<p style="text-align:justify">নদী রক্ষা কমিশনের একটি তালিকা রয়েছে, সেখানে ৬৬ হাজার দখলদারের নাম রয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ইতিমধ্যে কমিশনকে আগামী দুই মাসের মধ্যে নদ-নদী থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কর্মপরিকল্পনা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর পরই দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। </p> <p style="text-align:justify">সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বুড়বুড়িয়া নামক স্থানে গোমতী নদীর ভেঙে যাওয়া বাঁধ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।</p> <p style="text-align:justify">রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আমরা মনে করি বিল্ডিং হলেই উন্নয়ন হয়েছে, এটি একটি ভ্রান্ত ধারণা। বিগত সময়ে প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা অনেক জায়গায় নদী দখল করে স্থাপনা গড়েছেন। তবে নদীর ওপর স্থাপনা করার আইনগত কোনো অধিকার কারো নেই। এমনকি নদীর ওপর স্থাপনা করার অনুমতি দেওয়ার এখতিয়ার সরকারেরও নেই।’</p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, ভারতের কাছ থেকে বন্যা ও বৃষ্টিপাতের তথ্য চাওয়া হবে। তারা চাইলে বাঁধ খোলার আগে বিষয়টি বাংলাদেশকে জানাতে পারত। তাদের সঙ্গে পানি ভাগাভাগির বিষয়ে আলোচনা হতে পারে, কিন্তু কখন বাঁধ খোলা হবে তা জানাতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।</p> <p style="text-align:justify">বাঁধের পাল্টা বাঁধ মানুষের মনের ক্ষোভের কথা উল্লেখ করে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব নিয়মের মধ্য দিয়ে যেতে। বাঁধের পাল্টা বাঁধ দেওয়া প্রযুক্তিগতভাবেও ঠিক হবে না। একটা নদীর অস্তিত্ব ধরে আমরা কাজ করতে চাই। আমরা অবশ্যই তিস্তা, গোমতী, মুহুরী ও ফেনী নদীপারের মানুষের কথা শুনে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করব।’</p> <p style="text-align:justify">সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের গোমতী নদীর ভেঙে যাওয়া বাঁধ পরিদর্শনকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড, কুমিল্লার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবদুল লতিফ, নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওলিউজ্জামান, বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহিদা আক্তার এবং বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।</p>