<p style="text-align:justify">সিলেটের বিশ্বনাথের মাহতাবপুর মৎস্য আড়ত নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাতে উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের মাহতাবপুর গ্রামে হেলাল উদ্দিন ও বশির মিয়ার লোকজনের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অনন্ত ১৬ জন আহত হয়েছে। </p> <p style="text-align:justify">এর মধ্যে গুরুতর আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় শাহপরান মৎস্য আড়তের পরিচালক হেলাল উদ্দিনের মাহতাবপুর গ্রামের বসতবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুই পক্ষের ইটপাটকেল নিক্ষেপের কারণে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে প্রায় দুই ঘণ্টা যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।</p> <p style="text-align:justify">এ ব্যাপারে হেলাল উদ্দিন বলেন, মাহতাবপুর গ্রামের বশির উদ্দিন, রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির ইমাম উদ্দিন ও লামাকাজী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়ার নেতৃত্বে আমার বসতবাড়িতে হামলা করেন। এ সময় ঘরে থাকা সাড়ে ৫ লাখ টাকা, ৩ ভরি স্বর্ণালংকার, ৩টি আইফোন ও বসতঘরের আসবাব ভাঙচুর করে তারা।</p> <p style="text-align:justify">তিনি আরো বলেন, গত ১৯ আগস্ট বিকেলে প্রতিপক্ষের ওই লোকজন আমার মৎস্য আড়তের তিনটি দোকান ভাঙচুর করে, পরে থানায় এজাহার করলে ক্ষুব্ধ হয়ে তার আমার বাড়িতে এ হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করে।</p> <p style="text-align:justify">মাহতাবপুর ক্ষুদ্র মৎস্য আড়তের পরিচালক বশির উদ্দিন বলেন, হেলাল উদ্দিন পক্ষ হামলা চালিয়ে আমাদের দোকানপাট দখল করতে চেয়েছিল। এরপর আমাদের ফাঁসানোর জন্য সে তার বাড়িতে হামলা করিয়ে আসবাব ভাঙচুর করে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত রামপাশা ইউনিয়নপরিষদের চেয়ারম্যান ফকির ইমাম উদ্দিন বলেন, আমি বাড়িতে অসুস্থ অবস্থায় আছি। হামলার বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। তবে শুনেছি বিকেলে আমার মৎস্য আড়তে হামলা ও লুটপাটের চেষ্টা চালায় হেলাল উদ্দিনের লোকজন।</p> <p style="text-align:justify">লামাকাজী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া বলেন, আমি বিশ্বনাথের বাহিরে অবস্থান করছি। কে বা কারা হেলাল উদ্দিনের বাড়িতে হামলা করেছে তা আমার জানা নেই। যে বা যারা হামলা করেছে আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।</p> <p style="text-align:justify">বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রমা প্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, হামলার খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত কোনো মামলা করা হয়নি। মামলা দেওয়া হলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।</p>