<p style="text-align: justify;">বন বিভাগ ও প্রশাসনকে না জানিয়ে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার যদুনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সীমানা এবং এর সামনের রাস্তার শতাধিক গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। কয়েক শ ঘনফুট কাঠের গাছ কেটে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। বেশ কিছু কাটা গাছ ফেলে রাখা হয়েছে রাস্তায়। কাটা গাছগুলোর আনুমানিক মূল্য কয়েক লাখ টাকা।</p> <p style="text-align: justify;">বুধবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের মাঠের পূর্ব পাশে বিদ্যালয় থেকে নারায়ণ মাস্টার ও বেলায়েতের বাড়ির মোড় পর্যন্ত রাস্তার এক পাশের মেহগনিগাছগুলো কাটা হয়েছে। বেশ কিছু মেহগনিসহ অন্যান্য গাছ কেটে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। স্কুল থেকে ১০০ গজ দূরে দলু সাহার খোলা জমিতে ২৮ খণ্ড গাছ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। স্থানীয়রা জানায়, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কয়েক দিন আগে থেকে গাছগুলো কাটা হচ্ছে।</p> <p style="text-align: justify;">এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল গনি জানান, ২০-২৫টি গাছ কাটা হয়েছে। গাছগুলো দুই সীমানার। ব্যক্তিমালিকানারও আছে। বিদ্যালয়ের গাছগুলো কাটার জন্য ম্যানেজিং কমিটির পক্ষ থেকে একটা রেজল্যুশন করা হয়েছে।</p> <p style="text-align: justify;">অভিভাবক প্রতিনিধি আলমগীর হোসেনকে প্রধান করে এসংক্রান্ত কমিটি করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের আসবাব তৈরিতে গাছগুলো কাটা হচ্ছে। কাটা গাছের কিছু অংশ লাকড়ি হিসেবে বিক্রি করা হয়েছে।</p> <p style="text-align: justify;">প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘মূলত বিদ্যালয়ের কমিটির পক্ষ থেকে গাছগুলো কাটা হচ্ছে। এতে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা থাকলেও আমাকে রাখা হয়নি।’</p> <p style="text-align: justify;">উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মীর ফারুক আহমাদ ফরিদ বলেন, ‘ব্যক্তিমালিকানার গাছগুলো কাটা হয়েছে। যারা কাটছে তাদের কাছ থেকে বিদ্যালয়ের আসবাবের জন্য কিছু গাছ নেওয়া হচ্ছে। বিক্রি করা হয়নি।’</p> <p style="text-align: justify;">যদুনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘এই গাছগুলোর প্রকৃত মালিক বিদ্যালয়। শুনেছি বিদ্যালয়ের সীমানাপ্রাচীর করতে গাছগুলো কাটা হয়েছে।’</p> <p style="text-align: justify;">টাঙ্গাইল বন বিভাগের ধনবাড়ী উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মধুপুর নার্সারির ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা জুলহাস উদ্দিন বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গাছ কাটতে হলে উপজেলায় বন বিভাগ সংশ্লিষ্ট একটা কমিটি আছে, তাদের মাধ্যমে কাটার নিয়ম। এই কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং সদস্যসচিব থাকেন বন বিভাগের একজন কর্মকর্তা। গাছ কাটার আবেদন অনুমোদন হলে সেই গাছের মূল্য নির্ধারণ হবে, টেন্ডার হবে। তার পরই গাছগুলো বিক্রি হওয়ার কথা। এমন হয়েছে কি না আমার জানা নেই।’</p> <p style="text-align: justify;">ইউএনও আসলাম হোসাইন বলেন, ‘গাছ কাটার অনুমতি নেওয়া হয়নি। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’ ধনবাড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বাবুল হাছান জানান, এ বিষয়ে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে।</p>