<p>কোটা আন্দোলন থেকে রুপ নেয়া অসহযোগ আন্দোলনে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। খবরটি প্রকাশ্যে আসতেই মুহূর্তের মধ্যে শুরু হয় গণ-উল্লাস। সৃষ্টি হয় এক নতুন ইতিহাসের। সারাদেশে বিশেষ করে রাজধানীতে বিজয় উল্লাস করতে দলে দলে নেমে আসে দেশের সকল পেশার সাধারণ মানুষ। এই বিজয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত দেশের তারকারাও। কেউ কেউ নেমে এসেচেন মাঠে। কেউ বা সামাজিক মাধ্যমে দিচ্ছেন বিজয় বার্তা। </p> <p>সরকার পতনের আনন্দে নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘৩৬ জুলাইয়ে স্বাধীন দেশে স্বাগত! কী করে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের স্থপতির কন্যা থেকে পৃথিবীর ইতিহাসে নিকৃষ্টতম এবং নিষ্ঠুরতম স্বৈরশাসকে পরিণত হলো শেখ হাসিনা, এটা ভবিষ্যতে ইতিহাসের ছাত্ররা মনোযোগ দিয়ে পাঠ করবেন এবং রাজনীতিকরা শিক্ষা নেবেন আশা করি।</p> <p>সবাইকে উদার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে নির্মাতা বলেন, ‘আমরা ২০ বছর প্রতিহিংসার রাজনীতি দেখেছি। প্রতিহিংসার উত্তর দেব আমরা কাইন্ডনেস এবং এমপ্যাথি দিয়ে। পাশাপাশি আমরা চোখ খোলা রাখব আগামী দুই-তিন দিন। নিশ্চয়ই আমরা একটা মানবিক গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণের দিকে এগিয়ে যাব।’</p> <p>গতকাল (৫ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণভবন অভিমুখে যাত্রা ঘিরে উত্তেজনার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। বৈঠকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া ও রূপরেখা প্রণয়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। </p> <p>পদত্যাগের পর দুপুর আড়াইটার দিকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার শেখ হাসিনাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। তাঁর সঙ্গে ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারত থেকে তিনি ইউরোপের কোনো দেশে বা লন্ডন যেতে পারে বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে। তবে শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যে আশ্রয় চেয়েছেন বলে খবর দিচ্ছে ভারতের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম।</p>