<p>বগুড়ার ধুনট উপজেলায় রবিউল ইসলাম উৎসব নামে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে বাঙ্গালী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বালু উত্তোলনের ফলে আট কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি সেতু ও সড়ক ভাঙনের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।  </p> <p>স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালে বিলচাপড়ি গ্রামে বাঙ্গালী নদীর ওপর ৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। নদীর মাঝে এই সেতুর ১৪টি পিলার রয়েছে। সেতুর দক্ষিণ পাশে ৩০০ মিটার দূরে দুটি খননযন্ত্র দিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করছে এলাঙ্গী ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য বিলচাপড়ি গ্রামের রবিউল ইসলাম উৎসব। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে থেকে নদীর বুকে খননযন্ত্র বসিয়ে বালু উত্তোলন করায় পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। </p> <p>বর্তমানে নদীর পানি শুকিয়ে গেছে। তাই ভাঙনের কোনো আলামত নেই। কিন্তু বর্ষাকালে যখন পানিতে নদী ভরে উঠবে তখন বালু উত্তোলনের বিরূপ প্রভাব দেখা দেবে। বর্ষা মৌসুমে পানির প্রবল স্রোতে নদী ভাঙন শুরু হবে। তখন নদীর বুকে গভীর গর্ত সৃষ্টি হবে। এ ছাড়া সেতুর নিকট থেকে বালু তোলার কারণে সেখানে ভাঙনের কবলে পড়ে পানির প্রবল স্রোতে পিলার ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। </p> <p>বিলচাপড়ি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গত বর্ষা মৌসুমে রবিউল ইসলাম উৎসব নদীর একই জায়গা থেকে বালু উত্তোলন করায় পূর্ব পাশে সেতুর ধারে ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙনের ফলে পাশের হাসপাতাল ও রামনগর গ্রামের রাস্তার একাংশ নদীতে ধসে পড়েছে। এতে ওই সড়কে এখন রিকশা-ভ্যান চলার কোনো উপায় নেই। ফলে স্থানীয়দের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এবারও একইভাবে বালু উত্তোলন করছে। বালু উত্তোলনকারী এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে কোনো প্রতিকার মিলছে না।  </p> <p>এ বিষয়ে যুবলীগ নেতা রবিউল ইসলাম উৎসব বলেন, নদী থেকে বালু তুলে স্থানীয় একটি পাকা সড়ক নির্মাণ কাজের ঠিকাদারকে দেওয়া হচ্ছে। এলাকার উন্নয়ন কাজে এই বালু ব্যবহার করা হচ্ছে। বালু তোলার কারণে সেতুর ক্ষতি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। এলাকার কিছু মানুষ শত্রুতা করে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে।</p> <p>ধুনট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিনাত রেহানা বলেন, বাঙালী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। দু-এক দিনের মধ্যে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলনকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</p>