<p style="text-align:justify">টি-টোয়েন্টি সংস্করণের যুগে টেস্টের জনপ্রিয়তা অনেকটা কমে এসেছে। এর অন্যতম কারণ দীর্ঘ সময় ধরে ক্রিকেটের আদি সংস্করণ দেখার সময় এখন দর্শক-সমর্থকদের হাতে নেই। শুধু দর্শক-সমর্থক অবশ্য নন, খেলোয়াড়দেরও এখন আগ্রহ কমে গেছে। তাই দীর্ঘ সংস্করণে দর্শকদের আগ্রহী করে তুলতে নতুন পন্থা খুঁজছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।</p> <p style="text-align:justify">তার ফল হিসেবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে আইসিসি। যাতে চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্যে হওয়ার লক্ষ্যে খেলোয়াড়দের মধ্যে টেস্টে আগ্রহ এবং দলগুলোর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ে। এবার এই টুর্নামেন্ট নিয়েই উচ্চাভিলাষী একটা প্রস্তাব দিয়েছেন নাথান লায়ন। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল তিন ম্যাচের করার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।</p> <p style="text-align:justify">লায়নের এই প্রস্তাব দেওয়ার পেছনে অবশ্য যথেষ্ট কারণ আছে। ফাইনালের ভেন্যু নিয়ে অনেক সময় দলগুলো প্রশ্ন তুলে। কারণ এশিয়া মহাদেশের মাটিতে ম্যাচ হলে স্পিন সহায়ক বলে অভিযোগ থাকে। আবার ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মাঠে হলে পেস সহায়ক বলে অভিযোগ ওঠে। তাই সব দলের সমান সুযোগ-সুবিধার কথা বিবেচনা করে তিন ম্যাচের ফাইনাল আয়োজন করার কথা জানিয়েছেন লায়ন।</p> <p style="text-align:justify">আইসিসির এক ভিডিওতে কিংবদন্তি স্পিনার লায়ন বলেছেন, ‘একটি বিষয় বলতে চাই। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল তিন ম্যাচ সিরিজ হওয়া উচিত। এটা কিছুটা ভালো হতে পারে। কারণ অনেক সময় এক সেশনে টেস্ট হেরে যাওয়ার সুযোগ থাকে। যদি এটা (তিন ম্যাচ) থাকে তাহলে ম্যাচে ফেরার সুযোগ থাকে। আপনি আধিপত্য দেখিয়ে ৩-০ করতে পারবেন। আমাদের হাতে সময় যথেষ্ট না থাকায় এটা চ্যালেঞ্জ হতে পারে। তবে আমি এটা পরিবর্তন করতে চাই।’</p> <p style="text-align:justify">তিন ভেন্যুর কন্ডিশন তিন রকম হবে, চ্যালেঞ্জ এবং রোমাঞ্চ বাড়বে বলে মনে করেন লায়ন। এতে করে কোনো দলই পরিচিত কন্ডিশনের সুবিধা নিতে পারবে না। সঙ্গে অবশ্য লজিস্টিক চ্যালেঞ্জের কথাও জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান অফস্পিনার। তিনি বলেছেন, ‘সম্ভাব্য হিসেবে একটা ইংল্যান্ড, ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া হতে পারে। আপনার কাছে সব কন্ডিশন থাকতেছে। তবে সব কিছুর চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সময়।’</p>