<p>ক্রাইম থ্রিলার বানিয়ে মালয়ালম সিনেমার পরিচালক জিতু জোসেফ নিজের একটি পরিচয় তৈরি করেছেন। তাঁর সিনেমায় সমাজের এমন একটি বিষয়কে সামনে আনেন যা সচরাচর গুরুত্ব পায় না। গতকাল বৃহস্পতিবার মুক্তি পাওয়া ‘নেরু’ সিনেমাটাও তেমনই।</p> <p>সিনেমাটি নিয়ে একটি রিভিউ প্রকাশ করেছে ভারতের দৈনিক দ্য হিন্দু। এতে বলা হয়েছে, প্রথম আধা ঘণ্টার মধ্যেই গল্পের সমস্ত চরিত্রের সঙ্গে পরিচয় হয় দর্শকের। অনেকটা টেবিলে তাসের কার্ড সাজানোর মতো। বাকি সময়টা এসব কার্ড দিয়ে খেলার পালা। নেরু সিনেমাতেও পরিচালক গল্পের চরিত্রগুলো নিয়ে খেলেছেন। আড়াই ঘণ্টা শেষে যা সন্তুষ্টির অনুভূতি দেয়।</p> <p>গল্প অনুযায়ী, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সারা (অনস্বরা রাজন) ধর্ষণের শিকার হন। আদালতে এ মামলার বিচার শুরু হলে বাদীর বয়ানে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করা কঠিন হয়ে পরে। দৃষ্টিশক্তি না থাকলেও অন্যান্য ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে যে অপরাধীকে শনাক্ত করা যায় সে বার্তা এ সিনেমায় এক সময় মূখ্য হয়ে ওঠে। </p> <p>সিনেমায় আইনজীবীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোহনলাল। বার কাউন্সিল থেকে বরখাস্ত হওয়ার পরে দীর্ঘ সময় ধরে তিনি আদালতে উপস্থিত হননি। এ ছাড়া, তাঁর বিরুদ্ধে লেগে থাকে একটি ধনী ব্যবসায়িক গোষ্ঠী ও তাদের নিয়োজিত আইনজীবী (সিদ্দিক)। </p> <p>‘নেরু’ ভারতীয় আইন ব্যবস্থার জটিল পটভূমির বিপরীতে একটি মর্মস্পর্শী আখ্যান হিসেবে উন্মোচিত হয়। যা ন্যায়বিচার ও মুক্তির একটি জোরালো বার্তা দেয়। মোহনলাল সারার আইনজীবী হিসেবে ভারতীয় আইনের সুক্ষ্ম ত্রুটিগুলো সামনে আনেন। তাঁর বিপরীতে সরকারি কৌঁসুলি হিসেবে প্রিয়ামণি পাল্টা তথ্য উপস্থাপন করলে বেশ জমে ওঠে কোর্টরুম ড্রামা। </p> <p>তবে কিছু দৃশ্য অত্যাধিক নাটকীয় বলে মনে হয় এবং সেগুলোর কোনো ব্যাখ্যাও দেওয়া হয় না। ফলে সিনেমার মূল বার্তা বুঝতে পেরে যে প্রত্যাশ্যা তৈরি হয়, তা আর থাকে না।</p> <p>জিতু জোসেফের আগের ক্রাইম থ্রিলার ‘টুয়েলভ ম্যান’ বা ‘দৃশ্যম-২’ দেখে থাকলে নেরু দেখতে বসে চমকে যাওয়ার মতো ‘টুইস্ট’ আশা না করাই ভালো।</p>