<p>৪০৬ পর্বে কাল শেষ হবে দীপ্ত টিভির জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ‘জবা’। নাটকটির নাম-ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রেজমিন সেতু। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন সুদীপ কুমার দীপ।</p> <p><strong>‘জবা’র সঙ্গে জার্নিটা কেমন ছিল?</strong><br /> দীপ্ত টিভির পেজে একটা পোস্ট পড়েছিলাম, ‘কে হবে জবা?’ এরপর সেখান থেকে মেইল আইডি নিয়ে আমার ছবি ও বায়োডাটা মেইল করি। কয়েক দিন পর দীপ্তর অফিসে আমাদের অডিশন নেওয়া হয়। শত শত মেয়ের মধ্যে প্রথম ধাপে আমাদের ২০ জনকে রাখা হয়েছিল। জানানো হয় মেইলের মাধ্যমে জানানো হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে মেইল পাই আমরা। আবার অডিশন নেওয়া হলো। তখন টিকলাম ১২ জন। ফের অডিশনের মাধ্যমে ১২ জন থেকে সাতজনকে বাছাই করা হলো। এরপর গাজী রাকায়েত স্যারসহ নাটকের পরিচালক ও অন্যদের নিয়ে একটা টিম তৈরি করা হয়। আমাদের সাতজনকে নিয়ে ১০ দিনের গ্রুমিং করা হলো। সেই গ্রুমিংয়ে আমি আর ফারাহ নামের একজন নির্বাচিত হলাম। কিছুদিন পর মেইলে জানানো হয় ‘জবা’ চরিত্রে টিম আমাকেই চূড়ান্ত করেছে। এই ধারাবাহিকটি আমার অভিনয় জীবনের টার্নিং পয়েন্ট। ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নাটকটির প্রচার শুরু হয়েছে। গত দেড় বছরে আমার ধ্যান-জ্ঞানই ছিল ‘জবা’। কাল নাটকটির শেষ পর্ব প্রচারিত হবে। একটু মায়াও লাগছে, আবার তৃপ্তিও লাগছে। মানুষ আজ আমাকে জবা নামেই চেনে।<br />  <br /> <strong>‘জবা’র আগে আর কোনো কাজ করেননি?</strong><br /> সকাল আহমেদের ‘পিতা বনাম পুত্র গং’ ধারাবাহিকে অভিনয় করেছিলাম। সেখানকার ফুলপরী নামের চরিত্রটিও সফল হয়েছিল। তবে সেটিকে ছাপিয়ে জবা সর্বজন স্বীকৃত। দীপ্ত টিভির ধারাবাহিকগুলোতে সাধারণত নতুনদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। অডিশন দেওয়ার সময়ই তাঁদের জানিয়েছিলাম, ‘পিতা বনাম পুত্র গং’-এ অভিনয় করেছি। তখনো আমি চেনামুখ ছিলাম না বলেই সুযোগটা পেয়েছিলাম।</p> <p><strong>ধারাবাহিকটি করার সময় অন্য কোথাও কাজ করা যাবে না—এমন কোনো শর্ত ছিল কি?</strong><br /> না। আমাকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছিল। তবে আমি অন্য কিছু করার সময়ই পাইনি। সপ্তাহের বেশির ভাগ দিন শুটিং থাকত। যে দু-এক দিন শুটিং থাকত না সে দিনগুলোতেও দীপ্ত টিভির অফিসে যেতে হতো। পান্ডুলিপি নিয়ে বসতে হতো পরের শুটিংয়ের জন্য। ‘জবা’ প্রচার হওয়ার পর থেকে এত এত কাজের প্রস্তাব পেয়েছি, বলে বোঝাতে পারব না। কিন্তু করা হয়ে ওঠেনি। এ নিয়ে আমার আফসোসও নেই।</p> <p><strong>সামনে আর কী কী করছেন?</strong><br /> আপাতত কিছুই করছি না। এখন অনার্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা চলছে। আমি সমাজকল্যাণ বিষয়ে পড়াশোনা করছি। পরীক্ষা শেষ হতে আরো সময় লাগবে। তারপর ভাবছি দুই-তিন মাসের একটা বিরতি নেব। নিজেকে একটু সময় দিতে চাই। গত দেড় বছর ‘জবা’র শুটিং নিয়ে এত ব্যস্ত ছিলাম যে নিজের দিকে তাকানোর সময়ই পাইনি। কয়েকটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, নাটক ও ওয়েব ছবির প্রস্তাব হাতে এসেছিল। নির্মাতাদের না করে দিয়েছি। বলেছি জুলাই-আগস্টের আগে ক্যামেরার সামনে আসা সম্ভব হবে না। কেউ যদি সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারেন, তাহলে কাজগুলো করব।</p> <p><strong>চলচ্চিত্রে অভিনয় করবেন?</strong><br /> চলচ্চিত্রে অভিনয় করাটা কার না স্বপ্ন! আমি তো সব সময় চাই, তবে তার জন্য আগে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। এখন সে প্রস্তুতিটাই নিচ্ছি। নিজেকে আরেকটু গুছিয়ে নিয়ে তারপর চলচ্চিত্রে নামতে চাই।</p>