারতীয় পর্যটকরা যেন মালদ্বীপের পরিবর্তে লাক্ষাদ্বীপকে নিজেদের পর্যটনগন্তব্য হিসেবে বেছে নেন—ছবির মাধ্যমে সেই বার্তাই দিয়েছেন মোদি।</p> <p>তাদের অভিযোগের পাল্টা জবাব দিতে সরব হয়ে ওঠেন ভারতীয় নেটিজেনরাও। পর্যটন গন্তব্য হিসেবে মালদ্বীপকে বয়কটের ডাক দেন তারা। এক্স, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘বয়কটমালদ্বীপ’ হ্যাশট্যাগে রীতিমতো সয়লাব হয়ে যায়। তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে মালদ্বীপের অর্থনীতিতে। এত দিন বিশ্বের যেসব দেশ থেকে পর্যটকরা মালদ্বীপে যেতেন, তাদের অর্ধেকই ছিলেন ভারতীয়। কিন্তু মালদ্বীপকে বয়কটের ডাক দেওয়ার পর চলতি বছর থেকে দেশটিতে ভারতীয় পর্যটকের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে কমে যায়। ফলে শুধু পর্যটন খাতনির্ভর এই দেশটির অর্থনীতির মূলে আঘাত আসে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মালদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে ভারত" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/03/12/1710230835-089fae6aac91639ad05535909be82bc4.gif" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মালদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে ভারত</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/03/12/1370902" target="_blank"> </a></div> </div> <p>প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর মন্ত্রিসভার তিনজন সদস্যের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মোদিকে উদ্দেশ করে অবমাননাকর মন্তব্য এবং তাকে ‘ক্লাউন’ বলে উল্লেখ করার অভিযোগ ওঠে। এরা হলেন মারিয়াম শিউনা, মালসা শরিফ ও মাহজুম মজিদ। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে অবমাননাকর বক্তব্যের অভিযোগে এই তিনজনকেই গত জানুয়ারি মাসে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে মারিয়াম ও মালসা মন্ত্রিসভা থেকে মঙ্গলবার অব্যাহতি নিলেন। মাহজুম মাজিদ এখনো পদত্যাগপত্র জমা দেননি।</p> <p>সূত্র : এএফপি</p>