<p style="text-align: justify;">গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পর্তুগালকে ২-০ গোলে হারিয়েছে জর্জিয়া। প্রথমবারের মতো ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপে খেলতে এসে শেষ ষোলোতে উঠে ইতিহাস রচনা করলো তারা।</p> <p style="text-align: justify;">আগেই শেষ ষোলো নিশ্চিত ছিল পর্তুগালের। যে কারণে কোচ রবার্তো মার্টিনেজ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে  মাঠে নামাননি সেরা খেলোয়াড়দের। অন্যদিকে শেষ ষোলোতে যেতে জয় ছাড়া কোনো উপায় ছিল না জর্জিয়ার। পর্তুগালের মতো দলের বিরুদ্ধে নামলেও তারা যে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলবে তা ম্যাচের শুরুতেই বুঝিয়ে দেয় তারা। ২ মিনিটের মাথায় পর্তুগালের ডিফেন্ডার আন্তোনিয়ো সিলভার ভুল পাস ধরে বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের শটে গোল করে জর্জিয়াকে এগিয়ে দেন নাপোলির মিডফিল্ডার কাভিচা কাভারেসখেলিয়া।</p> <p style="text-align: justify;">গোল শোধ করতে মরিয়া উঠে পর্তুগাল। ১৭ মিনিটের মাথায় প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে নেয়া রোনালদোর ফ্রি কিক আটকে দেন জর্জিয়ার গোলরক্ষক। ২৩ মিনিটে পালিনহার শটও রুখে দেন গোলরক্ষক। ম্যাচের ২৮ মিনিটে ডি-বক্সে রোনালদোর জার্সি টেনে ধরলেও পেনাল্টি দেননি রেফারি। প্রতিবাদ জানাতে গেলে উল্টো তাকে হলুদ কার্ড দেখানো হয়। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় জর্জিয়া।</p> <p style="text-align: justify;"><br /> বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণ বাড়ায় রোনালদোরা। কিন্তু ৫০ মিনিটে আবারও গোলের সুযোগ পায় জর্জিয়া। তবে এবার সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি কাভারেসখেলিয়া। তিন মিনিট পরেই আবার ভুল করেন সিলভা। লোকাসভিলিকে বক্সে ফাউল করেন তিনি। ভার দেখে রেফারি পেনাল্টি দেন। এ বার গোল করতে ভুল করেনি জর্জিয়া। ঠান্ডা মাথায় ২-০ করেন মাকুতাদজে।</p> <p style="text-align: justify;">৬৫ মিনিটে রোনালদোর বদলি হিসেবে গনচালো রামোসকে নামান কোচ। কোচের সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি তিনি। বোঝা যাচ্ছিল, যথেষ্ট বিরক্ত হয়েছেন তিনি। শেষ দিকে কিছু গোলের সুযোগ পেয়েও গোল করতে পারেনি ২০১৬ চ্যাম্পিয়নরা। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলে জেতে তৃতীয় হয়ে পরের রাউন্ডে উঠলো জর্জিয়া।</p> <p style="text-align: justify;">শেষ ষোলোতে আগামী ২ জুলাই স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে খেলবে পর্তুগাল</p>