<p style="text-align: justify;">ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটে ফের বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রবিবার (৩০ জুন) থেকে সিলেট এবং ভারতের মেঘালয় ও চেরাপুঞ্জিতে বেড়েছে বৃষ্টিপাত। এতে পাহাড়ি ঢলে সিলেটের বিভিন্ন পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে নদীর পানি। দ্রুত পানি বাড়তে থাকায় জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলায় সতর্কতা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।</p> <p style="text-align: justify;">পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং জৈন্তাপুরে সারি নদীর পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগে থেকেই বিপৎসীমার উপর দিয়ে বয়ে চলা ফেঞ্চুগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর পানি কিছুটা বেড়ে বিপৎসীমার ৮৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া বাকি ৮ পয়েন্টেও নদীর পানি আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে।</p> <p style="text-align: justify;">আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সিলেটে সোমবার (১ জুলাই) ভোর ছয়টা থেকে সকাল নয়টা পর্যন্ত তিন ঘন্টায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৬৫ মিলিমিটার। যেখানে ভোর ছয়টা থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত হয়েছিল ৩৯ দশমিক ৬ মিলিমিটার। </p> <p style="text-align: justify;">এদিকে সোমবার (১ জুলাই) সকাল নয়টা থেকে বুধবার (৩ জুলাই) পর্যন্ত সকাল নয়টা পর্যন্ত ৯৬৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। </p> <p style="text-align: justify;">অন্যদিকে ভারতের মেঘালয়-চেরাপুঞ্জিতেও ভারী বর্ষণ হচ্ছে। ভারতের আবহাওয়া বিষয়ক ওয়েবসাইট আইএমডির তথ্যমতে, ভারতের চেরাপুঞ্জিতে গত শুক্রবার সকাল নয়টা থেকে সোমবার সকাল নয়টা পর্যন্ত গত ৭২ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৬৪০ মিলিমিটার। এর মধ্যে সোমবার সকাল নয়টা থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৩১৩ মিলিমিটার। </p> <p style="text-align: justify;"><strong>গোয়াইনঘাটে বন্যা পরিস্থিতি:  </strong>অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে গোয়াইনঘাট উপজেলার সকল নদ নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। ফলে গোয়াইনঘাট উপজেলাজুড়ে পুনরায় বন্যা পরিস্থিতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সকাল থেকে তিন ঘণ্টায় উপজেলায় সারি নদীর পানি ১ মিটার বেড়েছে। দ্রুত পানি বাড়ায় বন্যার শঙ্কায় উপজেলাবাসীকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। ঘরবাড়িতে পানি ঢুকতে শুরু করলে সময় নষ্ট না করে দ্রুত আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে। ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করার পাশাপাশি উদ্ধার কার্যক্রম ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মাঝিসহ ৪৭টি নৌকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। </p> <p style="text-align: justify;">কালের কণ্ঠকে এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘নদনদীর পানি বাড়ায় গোয়াইনঘাটে তৃতীয় দফা বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আমরা জনগণকে সতর্ক থাকতে বলেছি। পাশাপাশি পরিস্থিতির অবনতি হলে যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেজন্য আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করার পাশাপাশি উদ্ধার কাজের জন্য ৪৭টি নৌকাও প্রস্তুত রেখেছি।’<br />  </p>