<p>দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম জার্মানির কোনো স্থায়ী সেনাঘাঁটি তৈরি হচ্ছে দেশের বাইরে। জার্মানি ও লিথুয়ানিয়ার কর্মকর্তারা সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই সেনাঘাঁটির কথা ঘোষণা করেন।</p> <p>ঘোষণায় জানানো হয়, ২০২৭ সালের মধ্যে এই ঘাঁটি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হবে। এরপর সেখানে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত চার হাজার জার্মান সেনা স্থায়ীভাবে থাকতে শুরু করবেন।</p> <p>উল্লেখ্য, যেখানে এই সেনাঘাঁটি তৈরি হচ্ছে, তা বেলারুশ সীমান্তের কাছে। বেলারুশ রাশিয়ার বন্ধু। ফলে জার্মানির এই নতুন সেনাঘাঁটি নিয়ে বেলারুশ ও রাশিয়া আপত্তি জানাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।</p> <p>জার্মানির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই দেশেই আরেকটি কোনো জায়গায় আরেকটি ছোট ঘাঁটি তৈরি হবে। সেখানে আরো এক হাজার জার্মান সেনা থাকতে পারবেন।</p> <p>ইউক্রেনে রাশিয়া আক্রমণ চালানোর পরই লিথুয়ানিয়ায় সেনাঘাঁটি তৈরির পরিকল্পনা করেছিল জার্মানি। ঠিক হয়েছিল, ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত কোনো দেশে জার্মানি সেনাঘাঁটি তৈরি করবে। কারণ রাশিয়া পুরনো সোভিয়েত দেশগুলোর ওপর হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল।</p> <p>লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াস থেকে সামান্য দূরে রুডনিনকাইয়ে এই সেনাঘাঁটি তৈরি হচ্ছে। আর বেলারুশের সীমান্ত থেকে এই ঘাঁটির দূরত্ব মাত্র ২০ কিলোমিটার।</p> <p>এদিনের অনুষ্ঠানে বেলারুশের প্রধানমন্ত্রী ইনগ্রিদ সিমোনাইট বলেছেন, ‘আমরা সুরক্ষিত না থাকলে কেউ সুরক্ষিত নন।’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টও করেছেন তিনি। সেখানে বলেছেন, অন্যকে হুমকি দেওয়ার জন্য নয়, নিজেদের সুরক্ষিত রাখতেই এই সেনাঘাঁটি তৈরি করা হচ্ছে।</p> <p>চলতি বছরে মানুষের কর বাড়িয়ে লিথুয়ানিয়া প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়িয়েছে। মোট জিডিপির প্রায় ৩ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে বাড়ানো হয়েছে। লিথুয়ানিয়ার সেনাপ্রধান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, জার্মানির এই সেনাঘাঁটি তৈরি করতে এক বিলিয়ন ইউরো খরচ করা হচ্ছে। লিথুয়ানিয়ার ইতিহাসে যা সবচেয়ে খরচ সাপেক্ষ কোনো কাঠামো।</p> <p>এখন পর্যন্ত এই ঘাঁটি তৈরির জন্য লিথুয়ানিয়াকে এক-পঞ্চমাংশ অর্থ দিয়েছে জার্মানি। এই বছরের শেষে আরো অর্থ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তারা। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ করা যাবে না।</p> <p>জার্মানির প্রতিরক্ষা বাজেটও বাড়ানো হবে বলে পার্লামেন্টে আলোচনা হয়েছিল। ঠিক হয়েছিল ২.৯৩ বিলিয়ন ইউরো প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়ানো হবে। ১০০টি ২এ৮ লিওপার্ড ট্যাংক কেনা হবে বলে জানানো হয়েছে। যার অনেকগুলো লিথুয়ানিয়ায় পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছিল।</p>