<p>বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকটের বিপরীতে পাওয়া অপর্যাপ্ত অর্থ সহায়তায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা। ‘স্টেট অফ দ্য হিউম্যানিটারিয়ান সিস্টেম রিপোর্ট ২০২২: বাংলাদেশ প্রোপট’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নিয়ে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।</p> <p>আজ শনিবার রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের রেজাউল করিম চৌধুরী।</p> <p>এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লন্ডনভিত্তিক সংগঠন এএনএলএপি-এর প্রতিনিধি জেনিফার ডোহার্টি। সেমিনারে বক্তৃতা করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিজ গোয়েন লুইস, ব্রিটিশ হাই কমিশনের কাউন্সিলর সাইমন লিভার, আইওএম বাংলাদেশে ডেপুটি চিফ অব মিশন নুসরাত গাজ্জালি, ব্র্যাকের সিনিয়র ডিরেক্টর-অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেঞ্জ কে এ এম মোরশেদ, দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ গওহর নঈম ওয়ারা, টিয়ারফান্ডের আঞ্চলিক পরিচালক সঞ্জীব বানজা, স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশের সাজিদ রহমান, এ আইড্রিম-ইন্ডিয়ার মিহির ভাট প্রমূখ।</p> <p>সেমিনারে জেনিফার ডোহার্টি বলেন, বিশ্বব্যাপী সংঘাত, বিপর্যয় এবং স্থানচ্যুতি বেড়েছে। জোরপূর্বক বাস্তচ্যুতি ২০২১ সালে দ্বিগুণ হয়ে ৮৯.৩ মিলিয়ন হয়েছে। বর্তমানে ১৬১ মিলিয়ন মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মুখোমুখি। ২০২১ সালে মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫৫ মিলিয়ন ডলার। ২০২৩ সালে তা ৩৩৯ মিলিয়নে চলে যেতে পারে। ২০২১ সালে যে অর্থ সহায়তা পাওয়া যায়, তা ছিল প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। অন্যদিকে মানবিক কর্মীদের ওপর আক্রমণ ৬৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বৈশ্বিক মানবিক সহায়তার পুরো ব্যবস্থাপনাতেই দুর্বলতা প্রকট আকার ধারণ করেছে।</p> <p>মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান ঘূর্ণিঝড়-সম্পর্কিত মৃত্যুর সংখ্যায় উল্লেখযোগ্য হ্রাসের বিষয়টি তুলে ধরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের অগ্রগতির হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ভূমিকম্প ও ভূমিধ্বস মোকাবেলায় আরো সতর্কতা প্রয়োজন। রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।</p> <p>সেমিনারে আলোচকরা রোহিঙ্গা কর্মসূচিতে সীমিত অর্থায়নের প্রভাব মোকাবেলায় কম খরচে যথাসম্ভব উত্তম সেবা প্রদানের ওপর জোর দেন। সঠিক সময়ে সঠিক মানুষের কাছে সহায়তা পৌঁছানো নিশ্চিত করার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগ নেওয়ার সুপারিশ করেন তারা। তারা কার্যকর মানবিক প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে সু-সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।</p>