<p>আংশিকভাবে হলেও রুমানিয়া এবং বুলগেরিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যোগদানের এক দশকেরও বেশি পরে রবিবার ভিসামুক্ত শেঙেন জোনে ব্লকের বাকি সদস্যদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। তবে এটা শুধু আকাশ ও সমুদ্রপথেই সীমাবদ্ধ। </p> <p>দেশ দুটো থেকে ভ্রমণকারীরা সমুদ্র বা আকাশপথে ভ্রমণের সময় ভিসা ও পাসপোর্ট নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে যাওয়ার বদলে এমনিতেই শেঙেনভুক্ত বাকি অংশগুলোতে যেতে সক্ষম হবে। একইভাবে শেঙেনভুক্ত অন্যান্য দেশ থেকেও রুমানিয়া ও বুলগেরিয়াতে যাওয়া যাবে।</p> <p>অস্ট্রিয়ার ভেটোর কারণে স্থলপথকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ইইউর বাইরে থেকে আসা অভিবাসীরা আরো সহজে অন্যান্য ইইউ দেশে প্রবেশ করতে পারবে—এই আতঙ্ক থেকে প্রস্তাবে সায় দেয়নি অস্ট্রিয়া।</p> <p><strong><span style="background-color:#ecf0f1;">আরো পড়ুন : </span><a href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2023/12/28/1349865"><span style="color:#3498db;"><span style="background-color:#ecf0f1;">আকাশ ও সমুদ্রপথে শেঙেনে যুক্ত হচ্ছে রুমানিয়া-বুলগেরিয়া</span></span></a></strong></p> <p>ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডের লায়েন শনিবার বলেছেন, ‘এটা উভয় দেশের জন্যই বড় সাফল্য।’ তাঁর কথায়, ‘শেঙেন এলাকার জন্য এটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত। সারা বিশ্বের মধ্যে অবাধ চলাচলের ক্ষেত্রে এটা বৃহত্তম একটি এলাকা। সব নাগরিকের কথা ভেবে আরো শক্তিশালী, আরো ঐক্যবদ্ধ ইউরোপ তৈরি করছি।’</p> <p>শেঙেন এলাকায় ২৫টি অন্যান্য ইইউ সদস্য রাষ্ট্রের সঙ্গে ইইউভুক্ত নয় এমন দেশ সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, আইসল্যান্ড ও লিশটেনস্টাইনও রয়েছে।</p> <p><strong>শেঙেনে সম্পূর্ণ অন্তর্ভুক্তির জন্য চাপ</strong><br /> রুমানিয়া বলেছে, তারা ভুয়া যাতায়াতের নথি জব্দ করতে এবং মানবপাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে যখন-তখন নজরদারি চালাবে।</p> <p>দুই দেশ আশা করছে, বছরের শেষ নাগাদ তারা শেঙেন এলাকার পূর্ণ সদস্য হবে। তারাই একমাত্র ইইউ সদস্য রাষ্ট্র যারা শেঙেনের সব রকম সুবিধা পায় না। এমনকি রুমানিয়া ও বুলগেরিয়ার পরে ব্লকে যোগ দেওয়া ক্রোয়েশিয়াও গত বছরের জানুয়ারিতে শেঙেন এলাকায় সম্পূর্ণভাবে গৃহীত হয়েছে।</p> <p>রুমানিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কাতালিন প্রিদোইউ রবিবার রুমানিয়ার সংবাদমাধ্যম নিউজ ডট আরওকে বলেছেন, ‘একাধিক কূটনৈতিক আলাপের মাধ্যমে স্থল সীমান্তের সঙ্গে (শেঙেনে) যোগদানের বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত করার জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাব।’</p> <p>রুমানিয়ার প্রধান সড়ক পরিবহন ইউনিয়ন ইউএনটিআরআর বলেছে, হাঙ্গেরির সীমান্তে গড় অপেক্ষার সময়সীমা ১৬ ঘণ্টা। এর ফলে পণ্যবাহী ট্রাকচালকরা সমস্যায় পড়েন একাধিকবার। সেক্রেটারি জেনারেল রাদু দিনেস্কু বলেছেন, ‘সীমান্তে দীর্ঘ অপেক্ষার কারণে প্রতিবছর রুমানীয়দের কোটি কোটি ইউরো ক্ষতি হচ্ছে।’</p> <p>অন্যদিকে বুলগেরীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের হতাশা প্রকাশ করেছে। বুলগেরিয়ান ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্যাপিটাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইসিএ) ভ্যাসিল ভেলেভ বলেন, ‘বুলগেরীয় পণ্যের মাত্র তিন শতাংশ আকাশ ও সমুদ্রপথে পরিবহন করা হয়, বাকি ৯৭ শতাংশ স্থলপথে পরিবহন করা হয়।’</p>