<p style="text-align:justify">সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ও ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার মো. হারুন অর রশীদসহ ১৫ জনকে আসামি করে মামলার আবেদন করা হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে এবং দুই বছর আগে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশি অভিযানের নামে লুটপাট ও ডাকাতির অভিযোগে এ মামলার আবেদন করা হয় বলে জানা গেছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মূল্যস্ফীতি কমাতে জরুরি পদক্ষেপের নির্দেশনা দিলেন অর্থ উপদেষ্টা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/08/14/1723621827-adaf0ad2e085c835a82b2f021fe236ae.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মূল্যস্ফীতি কমাতে জরুরি পদক্ষেপের নির্দেশনা দিলেন অর্থ উপদেষ্টা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/business/2024/08/14/1414852" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">আজ বুধবার (১৪ আগস্ট) সকালে বিএনপির নেতাকর্মীদের মামলা ও তথ্য সংগ্রহ কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন খান পল্টন থানায় মামলার আবেদন করেন। সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন খান। তিনি বর্তমানে বিএনপির পুলিশ ও মামলা সংক্রান্ত নানা দিক দেখভাল করছেন। অভিযোগসমূহ গ্রহন করেছেন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেন্টু মিয়া।</p> <p style="text-align:justify">মামলার বাকি আসামিরা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। কেউ কেউ ইতোমধ্যে অন্যত্র বদলিও হয়ে গেছেন।</p> <p style="text-align:justify">২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর ও ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই দুইবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশি তল্লাশির নামে ডাকাতি, লুটপাট ও ভাঙচুরের অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify"> </p> <p style="text-align:justify">তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ আপনারা জানেন, ২০০৯ সাল থেকে ’২৪ সাল পর্যন্ত পুলিশ অফিসারা অনেক মিথ্যা মামলা দিয়েছে, হয়রানি করেছেন, আমাদেরকে গুম করেছে। সর্বশেষ ২০২২ সালের একটি ঘটনা নিয়ে এসেছি। হারুন অর রশিদ, মেহেদি হাসান, বিপ্লব কুমার এরা আমাদের অফিসের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আমাদের অফিসের সব মালামাল নিয়ে যায়। প্রায় ৪৭ লক্ষ টাকার মালামাল ডাকাতি করেছে। আর তিন লক্ষ ৫০ টাকার মালামাল নষ্টু করেছে।</p> <p style="text-align:justify">সেই সংক্রান্ত একটা মামলার অভিযোগ আজকে আমরা এখানে এফআইআর জমা দিয়েছি।” ‘‘ দ্বিতীয়টা ১৬ জুলাই। সেদিন ডিবির হারুন অর রশিদ ডিএমপির মেহেদি হাসান, বিপ্লব কুমার দাস এরা অস্ত্র তৈরি করার হাতিয়ারসহ বিভিন্ন অবৈধ অস্ত্র, গোলা বারুদ নিয়ে আমাদের কার্যালয়ে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ স্যারের রক্ষে রাখে, তৃতীয় তলা অবৈধ বোম রাখে। একটা নাটক সাজিয়ে তারা বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায়।</p> <p style="text-align:justify">এই যে তারা (পুলিশ কর্মকর্তারা) অবৈধ অস্ত্র, গোলা বারুদ, বোম রাখলো। কার্যালয়ের বাইরে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভয়ভীতি দেখালো তার একটি অভিযোগ নিয়ে আমরা এসেছি। আমরা ডিউটি অফিসার এসআই মিজানুর রহমানের সাথে কথা বলেছি। পরে ওসি সেন্টু মিয়া অভিযোগগুলো গ্রহন করেছেন। মামলা নম্বর ১ এবং ২ ।”</p> <p style="text-align:justify">মামলা বিবাদীরা হলেন, পুলিশের আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা প্রধান) হারুন অর রশিদ, ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারমী রেজাউল আলম, হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার(কাউন্টার টেররিমজম) আসাদুজ্জামান, যুগ্ম কমিশনার(ডিবি) খন্দকার নুরন্নবী, সনজিত কুমার রায়, যুগ্ম পুলিশ কমিশার(ডিএমপি) বিপ্লব কুমার দাস, মেহেদি হাসান, উপ পুলিশ কমিশনার(সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন) তারিক বিন রশিদ, উপ পুলিশ কমিশনার(মতিঝিল জোন) হায়াতুল ইসলাম খান, এডিসি(সোয়াট টিম) জাহিদুল ইসলাম, এসি (মতিঝিল জোন) গোলাম রুহানী, পল্টন মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন মিয়া, এসআই (পল্টন মডেল থানা) মিজানুর রহমান।</p> <p style="text-align:justify">ঘটনার বিবরণে বলা হয়, ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশ প্রবেশ করে লুটপাট ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে। অভিযোগপত্রে বলা হয়, ডাকাতি যাওয়া মালামালের মূল্য ৪৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং এতে ক্ষতির পরিমান দেওয়া হয়েছে তিন লাখ ৫২ হাজার ৫শ টাকা। এই অভিযোগ পুলিশ প্রধানসহ ১৫জনকে বিবাদী করা হয়।</p> <p style="text-align:justify">আরেকটি অভিযোগে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ১৬ জুলাই ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন সাদা পোষাকে সদস্যরা নয়া পল্টনের অফিসে প্রবেশ করে এবং বাইরে আওয়ামী লীগের সশ্বস্ত্র ক্যাডাররা অস্ত্র-গোলা বারুদ, বাঁশের লাঠিশোটা, রড,পিস্তল নিয়ে মহড়া দেয়। তারা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তচনচ এবং অবৈধ অস্ত্র-সস্ত্র রেখে দেয়। তারা দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ মহানগর নেতৃবৃন্দকে আসামী করে মিথ্যা মামলা দায়ের করে।</p> <p style="text-align:justify">এই অভিযোগ হারুন অর রশিদ ছাড়াও ডিএমপির ১৬ জন কর্মকর্তা নাম দেওয়া হয়। এরা হলেন, উপ পুলিশ কমিশনার মো. মহিদ কবির সেরনিয়াবাত, অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার মো. আফসার উদ্দিন খান, সাইফুল ইসলাম, সহকারি পুলিশ কমিশনার এরশাদুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক(নিরস্ত্র) কবির হোসেন চৌধুরী, এসআই মনিরুজ্জামান, নুরুল ইসলাম, ফরমান আলী, এএসআই স্বপন মিয়া, রেজাউল করীম, এরশাদ আলী, রবিউল ইসলাম, ইব্রাহিম শেখ, কনস্টেবল শহিদুল ইসলাম, খোরশেদ আলম, মেহেদি হাসান মাসুদ।</p> <p style="text-align:justify">অভিযোগ দেওয়ার সময়ে সাবেক ছাত্র নেতা শরীফুল ইসলাম শাওন, তারেক আহমেদ ও মিজানুর রহমান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।</p> <p style="text-align:justify">এর আগে, ১৩ আগস্ট কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়ে ঢাকার মোহাম্মদপুরে মুদি দোকানদার আবু সায়েদকে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগে আরেক মামলা এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে মোহাম্মদপুর থানাকে নির্দেশ দেন আদালত।</p> <p style="text-align:justify">ওইদিন সকালে আবু সায়েদকে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে এস এম আমীর হামজা নামে একব্যক্তি আবেদনটি করেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সরকারকে সংস্কারে সময় দিতে চায় আওয়ামী লীগও" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/08/14/1723601996-b9ced947964b4803fad0335e1ab28315.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সরকারকে সংস্কারে সময় দিতে চায় আওয়ামী লীগও</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2024/08/14/1414786" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">এ মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন- সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ ও ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।</p>