<article> <p>দেশ ছাড়ার আগে নাজমুল হোসেন শান্তরা জানতেন এক রকম, আর যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই শুনলেন আরেক রকম। এখান থেকে জেনে গিয়েছিলেন বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ম্যাচ তিনটিই। কিন্তু গতকাল ভোরে তাঁরা হিউস্টনে পৌঁছানোর আগেই বিশ্বকাপের অফিশিয়াল ওয়ার্ম আপের সূচি ঘোষণার পর দেখা যাচ্ছে একই দলের সঙ্গে ম্যাচসংখ্যা আরেকটি বেড়ে হয়ে গেছে চারটি।</p> <p><img alt="চার ম্যাচের ‘সিরিজ’ চায়নি বাংলাদেশ" height="134" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/05.May/07-05-2024/Rif/18-07-2024-p14-2.jpg" width="137" />২৮ মে সেই ম্যাচের আগে দ্বিপক্ষীয় সিরিজেই একে অন্যের সঙ্গে তিনবার দেখা হয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের। ২১, ২৩ ও ২৫ মে ম্যাচগুলো হবে হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে। এর তিন দিনের মধ্যেই তাদের জন্য নির্ধারিত দুটি ওয়ার্ম আপ ম্যাচের প্রথমটিতেই প্রতিপক্ষ সেই মার্কিনিরাই। এই ম্যাচটি হবে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচের ভেন্যু ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে। দ্বিপক্ষীয় সিরিজ দিয়ে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি সেরে নেওয়ার পর আবার যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হতে অবশ্য আগ্রহী ছিল না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।</p> </article> <article> <p>তারা চায়নি শেষ পর্যন্ত চার ম্যাচের ‘সিরিজ’ হয়ে যাক। আইসিসিকে তারা বিষয়টি জানিয়েছিলও। কিন্তু বিশ্বক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিকল্প যে দলের সঙ্গে ওয়ার্ম আপ ম্যাচ খেলাতে চেয়েছিল, তাতেও সম্মতি দেয়নি বিসিবি। আইসিসি তৃতীয় আর কোনো দলকে না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে আবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেই খেলতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস।</p> </article> <article> <p>গত সন্ধ্যায় তিনি কালের কণ্ঠকে বলছিলেন, ‘আমরা চাচ্ছিলাম না যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিশ্বকাপের অফিশিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচটি খেলতে। যেহেতু এর আগেই আমরা ওদের সঙ্গে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলছি। এরপর আমাদের নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে খেলার প্রস্তুাব দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও আমরা রাজি হইনি। কারণ ডাচরা তো আমাদের গ্রুপেই আছে। আমরা ওদের সঙ্গে খেলতে না চাওয়ায় আইসিসি চেষ্টা করেছে অন্য কোনো দলের সঙ্গে খেলার ব্যবস্থা করা যায় কি না। সেটি না পারায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেই খেলতে হচ্ছে।’</p> </article> <article> <p>খেলতে হলেও এর একটি সুবিধার দিকও দেখছেন জালাল, ‘একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচই তো। কতক্ষণের আর ব্যাপার! অসুবিধা নেই। কারণ ম্যাচটি আমরা খেলব বিশ্বকাপে আমাদের প্রথম ম্যাচের (৭ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে) ভেন্যুতে। কাজেই ওখানকার উইকেট নিয়ে আগেই স্বচ্ছ ধারণা পেয়ে যাবে আমাদের দল।’ বাংলাদেশের দ্বিতীয় ওয়ার্ম আপ ম্যাচের প্রতিপক্ষ ভারত। আগামী ১ জুন হবে সেই ম্যাচ। নিউ ইয়র্কের নতুন নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি হবে বলে নানা মাধ্যমে প্রকাশিত হলেও আইসিসি এখনো এই ম্যাচের ভেন্যু জানায়নি। তবে এই ম্যাচটিও যুক্তরাষ্ট্রেই হবে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।</p> <p>ভারত ম্যাচ নাসাউ কাউন্টিতে হোক বা না হোক, ‘ডি’ গ্রুপে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ম্যাচটি সেখানেই। ১০ জুনের ম্যাচে প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। ডালাস ও নিউ ইয়র্কে খেলে নাজমুলরা গ্রুপের শেষ দুটি ম্যাচ খেলতে যাবেন ক্যারিবীয় দ্বীপ সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডিনসে। সেখানে বাংলাদেশের অপেক্ষায় থাকবে নেদারল্যান্ডস ও নেপাল। এর আগে আগামী মঙ্গলবার থেকে প্রেইরি ভিউ কমপ্লেক্সে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাচ্ছে পুরোদমে। ১০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার এই স্টেডিয়ামে এর আগে চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হয়েছে। প্রথম ইনিংসে ১৭২ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬১ রানের গড় সংগ্রহ দেখে বোঝা যায়, ব্যাটারদের হাত খুলে খেলার সব রসদই আছে এই মাঠে।</p> </article>