<p>কেন্দ্রীয় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের একাংশ আজ শনিবার এ সম্মেলন করতে মরিয়া। কেন্দ্রের নিষেধাজ্ঞা তারা মানছে না। গত ৩ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মুন্সীগঞ্জ জেলার সব সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করেন। এ নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম সোহরাব হোসেন সম্মেলনের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এ অবস্থায় সাধারণ নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। </p> <p>গতকাল শুক্রবার উপজেলা সদরে আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের অনুসারী নেতাকর্মীরা দিনভর উপজেলা সদরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক এস এম সোহরাব হোসেনকে উপজেলা সদরে না পাওয়া গেলেও তাঁর অনুসারীদের বিভিন্ন স্থানে জমায়েত হতে দেখা গেছে। সিরাজদিখান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সম্মেলনের প্যান্ডেল তৈরি করতেও দেখা গেছে। </p> <p>এ ব্যাপারে সাধারণ সম্পাদক এস এম সোহরাব হোসেন জানান, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে বিএনপি-জামায়াত ও হত্যা মামলার আসামিদের স্থান দেওয়াসহ পকেট কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে অভিযোগ গেছে কেন্দ্রসহ জেলায়। কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি ও সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার নওফেল আহমেদ গত ৩ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লুত্ফর রহমানকে ফোন করে জেলার সব সম্মেলন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি একতরফাভাবে সম্মেলন করার পাঁয়তারা করছেন।<br /> সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, ‘কেন্দ্র আমাকে লিখিতভাবে কোনো নির্দেশ জানায়নি, তাই সম্মেলন হবে।’  </p> <p>জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ লুত্ফর রহমান বলেন, ‘আমি সব সম্মেলন স্থগিতের নির্দেশ পেয়েছি। কিন্তু স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের কোনো নির্দেশ পাইনি। তাই বলতে পারছি না সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামী লীগ কিভাবে সম্মেলন করতে যাচ্ছে।’</p> <p>কেন্দ্রীয় নির্দেশনা না থাকার পরও পক্ষ-বিপক্ষের এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে পুলিশের ভুমিকা জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম পিপিএম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সম্মেলন নিয়ে আমাদের কাছে কোনো দিকনির্দেশনা নেই। তবে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের গোলযোগ, সংঘর্ষ ও হানাহানি সহ্য করা হবে না। পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। জনগণের যানমাল ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ যথাযথ ভূমিকা পালন করবে।’</p>