<p>পবিত্র কোরআনে পোশাককে সৌন্দর্যের উপকরণ বলেছেন। যা থেকে বোঝা যায়, পোশাক সুন্দর হওয়াই কাম্য। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মানবজাতি, আমি তোমাদের জন্য পোশাকের ব্যবস্থা করেছি, তোমাদের দেহের যে অংশ প্রকাশ করা দোষণীয় তা ঢাকার জন্য এবং তা সৌন্দর্যেরও উপকরণ। বস্তুত তাকওয়ার যে পোশাক সেটাই সর্বোত্তম।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ২৬)</p> <p>আল্লাহ মানুষকে যে সম্পদ ও সামর্থ্য দান করেছেন ব্যক্তির জীবনাচারে তার বহিঃপ্রকাশ দেখতে চান। এ জন্য সাহাবি মালিক বিন আউফ (রা.)-এর শরীরে মলিন পোশাক দেখে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছিলেন, ‘যখন আল্লাহ তাআলা তোমাকে সম্পদ দিয়েছেন তখন তোমার ওপর তাঁর নিয়ামতের ছাপ থাকা চাই।’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ৫২৯৪)</p> <p>মসজিদে গমনের অন্যতম আদব হলো সাধ্যমতো সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করা। মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে আদম সন্তান! তোমরা প্রত্যেক সালাতের সময় সুন্দর পোশাক পরিধান করো। তোমরা খাও ও পান করো। কিন্তু অপচয় কোরো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ অপচয়কারীদের ভালোবাসেন না।’<br /> (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৩১)</p> <p>আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন সালাতে দাঁড়াবে সে যেন (সুন্দর) পোশাক পরিধান করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তাঁর থেকে সজ্জিত করার হকদার। (তাবারানি, মুজামুল আওসাত, হাদিস : ৯৩৬৮; সহিহাহ, হাদিস : ১৩৯৬)</p> <p>তবে অহংকারী পোশাক পরিধান করা নিষিদ্ধ। রাসুলুল্লাহ (সা.) সুন্দর পোশাক পরিধান করতে বলেছেন। তবে অহংকারের ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি অহংকারবশত মাটিতে কাপড় টেনে টেনে চলে, আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তার দিকে দৃষ্টিপাত করবেন না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৭৯১)</p>