<article> <p style="text-align: justify;">পরিবার পরিকল্পনা সেবা বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকারভুক্ত কার্যক্রম হলেও তা বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তিন থেকে চার মাস ধরে পরিবার পরিকল্পনা সেবাসামগ্রী ও ওষুধের মজুদে সংকট চলছে। মাঠ পর্যায় থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় পর্যায়েও এই সংকট চলছে। এতে সরকারের পরিবার পরিকল্পনা সেবা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হওয়া এবং এই খাতের অগ্রগতি হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।</p> <p style="text-align: justify;"><img alt="সামগ্রীর সংকটে সেবা বাধাগ্রস্তের শঙ্কা" height="360" src="https://www.kalerkantho.com/_next/image?url=https%3A%2F%2Fcdn.kalerkantho.com%2Fpublic%2Fnews_images%2F2024%2F01%2F20%2F1705779679-d7daff3d0d4cb66382e68d9f0808cbd6.jpg&w=1920&q=100" width="600" /></p> </article> <p style="text-align: justify;">সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, বর্তমানে দেশের অর্ধেকের বেশি উপজেলায় পরিবার পরিকল্পনা সেবাসামগ্রী কনডম, খাবার বড়ি, ইনজেকশনসহ মা ও শিশু স্বাস্থ্য ওষুধসামগ্রীর মজুদে শূন্যতা বিরাজ করছে। এর মধ্যে ৩৪৯টি উপজেলা স্টোরে কোনো কনডম নেই। আর ৯৭টি উপজেলায় শিগগিরই এই মজুদ শূন্য হবে। এ ছাড়া ২২টি উপজেলা স্টোরে সর্বনিম্ন মজুদ রয়েছে।</p> <p style="text-align: justify;">দেশের ৩৮টি উপজেলা স্টোরে কোনো খাবার বড়ি (সুখী) নেই। আর ২০৭টি উপজেলা স্টোরে সর্বনিম্ন মজুদ রয়েছে। ১০৫টি উপজেলা স্টোরে শিগগিরই এই মজুদ শূন্য হবে। দেশের ৬৭টি উপজেলা স্টোরে কোনো খাবার বড়ি (আপন) নেই।</p> <p style="text-align: justify;">আর ১০২টি উপজেলা স্টোরে শিগগিরই এই মজুদ শূন্য হবে। এ ছাড়া ৯৯টি উপজেলা স্টোরে সর্বনিম্ন মজুদ রয়েছে। দেশের ২৯৮টি উপজেলা স্টোরে কোনো ইনজেকশন নেই। আর ১৫৫টি উপজেলা স্টোরে শিগগিরই মজুদ শূন্য হবে। এ ছাড়া ৩৩টি উপজেলা স্টোরে সর্বনিম্ন মজুদ রয়েছে।</p> <article> <p style="text-align: justify;">সূত্র জানায়, দেশের ৪৭৬টি উপজেলা স্টোরে মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম উপকরণ ডিডিএস কিট নেই। আর ১৬টি উপজেলা স্টোরে এই কিটের মজুদ শিগগিরই শূন্য হবে। এ ছাড়া দুটি উপজেলা স্টোরে সর্বনিম্ন মজুদ রয়েছে। স্বাভাবিক প্রসব সেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সাধারণ ডেলিভারি কিটের মজুদ ৩৭৫টি উপজেলা স্টোরে শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আর ১৯টি উপজেলা স্টোরে শিগগিরই মজুদ শূন্য হবে। এ ছাড়া ২৭টি উপজেলা স্টোরে সর্বনিম্ন মজুদ রয়েছে।</p> <p style="text-align: justify;">এ বিষয়ে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (অর্থ) ও লাইন ডাইরেক্টর (এফপি-এফএসডি) সোহেল পারভেজ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘গেল বছরের মে মাসে আমি এই পদে যোগদান করি। যোগদানের পর এ পর্যন্ত জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ক্রয়ের বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করলেও সফল হতে পারিনি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ক্রয় করার জন্য এখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু সরকারের বিধি অনুযায়ী এই ক্রয় সম্পন্ন করে মাল পেতে তিন থেকে চার মাস সময় লাগতে পারে।’</p> <p style="text-align: justify;">পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপকরণ ও সরবরাহ বিভাগের পরিচালক মার্জিয়া হক বলেন, ‘নারী ও শিশু স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট ওষুধ এবং পরিবার পরিকল্পনা সেবাসামগ্রীর মজুদ কিছুটা কম রয়েছে। বিশেষ করে কনডম ও পিলের সরবরাহ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তবে মজুদ বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই সংকট কাটানো সম্ভব হবে বলে আমরা আশা করছি।’</p> </article>