<p>নীলফামারীতে একটি সড়ক দুর্ঘটনার উদ্ধার কাজে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলায় সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত সোমবার বিকেলে জেলা সদরের গোড়গ্রাম ইউনিয়নের লক্ষ্মীরবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাতে নামীয় তিনজনসহ দুই সহস্রাধিক জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।</p> <p>পুলিশ জানায়, গত সোমবার দুপুরে জেলা সদরের গোড়গ্রাম ইউনিয়নের লক্ষ্মীরবাজার এলাকায় মাটিবাহী ট্রাক্টর ট্রলির সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হন মোটরসাইকেল চালক খোকসাবাড়ি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম (৫৫)। এসময় তিনি মোটরসাইকেলে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে বেতলতলী ঢেকিয়াবাড়ি গ্রামের নিজ বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। ঘটনার পর এলাকাবাসী তাদেরকে উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নেন।</p> <p>খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক্টর ট্রলিটি আটক করে থানায় আনার চেষ্টা করলে বেতলতলী ঢেকিয়াবাড়ি গ্রামের মো. দুলাল ইসলামের ছেলে মো. হৃদয় ইসলাম (২৭), মো. শফিকুল ইসলামের ছেলে মো. নয়ন ইসলাম (৩২) ও মো. মহব্বত আলী সরকারের ছেলে মো. শরিফ ইসলামের (৩৭) নেতৃত্বে বাধা দেন একদল উচ্ছৃঙ্খল জনতা। এসময় ওই ট্রাক্টর ট্রলিটি আগুন লাগিয়ে পোড়ানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাদেরকে থামায়। এরপর বিকেল ৫টার দিকে ওই দুর্ঘটনাস্থলের অদূরে একই নেতৃত্বে ট্রাক্টর ট্রলিতে মাটি তোলার কাজে ব্যবহৃত একটি ভেকু মেশিনে আগুন লাগানোর চেষ্টা করে তারা।</p> <p>খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে দ্বিতীয় দফায় পুলিশের ওপর চড়াও হন। সেখান থেকে পুলিশ চলে আসার চেষ্টা করলে গাড়ির পথরোধ করে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের গাড়ি থেকে নামিয়ে লাঠিসোটা দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এতে সাত পুলিশ সদস্য আহত হন। বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাদেরকে (পুলিশ সদস্য) উদ্ধার করে পাঁচজনকে নীলফামারী জেনালের হাসপাতালে ভর্তি করান। অপর দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়।</p> <p>নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘ওই রাতে সদর থানায় এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে’।</p>