ঢাকা, শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫
২৮ আষাঢ় ১৪৩২, ১৬ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫
২৮ আষাঢ় ১৪৩২, ১৬ মহররম ১৪৪৭

মুক্তিযুদ্ধের প্রথম এনিমেশন চলচ্চিত্র

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মুক্তিযুদ্ধের প্রথম এনিমেশন চলচ্চিত্র

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তৈরি হচ্ছে দেশের প্রথম এনিমেশন সিনেমা। আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে এই এনিমেশন সিনেমা তৈরি করছেন একাধিক অস্কার মনোনয়নপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রে কাজ করা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নির্মাতা ওয়াহিদ ইবনে রেজা। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আল আমীন দেওয়ান

মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন। এই অর্জনটাই অনুপ্রেরণা।

লাঠি-বল্লম নিয়ে ট্যাংকের সঙ্গে লড়াই করেছে এ দেশের মানুষ। ওয়াহিদ ইবনে রেজার বললেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে আন্ডারডগদের এমন বিজয়ের নমুনা খুব কমই আছে। ভিজ্যুয়ালভাবে বলার জন্য এমন বিজয় দুর্দান্ত গল্পের কথা বলে।’

‘সারভাইভিং ৭১’ নামকরণ কেন?
নির্মাতা বলছেন, একটা যুদ্ধ আসলে খুব ভয়াবহ একটি ব্যাপার।

যারা এর মধ্য দিয়ে যায় তারাই একমাত্র বুঝতে পারে। যুদ্ধে আমরা আসলে বেঁচে থাকার লড়াই করি। এই সিনেমায় সেটাই তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই এমন নামকরণ। গল্পের প্লটে বাস্তবতা আর কল্পনার মিশ্রণ আছে।
বাস্তব অংশটুকু নেওয়া হয়েছে নির্মাতার বাবা অধ্যাপক মোহাম্মদ রেজাউল করিমের নিজের যুদ্ধকালীন ঘটনাবলি থেকে। এ ছাড়া অন্যান্য অংশটুকুও বাস্তব ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত। সিনেমাটির দৈর্ঘ্যে ১৫ মিনিটের মতো হবে। ভবিষ্যতে ফিচার লেন্থ বা মিনি সিরিজ হতে পারে। ভিজ্যুয়াল ট্রেইলারে যেমন প্রকাশ করা হয়েছে, কাঠামোটা তেমনি থাকবে।

সিনেমাটির চরিত্র ও অভিনয়শিল্পী যাঁরা
‘সারভাইভিং ৭১’ সিনেমায় ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবে আছেন জয়া আহসান, মেহের আফরোজ শাওন, তানযীর তুহিন, গাউসুল আলম শাওন, সামির আহসান, অনিক খান ও ওয়াহিদ ইবনে রেজা। এ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ শর্টফিল্মের জন্য মেহের আফরোজ শাওনের ভয়েসটি রেকর্ড করা হয়েছে। বাকি সবার ভয়েস নেওয়ার কাজ চলছে। এ ছাড়া টিজারে অতিথি ভয়েস শিল্পী হিসেবে রয়েছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, আরিফ আর হোসেন, সাদাত হোসাইন এবং কাজী পিয়াল। এতে অতিথি ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবে থাকবেন আরো অনেকেই।

মূল চরিত্র
চলচ্চিত্রটিতে তিনটি মূল চরিত্র, যাঁদের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের তিনটি দিক দেখানো হবে। ওয়াহিদ বলছেন, যুদ্ধের সিনেমায় আসলে আলাদা করে নায়ক-নায়িকা বলা মুশকিল। চরিত্রের বিস্তারিত মুক্তির পর জানা যাবে।

যেভাবে তৈরি হচ্ছে ‘সারভাইভিং ৭১’
সিনেমাটির চিত্রনাট্য শেষ হয় ২০১৭ সালের নভেম্বরে। ২০১৮ চলে গেছে প্রি-প্রডাকশন, কনসেপ্ট ইত্যাদিতে। টিজার ট্রেইলারের এনিমেশনের কাজ শুরু হয় গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে।

প্রথমে তৈরি হয় কনসেপ্ট। চরিত্র, প্রপোস থেকে শুরু করে নানা রকমের ডিজাইন। তারপর স্টোরিবোর্ড। এনিমেশনের ফিল্ম বানানোর এই ধাপটাকে বলে প্রি-প্রডাকশন।

ওয়াহিদ বলছেন, ‘যেহেতু এ রকম একটা প্রজেক্টে বেশ সময় দিতে হয় এবং অনেকের অনেক রকম ব্যস্ততা ছিল, দল থেকে সরে গেছেন বেশ কয়েকজন। থেকে গেলেন প্রডাকশন ডিজাইনার শরিফুল ইসলাম তামিম আর কনসেপ্ট আর্টিস্ট নাভিদ এফ রাহমান। আমরা তিনজন মিলেই কাজ শুরু করলাম প্রাথমিক ডিজাইনের।

প্রথমে নির্ধারণ করতে হয় কী রকম হয় এনিমেশনের স্টাইলটি। রঙের প্যালেট কী রকম হবে, ব্যাকগ্রাউন্ড কী রকম হবে ইত্যাদি খুব ডিটেইলভাবে শেয়ার করলাম তামিমের সঙ্গে। আমাদের লক্ষ্য ছিল আমরা প্রথমে দেড় মিনিটের একটা ফার্স্ট লুক টিজার বানাব, যা দেখে দর্শক সিনেমার ধরন, এনিমেশনের ধরন ইত্যাদি বুঝতে পারবে। আর সেটা দেখিয়ে চলচ্চিত্রটির ১৫ মিনিটের জন্য ফান্ডিং চাইতে পারব।’

সে হিসেবেই কাজ শুরু করেন ওয়াহিদ। তিনি বলেন, ‘ব্যাকগ্রাউন্ডের জন্য রেফারেন্স হিসেবে দেখলাম বাংলাদেশের ল্যান্ডস্কেপের ছবি, যা থেকে রঙের প্যালেটেরও একটা ভালো ধারণা পাওয়া গেল। চরিত্রের ডিজাইন করতে গিয়ে পড়লাম মুশকিলে। কেন যেন কিছুতেই হচ্ছিল না। চুল, চোখ, পোশাক-আশাকের ধরন মিল ছিল না একেবারে। আমরা তখন ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধাদের ছবি দেখা শুরু করলাম। এনিমেশন ছবিতে কনসেপ্ট কিন্তু আঁকা হয় বাস্তব মডেলের ওপর ভিত্তি করে। ঠিক করলাম আমরাও সেটাই করব। এতে এক ধরনের শ্রদ্ধাও জানানো যাবে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই টিজারের জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজাইনটা সহজ হয়ে গেল। আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, যানবাহন ইত্যাদির সূত্রও গ্রহণ করলাম মুক্তিযুদ্ধের ছবি থেকে। আর পাকিস্তানি সেনাদের জন্য সম্পূর্ণ অন্য রকমভাবে চিন্তা করলাম। ডিজাইনের পুরো কাজটা একাই করলেন তামিম। কানাডার টরন্টোয় বসে লোগো ও থিমেটিক পোস্টার করেন নাভিদ। এরপর কাজ শুরু হলো স্টোরিবোর্ডের। দৃশ্য ধরে ধরে সংক্ষিপ্ত তালিকা করে দিলেন ওয়াহিদ। সেটা অনুযায়ী প্রথমে রাফ স্কেচ এবং পরে ফাইনাল স্কেচ করলেন তামিম। একই সঙ্গে করে ফেললেন ব্যাকগ্রাউন্ড ও এনিমেটিকের কাজ। আর এরই সঙ্গে শেষ হলো ছবির প্রি-প্রডাকশনের ধাপ। এরপর প্রডাকশন! সাউন্ড ও মিউজিকে প্রথমে কিছু রাফ ট্র্যাক করে সাহায্য করলেন তনয়। পরে সাউন্ড ডিজাইনার হিসেবে দলে যোগ দিলেন রাজেশ সাহা এবং রিপন নাথের স্টুডিও ‘সাউন্ডবক্স’। অনেক কষ্ট করে, ক্ষেত্রবিশেষে ভয়েস আর্টিস্টদের বাসায় বা অফিসে গিয়েও রেকর্ড করে এলেন রাজেশ। খুব চমৎকার সাউন্ড ডিজাইনের কাজও করলেন তিনি। এদিকে পাশাপাশি মিউজিকে সাহায্যের হাত বাড়ালেন মেঘ দলের গিটারবাদক ও স্টুুডিও ‘কাউবেল’-এর কর্ণধার শোয়েব। একটা মিউজিক বা আবহ সংগীতও দেখতে দেখতে তৈরি হলো। এদিকে ততক্ষণে এনিমেশন টেস্ট শুরু হয়ে গেছে। কাজটি করছে মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন আরিফ। অনেক পরিশ্রম করলেন তিনি ও তাঁর দল। মুরাদকে নিয়ে সাইকোর স্টুডিওতে নিজের থ্রিডি দল নিয়ে একটা ট্রেনের মডেল তৈরি করলেন। করলেন টুডি পরীক্ষাও। কিন্তু প্রায় বেশ কয়েক মাস পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর যেটা বোঝা গেল, যে রকম এনিমেশন তাঁরা বানাতে চাইছেন, তা বাংলাদেশে করতে গেলে অনেক সময় দিতে হবে। এদিকে তত দিনে এক বছরের বেশি সময় চলে গেছে। কয়েক মাসের মধ্যে টিজার শেষ করার কথা! যখন ওয়াহিদ বুঝতে পারলেন বাংলাদেশে এনিমেশনের অংশটুকু করতে পারবেন না, তখন যোগাযোগ করলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ছোট ছোট এনিমেশন স্টুডিওর সঙ্গে। অবশেষে কানাডার হ্যালিফ্যাক্সের একটি এনিমেশন স্ট্রডিও-স্টেলার বোর যুক্ত হলো আমাদের সঙ্গে কাজ করতে। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হলো এনিমেশনের পুরোদস্তুর কাজ। অবশেষে ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ ইউটিউবে প্রকাশিত হয় এনিমেশনটির দেড় মিনিটের টিজার। ভালো সাড়াও মেলে। লাখের বেশি ভিউ হয়েছে সেটির।

মুক্তি পাবে কবে?
করোনার হানায় পিছিয়ে গেছে এনিমেশনটির মুক্তি। তবে ছবি তৈরির তহবিল জোগাড় হয়েছে, কাজের পরিবেশ ফিরলে দ্রুতই তা শেষ করতে চান নির্মাতা। ২০২১ সালের মধ্যে এটির মুক্তির আশা করছেন তাঁরা।

মন্তব্য

ক্রোমের জনপ্রিয়তা কমিয়ে দিতে পারে ওপেনএআইয়ের যে ব্রাউজার, কবে আসছে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ক্রোমের জনপ্রিয়তা কমিয়ে দিতে পারে ওপেনএআইয়ের যে ব্রাউজার, কবে আসছে
সংগৃহীত ছবি

চ্যাটজিপিটির তৈরিকারক প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই নিয়ে আসছে নতুন ব্রাউজার। এআই চালিত এই ওয়েব ব্রাউজার লঞ্চ হওয়ার পূর্বেই গুগলের অন্যতম দাপুটে ব্রাউজার ক্রোমের বিরুদ্ধে বড়সড় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে চলেছে। ব্রাউজারটি শুধু সার্ফিংয়ের অভিজ্ঞতাই বদলে দেবে না, বরং ব্যবহারকারীর পক্ষ থেকে নানা কাজ নিজে থেকেই করতে পারবে।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এই ব্রাউজার বাজারে আসতে চলেছে বলে জানিয়েছে তিন ঘনিষ্ঠ সূত্র।

এটি চ্যাটজিপিটির মতো একটি ইন্টিগ্রেটেড চ্যাট ইন্টারফেসের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ওয়েবসাইটে না গিয়ে সরাসরি তথ্য প্রদান করতে পারবে।

বিশ্বজুড়ে ৩ বিলিয়নেরও বেশি মানুষ বর্তমানে গুগল ক্রোম ব্যবহার করেন। ব্রাউজারটি গুগল প্যারেন্ট কম্পানি অ্যালফাবেট-এর বিজ্ঞাপন ব্যবসার একটি বড় অংশ। কারণ, ক্রোম ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করে টার্গেটেড বিজ্ঞাপন দেখাতে সাহায্য করে, যা কম্পানির রাজস্বের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ।

আরো পড়ুন
ভিডিও আপলোডে যে নিয়ম মানতে হবে ইউটিউবারদের, নয়তো বন্ধ হবে উপার্জন

ভিডিও আপলোডে যে নিয়ম মানতে হবে ইউটিউবারদের, নয়তো বন্ধ হবে উপার্জন

 

কেমন হবে এই ব্রাউজার

সূত্র জানিয়েছে, ওপেনএআই-এর এই ব্রাউজার তৈরি হচ্ছে গুগলেরই ওপেন সোর্স প্ল্যাটফরম ক্রোমিয়ামের ওপর ভিত্তি করে। একই প্ল্যাটফরম ব্যবহার করে তৈরি হয় মাইক্রোসফট এজ এবং অপেরা মতো অন্যান্য ব্রাউজারও। নতুন ব্রাউজারে কম্পানিটির এআই এজেন্ট যেমন ওপারেটরকে সরাসরি কাজে লাগাতে পারবে। যা ব্যবহারকারীর হয়ে ফর্ম পূরণ করা, রিজারভেশন বুক করা কিংবা ই-মেইল লেখা—এই ধরনের কাজ করে দিতে পারবে।

গত বছর মার্কিন আদালত গুগলের বিরুদ্ধে অনলাইন সার্চে অবৈধ একচেটিয়া দখলের অভিযোগে রায় দিয়েছিলেন। মার্কিন বিচার বিভাগ ক্রোম বিক্রি করার নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানায়। যদিও গুগল সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে চায়। এমন সময়ে ওপেনএআই-এর নিজস্ব ব্রাউজার আনার পরিকল্পনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আরো পড়ুন
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রশ্নের ‘বিভ্রান্তিকর’ উত্তর দিচ্ছে এআই

স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রশ্নের ‘বিভ্রান্তিকর’ উত্তর দিচ্ছে এআই

 

প্রসঙ্গত, ওপেনএআই ইতোমধ্যেই অ্যাপলের প্রাক্তন ডিজাইন প্রধান জনি ইভ-এর এআই ডিভাইস স্টার্ট-আপ ‘আইও’ কিনে নিয়েছে।

এর আগেই দুই প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্টকে নিয়োগ করেছে তারা, যারা গুগল ক্রোম নির্মাণে যুক্ত ছিলেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্রাউজারটির আসল শক্তি হবে এর মধ্যে থাকা এআই চালিত এজেন্টরা। যারা ব্যবহারকারীর ওয়েব ব্যবহার বিশ্লেষণ করে নিজে থেকেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। এর ফলে শুধু সার্চ নয়, ব্রাউজিংয়ের অভিজ্ঞতা এবং ব্যক্তিগত কাজ করার পদ্ধতিই আমূল বদলে যেতে পারে।

সূত্র : দ্য ওয়াল

মন্তব্য

ইন্টারনেট ছাড়াই চলবে মেসেজ আদান-প্রদান, আসছে ভিন্ন এক প্ল্যাটফরম

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ইন্টারনেট ছাড়াই চলবে মেসেজ আদান-প্রদান, আসছে ভিন্ন এক প্ল্যাটফরম
সংগৃহীত ছবি

বর্তমানে আমরা মেসেজ আদান-প্রদানের জন্য ইন্টারনেটের ওপরই ভরসা করে থাকি। মোবাইল নেটওয়ার্ক-নির্ভর সাধারণ মেসেজ পাঠানোর ব্যবস্থা এখন অতীত। কারণ মেসেজ এখন আর শুধুই শব্দনির্ভর নয়। এতে থাকে বহু ছবি, ভিডিও কিংবা লিংক বা অন্যান্য অ্যাটাচমেন্ট।

তাই একাধিক ধরনের চ্যাট প্ল্যাটফরমের ওপরেই ভরসা করতে হয় আমাদের। যার জন্য প্রয়োজন পড়ে ইন্টারনেটের।

তবে এবার আসছে ভিন্নতর প্ল্যাটফরম। মেসেজ পাঠাতে মোটেই লাগবে না ইন্টারনেট! সামাজিক মাধ্যম টুইটার (বর্তমান এক্স)-এর উদ্ভাবক জ্যাক ডরসির হাত ধরেই বাজারে আসছে অ্যাপটি।

যার নাম হবে বিটচ্যাট।

ইন্টারনেট নয়, ব্লুটুথ ব্যবহার করেই এখানে পাঠানো যাবে মেসেজ। তবে মেসেজ প্রাপককে থাকতে হবে প্রেরকের ৩০০ মিটারের মধ্যে। টরেন্ট যেভাবে দুই প্রান্তের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে তথ‌্য আদান-প্রদান করে সেভাবেই বিটচ্যাট ডেটা লেনদেন করবে।

আরো পড়ুন
বৃষ্টির জমা পানি পায়ে লেগেছে? শুধু ধুলেই হবে না, আরো যা করতে হবে

বৃষ্টির জমা পানি পায়ে লেগেছে? শুধু ধুলেই হবে না, আরো যা করতে হবে

 

কিভাবে কাজ করবে এই বিটচ্যাট

জানা যাচ্ছে স্টোর অ্যান্ড ফরোয়ার্ড মডেল হিসেবে কাজ করবে এই প্ল্যাটফর্ম। যতক্ষণ সেই ইউজার ‘অ্যাভলেবল’ থাকবেন ততক্ষণ মেসেজটি সেখানে স্টোর থাকবে। আর এ ক্ষেত্রে মেসেজ চালাচালি করতে কোনো ইন্টারনেট সংযোগ থাকার প্রয়োজন পড়বে না।

পাশাপাশি এ ক্ষেত্রে মেসেজ থাকবে ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপ্টেড’। আর মেসেজ পাঠাতে কোনো ফোন নম্বর কিংবা ই-মেইল অ্যাড্রেস, কিছুই লাগবে না।

কেন বিটচ্যাটের আগমনকে এত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে

মূলত এই মুহূর্তে পৃথিবীতে ডিজিটাল প্রাইভেসি নিয়ে নানা আশঙ্কার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। নানা ভাবে হ্যাকারদের দাপট কিংবা আরো নানা ফ্যাক্টর রয়েছে। সে ক্ষেত্রে ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই বার্তা বিনিময়কে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

আরো পড়ুন
কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে যেসব খাবারে

কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে যেসব খাবারে

 

কেবল তাই নয়, হোয়াটসঅ্যাপের দৌরাত্ম্যের মাঝে বিটচ্যাট চেষ্টা করছে মেসেজিংয়ের এক নতুন দিগন্ত খোঁজার। যেখানে স্থানীয়, অজ্ঞাত ও ইন্টারনেটবিহীন বার্তা বিনিময় করা যাবে।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

মন্তব্য

১৮ জুলাই বিনা মূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট পাবেন গ্রাহকরা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
১৮ জুলাই বিনা মূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট পাবেন গ্রাহকরা
সংগৃহীত ছবি

জুলাই আন্দোলন স্মরণে সরকারি উদ্যোগের অংশ হিসেবে আগামী ১৮ জুলাই গ্রাহকদের বিনা মূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) আজ বুধবার অপারেটরদের এই নির্দেশনা দিয়েছে।

আরো পড়ুন
কারওয়ান বাজারে চলছে জামায়াতে ইসলামীর প্রচারণা

কারওয়ান বাজারে চলছে জামায়াতে ইসলামীর প্রচারণা

 

নির্দেশনা অনুসারে, বিনা মূল্যের এই ডেটার মেয়াদ থাকবে পাঁচ দিন। ৮ জুলাই বিটিআরসি কার্যালয়ে এক সভায় এই সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়।

 জনসাধারণের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত করতে এবং ডিজিটাল স্বাধীনতা প্রচারের জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মোবাইল ফোন অপারেটরদের এসএমএসের মাধ্যমে এ বিষয়ে গ্রাহকদের আগাম জানানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বিটিআরসি অপারেটরদের এই পরিকল্পনার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে এবং দিবসটি পালনে সহায়তা করতে অনুরোধ করেছে।

আরো পড়ুন
ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

 

বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স কর্মকর্তা তৈমুর রহমান বলেন, ‘আমরা জুলাইয়ের চেতনা, বিশেষ করে ইন্টারনেট অ্যাক্সেসের ক্ষেত্রে, সমুন্নত রাখতে অত্যন্ত আগ্রহী।

এখন আমরা চিঠিটি পর্যালোচনা করব এবং সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেব।’

অন্য একটি মোবাইল অপারেটরের একজন কর্মকর্তা বলেন, টেলিকম কম্পানিগুলিকে গ্রাহকদের দেওয়া সব ডেটার ওপর ট্যাক্স দিতে হবে। সরকারের উচিত বিনা মূল্যের ডেটা করমুক্ত হবে কি না এই বিষয়টি স্পষ্ট করা।’

এ ছাড়া অপারেটরদের ট্রান্সমিশন এবং অন্যান্য ডেলিভারি খরচ বহন করতে হবে।

তাই বিটিআরসির স্পষ্ট করা উচিত যে অন্য স্টেকহোল্ডাররা এই উদ্যোগকে সমর্থন করার জন্য সহযোগিতা করবে কি না’, যোগ করেন তিনি।

গত বছরের ১৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর দমন-পীড়নের সময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশজুড়ে ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট করে দেয়।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বর্ষায় এসি চালানোর আগে যেসব বিষয় মাথায় রাখা উচিত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বর্ষায় এসি চালানোর আগে যেসব বিষয় মাথায় রাখা উচিত
সংগৃহীত ছবি

বর্ষায় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে যায়। এই সময়ে ঘরে ডাম্প ও ভ‍্যাপসা গন্ধ তৈরি হয়। এ ছাড়াও বর্ষার এই সিজনের প্রভাব ইলেকট্রনিক গ্যাজেটসের ওপরও দেখা যায়। আপনি যদি বর্ষাকালে এসি ব্যবহার করেন, তাহলে কিছু বিষয় সম্পর্ক জানা জরুরি।

বর্ষার এই সময়ে এসি সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে আপনার এসি খারাপ হতে পারে। তবে কিছু জরুরি বিষয় আছে বর্ষার সিজনে এসি ব্যবহারের সময় যেগুলোর খেয়াল রাখা উচিত।

আপনার এসির আউটডোর ইউনিট ছাদ বা বারান্দায় রাখা থাকলে ঝড়-বৃষ্টির সময় সেটিকে ঢেকে রাখুন। তীব্র বৃষ্টি বা ঝড় তুফান থেকে সেটির ক্ষতি হতে পারে, যার ফলে আপনার এসি খারাপ হতে পারে।

তাই পরের বার এসি চালু করার সময় এর তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সেট করাই ভালো। এতে বিদ্যুৎ বিলের বোঝা তো কমবেই, সেই সঙ্গে তা পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী হবে।

আরো পড়ুন
বৃষ্টির জমা পানি পায়ে লেগেছে? শুধু ধুলেই হবে না, আরো যা করতে হবে

বৃষ্টির জমা পানি পায়ে লেগেছে? শুধু ধুলেই হবে না, আরো যা করতে হবে

 

বর্ষাকালে খুব লোডশেডিং হয়। এর ফলে ভোল্টেজ ফ্লাকচুয়েশন হতে পারে।

এসিকে ভোল্টেজ ফ্লাকচুয়েশন থেকে বাঁচানোর জন্য অবশ্যই স্ট্যাবিলাইজার লাগান। স্ট্যাবিলাইজার লাগানোর ফলে ভোল্টেজ ফ্লাকচুয়েশনের সমস্যা হবে না।

বর্ষার সিজনে আর্দ্রতা অনেক বেড়ে যায়। এই সিজনে আপনাকে এসি ড্রাই মোডে ব্যবহার করা উচিত। ড্রাই মোডে এসি ব্যবহার করলে সে আর্দ্রতা শোষণ করে।

এর ফলে ঘর ঠাণ্ডা থাকে। এ ছাড়া ড্রাই মোডে বিদ্যুতেরও কম খরচ হয়।

বর্ষার সিজনে একটানা অনেক ঘণ্টা পর্যন্ত এসি চালানো উচিত নয়। এর ফলে কম্প্রেসারের ওপর বেশি লোড পড়ে, যার কারণে এসিতে সমস্যা হতে পারে। তাই কয়েক ঘণ্টা এসি ব্যবহারের পর সেটি কিছু সময়ের জন্য বন্ধ করে দিতে হবে।

আরো পড়ুন
ব্রেইন স্ট্রোকের আগে কয়েকটি সংকেত

ব্রেইন স্ট্রোকের আগে কয়েকটি সংকেত

 

সূত্র : নিউজ ১৮

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ