<p>রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে নারীরা এখনও অনেক পিছিয়ে আছে। যে পদ্ধতিতে নারীদের সংসদ ও স্থানীয় সরকারে স্থান দেওয়া হয়, সে পদ্ধতিটি সঠিক নয়। এর ফলে নারীদের রাজনৈতিক বিকাশ ঘটে না। এ পদ্ধতি বদলানো দরকার, তাহলেই সত্যিকার অর্থে নারীদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন হবে। নারীরা যদি রাষ্ট্রীয় নীতি প্রণয়নে ভূমিকা রাখতে পারে, তাহলে নারীদের পরিপূর্ণ অগ্রগতি হবে। নারীদের অধিকার নারীদেরই আদায় করে নিতে হবে। নারীদের আরো আত্মনির্ভরশীল হতে হবে।</p> <p>এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকার রমনায় অবস্থিত ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ মিলনায়তনে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম-এর উদ্যোগে আলোচনাসভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।</p> <p>জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ও গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. বদিউল আলম মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে  স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সমপাদক নাছিমা আক্তার জলি। অনুষ্ঠানে অপরাজেয় বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ওয়াহিদা বানু, বাংলাদেশের ওমেন হেলথ কোয়ালিশনের শরীফ মোস্তফা হেলালসহ জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের নেত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সকাল ১০টায় বেলুন উড়ানোর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। আলোচনা সভা শেষে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের পক্ষ থেকে দুইজন কৃর্তী নারীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এঁরা হলেন- দৈনিক ইত্তেফাক এবং পাক্ষিক অনন্যা ম্যাগজিনের সম্পাদক তাসমিমা হোসেন এবং প্রতিবন্ধীদের অধিকার আদায়ের লড়াকু সৈনিক সাবরিনা সুলতানা।</p> <p>অনুষ্ঠানে তাসমিমা হোসেন বলেন, নারী উন্নয়ন নিশ্চিত করা, নারীর ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা এবং বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে জেন্ডার বৈষম্য হ্রাসে তাঁর অবিরত কার্যক্রম উপস্থাপন করে নারীদের উদ্দশ্য করে বলেন, 'আমাদের অধিকার আমাদেরই আদায় করে নিতে হবে।'</p> <p>তিনি অনন্যা সম্মাননা পুরস্কার বিষয়ে বলেন, 'সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পাক্ষিক অনন্যা থেকে আমরা যখন প্রথমবারের মতো ১০ জন নারীদের সম্মাননা দেওয়া শুরু করি, তখন অনেকে আমাকে বলেছে প্রতিবছর এতো নারী পাওয়া যাবে না। কিন্তু নারীরা এখন সম্মাননা দেওয়ার মতো অনেক চমৎকার কাজ করছে যে পুরস্কার দিতে গিয়ে আমাদের অনেক চিন্তা-ভাবনা করতে হয়।'</p> <p>সাবরিনা সুলতানা বলেন, 'সমাজে নারীরা বঞ্চিত, নির্যাতিত ও নিপীড়িত। বিশেষ করে প্রতিবন্ধী নারীরা আরও বেশি বঞ্চনা ও নির্যাতনের শিকার। সমাজে তাদের কোন শখ থাকতে পারবে না, নিজের ইচ্ছার বহি:প্রকাশ ঘটাতে পারবে না। এমনকি সমাজে বিয়ে কিংবা  সন্তান জন্ম দেয়ার অধিকারটুকুও নেই। তাই সবাইকে প্রতিবন্ধী নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে।'</p>