<p>কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। কিছু এলাকায় পানি কমতে শুরু করলেও অনেক এলাকায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলার রায়কোট উত্তর ও মৌকরা ইউনিয়নে পানিতে ডুবে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। </p> <p>অতিরিক্ত পানির কারণে উদ্ধারকারী, ত্রাণ বিতরণকারী, মেডিক্যাল টিমের সদস্যরা নাঙ্গলকোটের বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছাতে পারছেন না। ফলে কিছু এলাকায় বিশুদ্ধ পানি, জরুরি ওষুধ ও খাদ্যসংকট রয়েছে। সংকটাপন্ন এলাকাগুলো হলো রায়কোট উত্তর, রায়কোট দক্ষিণ, মৌকারা, ঢালুয়া, বক্স গঞ্জ ও সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল।</p> <p>জানা যায়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ত্রাণ বিতরণকারী ও মেডিক্যাল টিমের সদস্যরা যোগাযোগ সুবিধার কারণে কুমিল্লার বুড়িচং ও ফেনী জেলাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। কিন্তু সঠিক প্রচারণা ও যোগাযোগব্যবস্থা খারাপ হওয়ার ফলে নাঙ্গলকোটের দুর্গতরা সার্বিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যার কারণে কিছু এলাকায় এখনো জরুরি ওষুধ, বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যসংকট রয়েছে।</p> <p>অন্যদিকে বন্যার পানিতে ডুবে উপজেলার মৌকার ইউনিয়নের মো. সিরাজুল হক (৬০) ও রায়কোট উত্তর ইউনিয়নের মাহিনী ছগরিপাড়া গ্রামের আব্দুল্লাহ ওরফে তিতা মিয়া (৬৫) মারা গেছেন।</p> <p>উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার লাকি বলেন, ‘যেসব এলাকায় এখনো জরুরি ওষুধ, বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যসংকট রয়েছে ওই এলাকাগুলোতে ত্রাণ বিতরণকারী ও মেডিক্যাল টিমের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছি। এ ছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে চালসহ বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রেখেছি।’</p>