<p>কভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে ইউরোপের ক্লাবগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। যার ফলে সেভাবে খেলোয়াড় কেনাবেচায় টাকা ঢালতে পারেনি ক্লাবগুলো। ২০২২ সালে কিছুটা পারলেও ২০২৩ সালে তা বেড়ে গেছে দ্বিগুণ। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ২০২৩ সালে খেলোয়াড় কেনাবেচায় সবচেয়ে বেশি খরচ করেছে ক্লাবগুলো। ফিফার গ্লোবাল ট্রান্সফার রিপোর্টে এমনটা তুলে ধরেছে।</p> <p>২০২৩ সালে খেলোয়াড় কেনাবেচায় ক্লাবগুলোর খরচ হয়েছে রেকর্ড ৯৬৩ কোটি ডলার। যা ২০২২ সালের তুলনায় ৪৮.১ শতাংশ বেশি। ছাড়িয়ে গেছে আগের সব রেকর্ড। আগের রেকর্ড ছিল ২০১৯ সালে, তার চেয়ে ২০০ কোটি ডলারের বেশি খরচ হয়েছে গত বছর।</p> <p>প্রতিবেদনে তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি খরচ করেছে ইংল্যান্ডের ক্লাবগুলো। তাদের খরচ ২৯৬ কোটি ডলার। এর পরের অবস্থানেই আছে সৌদি আরবের ক্লাবগুলো। সৌদির ক্লাবগুলোর খরচের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার তথ্য অবাক করার মতো। ২০২২ সালে খরচ করেছিল মাত্র পাঁচ কোটি চার লাখ ডলার। এক বছরের ব্যবধানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭ কোটি ডলারে। গত বছর ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো আল নাসরে নাম লেখানোর পর থেকেই সৌদির ফুটবল পেয়েছে নতুন বেগ। রোনালদোর পর একে একে এই লিগে নাম লেখান নেইমার, সাদিও মানে, রিয়াদ মাহরেজ, রবার্তো ফিরমিনোরা। তাদের দলে টানতেই অর্থের ঝাঁপি নিয়ে মাঠে নামতে হয়েছে সৌদির ক্লাবগুলোর। </p> <p>ফিফা জানিয়েছে, শীর্ষ ১০ খেলোয়াড়ের দলবদলের ফি ২০২৩ সালে ক্লাবগুলোর মোট খরচের ১০ শতাংশ। বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে জুড বেলিংহামের রিয়াল মাদ্রিদে আসা, টটেনহাম থেকে হ্যারি কেইনের বায়ার্ন মিউনিখে, এনজো ফার্নান্দেসের চেলসিতে যাওয়া বড় প্রভাব ফেলেছে।  </p> <p>২০২২ সালে দলবদলে সবচেয়ে বেশি ফি পেয়েছে জার্মানির ক্লাবগুলো। ১২১ কোটি নিয়ে তারা আছে শীর্ষে। এ ছাড়া ফ্রান্স ১১৯ কোটি, ইংল্যান্ড ১০৪ কোটি, এবং ইতালির ক্লাবগুলোর ফি ১০২ কোটি ডলার। এবারই প্রথম এক বছরে কোনো দেশের ক্লাবগুলো ১০০ কোটির বেশি আয় করল। ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি খরচ করেছে চেলসি। এর পরের অবস্থানে আছে পিএসজি, লিভারপুল, রিয়াল মাদ্রিদ ও বায়ার্ন মিউনিখ।</p> <p>রেকর্ড হয়েছে নারী ফুটবলার দলবদলেও। ২০২২ সালের তুলনায় গত বছর মেয়েদের ফুটবলে ২০ শতাংশ বেশি খেলোয়াড় দলবদল হয়েছে। যেখানে ক্লাবের সংখ্যাও বেড়েছে। ২০২২ সালে ক্লাবের সংখ্যা ৫০৭, সেখান থেকে বেড়ে ২০২৩ সালে হয়েছে ৬২৩। তাতে বার্ষিক ব্যয় হয়েছে ৬১ লাখ ডলার, ২০২২ সালের তুলনায় যা ৮৪.২ শতাংশ বেশি। ফিফা</p>