<p>করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে অজানা রোগে মারা গেলেন চাঁদপুরের ব্রজেন্দ্র লাল সাহা শনু। শনিবার বিকেলে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে মারা যান তিনি। তার আগে গত কয়েকদিন আগে নারায়ণগঞ্জের কর্মস্থলে জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হন শনু।</p> <p>তবে মৃত্যুর কারণ করোনাভাইরাস কি না, তা নিশ্চিত হতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাদের ভাষ্য ছিল, মৃতের দেহের নমুনা রিপোর্ট পাওয়া গেলে তার নিশ্চিত হওয়া যাবে।</p> <p>সন্ধ্যায় চাঁদপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেছিলেন, মৃতের দেহের নমুনা সংগ্রহ করেছে আইইডিসিআর। পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। পরে রাতে যোগাযোগ করা  হলে তিনি বলেন, <span style=\"color:rgb(68, 73, 80); font-family:helvetica,arial,sans-serif\">আইইডিসিআর-এর রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এতে নেগেটিভ এসেছে। অর্থাৎ ব্রজেন্দ্র লাল সাহা শনু করোনাভাইরাসে মারা যাননি।</span></p> <p>চাঁদপুর শহরের পুরানবাজার নিতাইগঞ্জ মন্দিরের পেছনে ব্রজেন্দ্র লাল সাহা শনু (৩৫)র বাসা। তার বাবা চন্দ্রনাথ সাহা। দুই ভাইবোনের শনু ছিলেন বড়। মাত্র ৫ মাস আগে নারায়ণগঞ্জে বিয়ে করেন শনু। সেখানে তিনি ব্যাংক এশিয়ায় কর্মরত ছিলেন।</p> <p>পরিবারের সদস্যরা জানান, গত কয়েকদিন আগে নারায়ণগঞ্জে জ্বর সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হয় শনু। প্রথমে তাকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে স্ত্রী শুক্লা রানী সাহা কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান স্বামীকে। ২৬ তারিখে ভর্তির দুদিনের মাথায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় মারা যান ব্রজেন্দ্র লাল সাহা শনু।</p> <p>এই বিষয় হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. তারিখ জামিল অপু মৃত্যু সনদে উল্লেখ করেছেন, অজানা নিউমোনিয়াসহ আরো দুটি রোগের লক্ষণ নিয়ে এই রোগী মারা গেছেন। এই নিয়ে চাঁদপুর জেলা সিভিল সার্জনকে অবগত করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। </p> <p>এদিকে, ছেলের অসুস্থতার সংবাদ পেয়ে গত দুদিন আগে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখে আসেন বাবা চন্দ্রনাথ সাহা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পরে তিনি এলাকায় ঘুরেও বেড়ান। কিন্তু শনিবার সন্ধ্যায় ছেলের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ভেঙে পড়েন। </p> <p>অন্যদিকে, করোনাভাইরাসে ব্রজেন্দ্র লাল সাহা শনু মারা গেছেন কি না তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দেওয়ায় শনিবার রাতে চন্দ্রনাথ সাহা, তার স্ত্রী এবং একমাত্র মেয়ে নিজ বাসায় অবস্থান করার নির্দেশ দেন, চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পকিল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজেদা বেগম পলিন। তাদেরকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিন পালন করার জন্যও বলা হয়। তবে রাত ১০টার দিকে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসার পর পরিবারের সদস্যরা নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন।</p>