<p>ইতালি যেতে আগ্রহী বেশিরভাগ কর্মীর পাসপোর্ট দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার ইতালি দূতাবাসে আটকে রয়েছে। ফলে এসব কর্মীরা নানা ধরনের ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। কর্মীরা এ ভোগান্তি থেকে মুক্তির জন্য দ্রুত তাদের আটকে থাকা পাসপোর্টগুলো ফেরতের দাবি জানিয়েছে। </p> <p>আজ সোমবার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত ইতালি দূতাবাসের সামনে ভুক্তভোগী কর্মীদের আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানান ভুক্তভোগী কর্মীরা।</p> <p>এ সময় কর্মীরা বলেন, এখানে অনেক কর্মী মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে বসবাস করত। ইতালি যাওয়ার ইচ্ছায় তারা দেশে ফিরেছিল। ইতালি থেকে স্পন্সর ভিসা নিয়ে ভিএফএস গ্লোবালের মাধ্যমে তারা ইতালি দূতাবাস বরাবর পাসপোর্ট জমা দেয়। কিন্তু দেড় থেকে দুই বছর পার হয়ে গেলেও তারা তাদের পাসপোর্ট ও ভিসা কোনোটাই পাননি। এতে বেশিরভাগ কর্মীর ইতালির অনুমোদনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। এমনিক অনেকের মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। এতে তারা নানা ধরনের ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। </p> <p>ভুক্তভোগীরা দাবি করেন, ইতালি রাষ্ট্রদূত দ্রুত তাদের ইতালির ভিসা দিক, না হয় পাসপোর্ট ফেরত দিয়ে তাদের হয়রানি মুক্ত করুক।</p> <p>ভুক্তভোগী দিনার বলেন, ‘আমরা এ দেশেও থাকতে পারছি না, অন্য দেশেও যেতে পারছি না। আমাদের সবার ভিসার মেয়াদ প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। দূতাবাস আমাদের পাসপোর্ট আটকে রেখেছে। তারা যদি আমাদের ভিসা না দিয়ে পাসপোর্টগুলো ফেরত দিতো, তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে ফিরে যেতে পারতাম। আমাদের দাবি, হয় দ্রুত ভিসা দিক, না হয় ভিসা বাতিল করে পাসপোর্ট ফেরত দিক।’</p> <p>আরেক ভুক্তভোগী ইমাম হোসেন রতন বলেন, ‘দূতাবাসে আমাদের পাসপোর্ট জমা আছে। আমরা ভিএফএস গ্লোবালে গেলে তারা বলে এটা আমাদের কোনো দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। আপনারা দূতাবাসে যোগাযোগ করেন। কিন্তু দূতাবাসে আমাদের ঢুকতে দেয় না, কথা বলার কেউ নাই। আমরা আমাদের চাকরি হারাতে চাই না। তাই আমাদের ভিসা দিক, না হয় পাসপোর্ট ফেরত দিক।’ </p> <p>মানববন্ধনের বিষয়ে গুলশান থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘মানবন্ধন করতে আসা কর্মীদের দূতাবাস থেকে মানববন্ধন করতে নিষেধ করা হয়েছিল। আমি যোগাযোগ করেছিলাম যাতে প্রতিনিধি নিয়ে বসা যায়। কিন্তু দূতাবাস থেকে বলা হয়েছে যেহেতু মানববন্ধন করে ফেলেছে এখন আর কারো সঙ্গে বসতে তারা আগ্রহী না।’</p>