<p>কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের গরিব বিধবা ইয়াছমিন আক্তারের (৩৮) দুই ছেলে ও এক মেয়ে। সন্তানরা সবাই স্কুলে পড়াশোনা করেন। বছরখানেক আগে স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে সন্তানাদি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অসহায় ইয়াছমিন। স্বামীর মৃত্যুরে পরই বড় ছেলে নাঈম (১৩) স্কুলে যাওয়ার পাশাপাশি রিকশার গ্যারেজে যুক্ত হয়ে সংসারের হাল ধরার চেষ্টা করেছে। এর পরও অভাব-অনটনের সংসারে ঠিকমতো খাবার জোগানো, পড়াশোনাসহ অন্যান্য খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছে ইয়াছমিনের পরিবার। এ অবস্থায় দরিদ্র পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। ইয়াছমিনের হাতে তুলে দিয়েছে একটি সেলাই মেশিন।</p> <p>আজ শুক্রবার দুপুরে কালের কণ্ঠ শুভসংঘের সদস্যরা ইয়াছমিনের বাড়িতে গিয়ে গ্রামের গণ্যমান্যদের উপস্থিতিতে বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় এ সেলাই মেশিন হস্তান্তর করেন।</p> <p>সেলাই মেশিন পেয়ে উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে ইয়াছমিন বলেন, 'স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই নিজে কিছু করার মতো এ ধরনের একটি পথ খুঁজছিলাম। এই সেলাই মেশিন চালিয়ে পরিবারকে আর্থিক সচ্ছল ও স্বাবলম্বী করতে পারব। এহন সংসারও চালানো সহজ হইব ও ছেলে-মেয়ের পড়াশোনার খরচও চালাইতে পারব।'</p> <p>ইয়াছমিন জানান, স্বামী মানুষের কাজকর্ম করে সংসার চালাইত। স্বামীর মৃত্যুর পর আকালে পড়ে যান তারা। বৃদ্ধা শাশুড়ি ও বাবার বাড়ির সামান্য সাহায্যে টেনেটুনে চলছিলেন। কিন্তু তাতে সংসারের খরচ জোগানো যেত না।</p> <p>ইয়াছমিনের বৃদ্ধ শাশুড়ি জাহানারা খাতুন বলেন, 'এটা সেলাই মেশিন নয়, এটা যেন ভাগ্য পরিবর্তনের মেশিন আমাদের জন্য। এখন থেইকা সেলাই করে সংসারের খরচ ও ছেলে-মেয়ের পড়াশোনার খরচও চালাইতে পারব। বসুন্ধরা গ্রুপের জন্য এহন থেইকা নামাজ শেষে দুই হাত তুইল্লা দোয়া করব। যেন আল্লাহ তাদের সব সময় ভালো রাখে।'</p> <p>মেশিন হস্তান্তরের সময় বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানিয়ে এলাকার বাসিন্দা ইব্রাহীম খলিল বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপ সব সময় মানুষের পাশে থাকে। অসহায়দের খুঁজে বের করে যেভাবে বসুন্ধরা স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করছে, তা নজিরবিহীন। তাদের এই কল্যাণমূলক কাজের ধারা অব্যাহত থাকুক এটাই কামনা করি।'</p>