ঢাকা, বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫
২৫ আষাঢ় ১৪৩২, ১৩ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫
২৫ আষাঢ় ১৪৩২, ১৩ মহররম ১৪৪৭

জীবন গুছিয়ে নেওয়ার যত অ্যাপ

  • প্রতিদিনের হাজারো কাজের ফর্দ গুছিয়ে রাখা খুব মুশকিলের কাজ, এটা কে না জানে? তবে মুশকিল আসান করতে রয়েছে বেশ কিছু অ্যাপ ও সফটওয়্যারসেবা। এসব আপনার কাজের তালিকা থেকে আয়-ব্যয়ের হদিস করাসহ স্বাস্থ্যকর অভ্যাস ও রুটিন অনুসরণ করতে সাহায্য করবে। বিস্তারিত জানাচ্ছেন এস এম তাহমিদ
শেয়ার
জীবন গুছিয়ে নেওয়ার যত অ্যাপ
মডেল : বুশরা ছবি : মোহাম্মদ আসাদ

সময়

সময়ের যথাযথ ব্যবস্থাপনা করতে হলে দুই ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করা যেতে পারে। একটি ক্যালেন্ডার বা শিডিউলিং সিস্টেম, আরেকটি কাজের লিস্ট ও সমাধানের জন্য টাইমার।

 

পোমোডোরো টাইমার

এক কাজের মধ্যে ডুবে গিয়ে পুরো দিন ব্যয় করে ফেলা বিশাল সমস্যা। সে জন্য পোমোডোরো টেকনিক খুবই কাজের।

পুরো সিস্টেমটি শেখা এবং কাজে লাগানো সময়সাপেক্ষ ব্যাপার, তবে শুরু করা একেবারেই সহজ। পোমোডোরো টাইমার অ্যাপটি ইনস্টল করে টিউটরিয়াল পড়ে নিতে হবে। এর পর মন স্থির করতে হবে, পোমোডোরো টেকনিক মেনে কাজ করার। প্রতিটি কাজের জন্য ২৫ মিনিট সময় বেঁধে নিয়ে কাজের শুরুতে টাইমার চালু করতে হবে।
এরপর টাইমার শেষে অ্যালার্ম না বাজা পর্যন্ত একটানা কোনো দিকে মনোযোগ না দিয়ে কাজ করতে হবে। এরপর ২৫ মিনিটের শেষে পাঁচ মিনিট বিরতি নিয়ে আবারও ২৫ মিনিট কাজ করতে হবে। এভাবে চারবার কাজ করা শেষ হলে বিরতি নেওয়া যাবে ১৫ মিনিট। ধীরে ধীরে এ সিস্টেমে অভ্যস্ত হয়ে গেলে চাইলে টাইম ব্লকের পরিমাণ বাড়াতে হবে এবং কমাতে হবে বিরতি।
টাইমার অ্যাপের ওপর নির্ভরশীলতার কারণ একটিই, যাতে বারবার ঘড়ির দিকে নজর না যায় এবং মনোযোগ ধরে রাখা যায় শুধু কাজের মধ্যেই। লিংক : https://t.ly/0ipMI

 

ইফ দেন দ্যাট

এই সেবাটি শুরুতে বুঝে নেওয়া বেশ কঠিন হলেও খুবই কাজের। অ্যাপটির নামের মধ্যেই কাজের বর্ণনা দেওয়া আছে, যদি এটা হয় তাহলে ওটা করব। অ্যাপটিতে চাইলে সাধারণ লজিক সেট করা যাবে, যেমনঅফিসে পৌঁছলে ফোন সাইলেন্ট হয়ে যাবে, অফিসের ওয়াই-ফাইতে সংযুক্ত হবে এবং ডু নট ডিসটার্ব বা ফোকাস মোডে চলে যাবে। বাসায় এলে জেনারেল মোডে চলে যাবে এবং সারা দিনের জমা হওয়া সব নোটিফিকেশন তুলে ধরবে।

হেডফোন সংযুক্ত করলেও মোড পরিবর্তন বা অ্যাপ চালুর মতো কাজগুলোর লজিক সেট করা যাবে, আবার স্মার্টহোম ডিভাইস থাকলে সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত অনুযায়ী লাইট জ্বালানো-নেভানো, আবহাওয়া অনুযায়ী এসি বা হিটার চালনা বা ক্যামেরার সামনে কেউ আছে কি না সে অনুযায়ী বাসার ডিভাইসগুলো চালু বা বন্ধ করার মতো লজিকও প্রগ্রাম করা সম্ভব। প্রতিটি লজিক অল্পবিস্তর সময় প্রতিদিনই বাঁচাতে সাহায্য করবে।

লিংক : https://t.ly/TE2q8

 

হ্যাবিটকা

ভালো অভ্যাস তৈরি করাবলতে সহজ হলেও করা কঠিন। হ্যাবিটকা প্রতিদিনের কাজের লিস্ট ও ক্যালেন্ডারকে গেমের মতো অবজেক্টিভে পরিণত করে। সময়মতো কখন কী করতে হবে সেটা যেমন মনে করিয়ে দেবে, তেমন সেটি করতে অক্ষম হলে বা দেরি করলে অ্যাপটি তিরস্কারও করবে। দিনের বাকি সময় কী করা যেতে পারে সেটারও সাজেশন দেবে অ্যাপটি, যেমনকাজের মধ্যে যদি বিকেলে এক ঘণ্টা বিরতি থাকে, তাহলে সে সময় হালকা ব্যায়ামের জন্য সাজেশন দিতে পারে। লিংক : https://t.ly/mphfM

 

 

অর্থ

খরচের হিসাব রাখার জন্য বেশ কয়েক ধরনের অ্যাপ রয়েছে। প্রতিটি খাতের খরচ এক জায়গায় হিসাব থাকলে তবেই আগামী দিনগুলোর জন্য সুন্দরভাবে পরিকল্পনা করা যায়।

 

মানি ম্যানেজার এক্সপেন্স অ্যান্ড বাজেট

দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক বা বার্ষিকসব ধরনের আয়ের হিসাব অ্যাপটিতে রাখা যাবে। এর সঙ্গে যুক্ত করা যাবে ক্রেডিট কার্ডের লিমিট, ঋণের পরিমাণ, তার মাসিক কিস্তি ও ক্রেডিট কার্ডের বিলের পরিমাণ। যেসব ফিক্সড, যেমনইন্টারনেট বিল বা বাসাভাড়া, সেগুলোও প্রগ্রাম করে রাখা যাবে। এর পর এন্ট্রি করা যাবে প্রতিদিনের প্রতিটি খরচ, ছোট থেকে বড় সব। এসব ডাটা চমৎকারভাবে উপস্থাপন করবে অ্যাপটি, কোন খাতে খরচ বেড়েছে বা কমেছে দেখাবে, আগামী মাসের বেতনের আগে আর কত খরচযোগ্য টাকা বাকি আছে সেটাও হোমস্ক্রিনেই দেখা যাবে। ক্যাশ, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আর মোবাইল ফিন্যান্স মিলিয়ে আজকাল আসলে কত টাকা হাতে আছে সেটা চট করে বের করা মুশকিল, সেটার সুন্দর সমাধান মানি ম্যানেজার। ব্যবহার করতে কোনো পারমিশন বা অ্যাকাউন্টও লাগবে না। লিংক : https://urlzs.com/G6jZc

 

ফুয়েলিও

মোটরসাইকেল বা গাড়িতে কত টাকার তেল, গ্যাস ও আনুষঙ্গিক খরচ হচ্ছে, প্রতি লিটার তেলে কত কিলোমিটার চলছে এবং প্রতিদিন বাইক বা গাড়ি কোথায় যাচ্ছে এবং কত কিলোমিটার চলছেএসব তথ্য লগ করার অ্যাপ ফুয়েলিও। গাড়ির মডেল, তেলের ধরন ও অডোমিটার রিডিং দিয়ে সেটার প্রফাইল তৈরি করে প্রতিবার তেল নেওয়ার সময় বা অন্যান্য রক্ষণাবেক্ষণের তথ্য ইনপুট দিলে এক ঝলকে মাইলেজ ও খরচের পরিমাণ দেখা যাবে। এতে হঠাৎ করে বেশি খরচ বাড়লে কোথায় খরচ বেড়েছে সেটা বের করা যাবে সহজেই। ডিভাইস পরিবর্তন বা রিসেট করলেও সমস্যা নেই, গুগল ড্রাইভ সিংক চালু থাকলে ডাটা হারাবে না। লিংক : https://rb.gy/cje9v

 

পাইসা এক্সপেন্স ট্র্যাকার

আয়, ব্যয়, ঋণ ও অন্যান্য অর্থের হিসাব রাখার অ্যাপ পাইসা। ফিচারগুলো আরো অনেক অ্যাপেই আছে; কিন্তু পাইসার বিশেষত্বঅ্যাপটি ওপেনসোর্স। ব্যবহার করতেও কোনো পারমিশন বা অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন নেই। ইন্টারফেসও গুগলের সর্বশেষ ম্যাটেরিয়াল ইউ গাইডলাইন ধরে বানানো, ফলে অ্যাপটিতে বাড়তি রিসোর্সের ভার নেই। যাঁরা অন্যান্য অ্যাপে তাঁদের আয়-ব্যয়ের হিসাব রাখতে তথ্য চুরি নিয়ে ভয় পাচ্ছিলেন, তাঁরা চাইলে পাইসার কোড নিজে পরখ করে তবেই ব্যবহার করতে পারেন। লিংক : https://rb.gy/3vzp5

 

 

স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে চাই সঠিক অভ্যাসগুলো ধরে রাখা, খাওয়াদাওয়ায় সতর্ক থাকা এবং শরীর ও মনকে প্রশান্ত রাখা। সেসবেও সাহায্যের জন্য আছে বেশ কিছু অ্যাপ।

 

লুপ হ্যাবিট ট্র্যাকার

হ্যাবিটকা অ্যাপের সঙ্গে লুপের প্রধান পার্থক্য, হ্যাবিটকা দৈনন্দিন কাজের ওপরই জোর দিয়ে তৈরি, আর লুপের মূল লক্ষ্য ভালো অভ্যাসগুলো তৈরি হচ্ছে কি না সেটার রিপোর্ট দেওয়া। নানা অভ্যাসের দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক রিপোর্ট তৈরি করতে সাহায্য করবে লুপ। দীর্ঘদিন ব্যবহারে কোন কোন অংশে উন্নতি হয়েছে আর কোথায় বাকি আছে নিজেকে ঠিক করার, সেটাও জানান দেবে লুপ। লিংক : https://rb.gy/vcejf

 

মেডিটো মেডিটেশন অ্যান্ড স্লিপ

মানসিক অবসাদ ও গ্লানি দূর করতে ধ্যান ও যোগব্যায়ামের জুরি নেই। তবে একেবারে গোড়া থেকে ধ্যান ও যোগব্যায়াম শেখা শুরু করা বেশ কঠিন, সে কাজটির জন্যই আছে মেডিটো। বিগিনার ও ইন্টারমিডিয়েট, দুই ভাগে অ্যাপটি নানা আসন ও ধ্যানের উপায়গুলো হাতে-কলমে শিখিয়ে দেবে। প্রতিদিনের ধ্যান ও আসনের লগও রাখা যাবে। ঘুমানোর জন্য যেসব আসন বা ধ্যান আছে, সেগুলো সাহায্য করবে অনিদ্রা কমানোর কাজে। লিংক : https://rb.gy/a37vy

 

ক্যালরি কাউন্টার অ্যান্ড ফুড ট্র্যাকার

দোকানের খাবারের পরিমাণ দেখে ক্যালরি সব সময় বোঝা যায় না, তাই দ্রুতই মুটিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। ক্যালরি কাউন্টার অ্যাপটিতে আছে ৩০ লাখেরও বেশি খাবারের ডাটাবেস, তাই প্রতিটি খাবারের পুষ্টিগুণ আর ক্যালরির পরিমাণ চট করে লগ করে রাখা যাবে। নিজের তথ্য দিয়ে দৈনিক কতটুকু ক্যালরি খাওয়া উচিত সেটাও বের করা যাবে। এসব তথ্য কাজে লাগিয়ে ক্যালরি কতটুকু খাওয়া হচ্ছে সেটার ওপর নজরদারি বাড়িয়ে মুটিয়ে যাওয়া থেকে ব্যবহারকারীকে রক্ষা করা হবে সহজ। লিংক : https://rb.gy/133xj

মন্তব্য
একনজরে

স্বল্পমূল্যে ম্যাকবুক আনছে অ্যাপল

টেকবিশ্ব ডেস্ক
টেকবিশ্ব ডেস্ক
শেয়ার
স্বল্পমূল্যে ম্যাকবুক আনছে অ্যাপল

এম সিরিজ প্রসেসরযুক্ত ম্যাকবুক বাজারে আনার পর থেকে ল্যাপটপ বাজারে নিজেদের আধিপত্য ধরে রেখেছে অ্যাপল। তবে মাঝারি মূল্যের ল্যাপটপ বাজার এখনো উইন্ডোজ ল্যাপটপের দখলে, সেটি বদলাতে চাইছে তারা। জোরালো গুঞ্জন উঠেছে, আগামী বছরের শুরুতে ৬০০-৭০০ ডলার মূল্যের একটি ম্যাকবুক বাজারে আসছে। সম্ভবত ১২ ইঞ্চি ম্যাকবুকের নতুন সংস্করণ হতে যাচ্ছে এটি।

নাম হবে ম্যাকবুক, এটি এয়ার বা প্রো সিরিজের অংশ নয়।

এর আগে ২০১৬ সালে ১২ ইঞ্চি ম্যাকবুক মডেল বাজারে এনেছিল অ্যাপল, সেটি ছিল প্রথম ইউএসবি সি যুক্ত ম্যাক। এবারের মডেলটিতেও নতুন প্রযুক্তি ব্যবহৃত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এতে এম সিরিজ নয়, বরং আইফোনের অ্যাপল এ১৮ প্রো প্রসেসর দেওয়া হবে।

সঙ্গে থাকবে ৮জিবি র‌্যাম এবং ১২৮জিবি স্টোরেজ। বর্তমান ম্যাকে ব্যবহৃত এম৪ প্রসেসরের কাছাকাছি পারফরম্যান্স এতে পাওয়া যাবে, তফাত শুধু র‌্যামের পরিমাণ। ধরে নেওয়া যেতে পারে, এই মডেলটিতে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স ফিচারটি দেওয়া হবে না।

যদি ল্যাপটপটির মূল্য ৭০০ ডলারের কম হয়, সে ক্ষেত্রে মাঝারি বাজেটের উইন্ডোজ ল্যাপটপের বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠবে এটি।

উইন্ডোজ ১১ এর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও পারফরম্যান্স ঘাটতি নিয়ে অনেক ব্যবহারকারী প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ফোরামে হতাশা প্রকাশ করছে, এদের অনেকেই হয়তো স্বল্পমূল্যের ম্যাকবুকটি বেছে নিতে পারে।

 

স্বল্পমূল্যে ম্যাকবুক আনছে অ্যাপল

দেশীয় ওয়েবসেবা ফ্রি ডকুমেন্ট মেকার

বাংলাদেশে তৈরি একটি উদ্ভাবনী ও সম্পূর্ণ ফ্রি সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম ফ্রি ডকুমেন্ট মেকার, খুব অল্প সময়েই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এটি। এআই প্রযুক্তিনির্ভর এ প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে বিনা মূল্যে ইনভয়েস, রিসিপ্ট, কোটেশন, সিভি, সার্টিফিকেট এবং ইমেজ থেকে পিডিএফ কনভার্ট করা যায়। মোট ৩০টিরও বেশি টুল রয়েছে এই সেবায়। সম্পূর্ণ ব্রাউজারভিত্তিক, স্মার্টফোনে ব্যবহারের জন্য ওয়েবসাইটটি মোবাইল-ফ্রেন্ডলি করে তৈরি করা হয়েছে।

ইন্টারফেসও বেশ ব্যবহারবান্ধব, সহজেই বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট তৈরি করে সরাসরি ডাউনলোড করা যায়।

ফ্রি ডকুমেন্ট মেকারের প্রধান ডেভেলপার মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, শিগগিরই মোবাইল অ্যাপ, ক্রোম এক্সটেনশন এবং বাংলা ভাষার সম্পূর্ণ সংস্করণ প্রকাশ করা হবে। পাশাপাশি দেশের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য থাকবে বিশেষ টেমপ্লেট ও কাস্টম ফিচার।

 

 

 

মন্তব্য

অ্যানড্রয়েড ১৬ নতুনত্ব নেই

আশিক উল বারাত
আশিক উল বারাত
শেয়ার
অ্যানড্রয়েড ১৬ নতুনত্ব নেই
ম্যাটেরিয়াল ৩ ইন্টারফেস ডিজাইন। ছবি: সংগৃহীত

নতুন সংস্করণের নাম অ্যানড্রয়েড ১৬ হলেও জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেমটির এটি আসলে ৩৬তম সংস্করণ। প্রায় দুই দশক আগে ২০০৮ সালে যখন অ্যানড্রয়েডের যাত্রা শুরু হয়, তখনো স্মার্টফোনের ফিচারগুলো কেমন হওয়া উচিত সে বিষয়ে কোনো পরিষ্কার রোডম্যাপ ছিল না। প্রতিটি সংস্করণেই নতুন ডিজাইনের ইন্টারফেসের পাশাপাশি আনকোরা নতুন সব ফিচারের দেখা পাওয়া যেত। সময়ের সঙ্গে অ্যানড্রয়েড এখন পরিপক্ব হয়ে উঠেছে।

প্রতিবছর নতুন সংস্করণ প্রকাশিত হলেও ডিজাইন ও ফিচারে তফাত সামান্যই। অ্যানড্রয়েড ১৬-এর পূর্ণাঙ্গ সংস্করণ ব্যবহারকারীদের ফোনে পৌঁছাতে শুরু করে গত মাসের [জুন ১০] শুরুতে। এখন পর্যন্ত গুগলের নিজস্ব পিক্সেল সিরিজের বাইরে অন্য কোনো ফোনে অ্যানড্রয়েড ১৬ আপডেট আসেনি।

অ্যানড্রয়েড ১৬ আপডেটটির সঙ্গে ১৫-এর পার্থক্য সামান্যই।

ম্যাটেরিয়াল ৩ এক্সপ্রেসিভ ডিজাইন এখনো প্রকাশিত হয়নি, তাই ইন্টারফেসে তেমন পরিবর্তন চোখে পড়বে না। ট্যাবলেট বা ফোল্ডেবল ফোনগুলোর জন্য আনা হয়েছে এজ-টু-এজ রেন্ডারিং ফিচার। যেসব অ্যাপ শুধু ফোনের জন্য ডিজাইন করা, বড় ডিসপ্লের জন্য নয়সেসব অ্যাপও এখন থেকে পুরো ডিসপ্লে কাজে লাগাতে পারবে।

নিরাপত্তার জন্য আপডেটটিতে যোগ করা হয়েছে অ্যাডভান্সড প্রোটেকশন ফিচার।

অনিরাপদ ২জি নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়া, ইউএসবি পোর্টের মাধ্যমে তথ্য চুরির হামলা ঠেকানো, অনিরাপদ ব্রাউজিং বন্ধ করার মতো খুঁটিনাটি অনেক ফিচারের মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি ও ফোনে ম্যালওয়্যার প্রবেশ ঠেকাবে অ্যাডভান্সড প্রোটেকশন। নোটিফিকেশন সামলানোর জন্য যোগ হয়েছে গুচ্ছ নোটিফিকেশন ফিচার। প্রতিটি অ্যাপের সব নোটিফিকেশন গুচ্ছ আকারে দেখানো হবে। তবে নোটিফিকেশনের সবচেয়ে বড় ফিচারটির নাম দেওয়া হয়েছে লাইভ আপডেটস। কোনো অ্যাপে চলমান প্রক্রিয়া থাকলে সেটি কত দূর এগিয়েছে তা নোটিফিকেশন আকারে দেখা যাবে।
যেমনউবার রাইড পৌঁছাতে কত সময় বাকি। অথবা গুগল ম্যাপসের নির্দেশনা সহজেই লাইভ আপডেটসের মাধ্যমে দেখা যাবে। এই ফিচারটি সেপ্টেম্বরের কিউপিআর১ আপডেটের অংশ হিসেবে পিক্সেল ব্যবহারকারীদের ফোনে পৌঁছে যাবে। ম্যাটেরিয়াল ৩ ইন্টারফেস ডিজাইনও এই আপডেটের অংশ হওয়ার কথা রয়েছে।

নতুন ফিচারের অভাবের মূল কারণ, গুগল এখন থেকে বেশির ভাগ নতুন ফিচার আলাদা অ্যাপ আকারে সব ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছে দেবে। যেমননতুন ফাইন্ড মাই সিস্টেম বা কুইক শেয়ার ফিচার সিস্টেম আপডেটের অংশ না করে আলাদা অ্যাপ আকারে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে পুরনো অ্যানড্রয়েড সংস্করণ ব্যবহারকারীদের ফোনেও।

 

মন্তব্য

স্পটিফাইয়ে এআই ব্যান্ডের বাজিমাত

    শিল্পচর্চার আদি ও অকৃত্রিম মাধ্যম সংগীত। কালের বিবর্তনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার তৈরি সংগীত জনপ্রিয়তা পাবে—এমনটা কয়েক বছর আগেও ভাবেনি অনেকে। এআই আর্টের মতো এআই সংগীতও শ্রোতারা বর্জন করবে—আশা করেছিলেন অনেক শিল্পী। তবে স্পটিফাইয়ে একটি এআই ব্যান্ডের তুমুল জনপ্রিয়তা নতুন করে ভাবাচ্ছে সবাইকে। এআই ব্যান্ড ‘দ্য ভেলভেট সানডাউন’ নিয়ে লিখেছেন শাহরিয়ার মোস্তফা
শেয়ার
স্পটিফাইয়ে এআই ব্যান্ডের বাজিমাত
দ্য ভেলভেট সানডাউন ব্যান্ডের ছবিগুলো এআই দিয়ে তৈরি। ছবি: সংগৃহীত

জুনের শুরুতে দ্য ভেলভেট সানডাউন নামের একটি ব্যান্ড জনপ্রিয় মিউজিক স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম স্পটিফাইয়ে প্রোফাইল তৈরি করে। দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে তাদের গান। মাস শেষে দেখা যায়, পাঁচ লাখেরও বেশি শ্রোতা প্রতিনিয়ত ভেলভেট সানডাউনের গান শুনছে। মাত্র এক মাসে স্পটিফাইয়ে পাঁচ লাখ শ্রোতার অডিয়েন্স গড়ে তোলা অত্যন্ত কঠিন।

গতকাল লেখার সময় পর্যন্ত ব্যান্ডটির শ্রোতার সংখ্যা ছিল সাড়ে আট লাখেরও বেশি। অথচ বাস্তবে অস্তিত্বই নেই ব্যান্ডটির। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে এর প্রতিটি গান তৈরি করা হয়েছে।

মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দুটি অ্যালবাম প্রকাশ করেছে দ্য ভেলভেট সানডাউন।

গতকালই দিয়েছে আরেকটি অ্যালবামের ঘোষণা, এ সপ্তাহের মধ্যেই আসবে এটি। দেখলেই বোঝা যায়, ব্যান্ডটির প্রতিটি ছবি ও শিল্পকর্ম এআই দিয়ে তৈরি। ব্যান্ডটির সদস্যদের কোনো লাইভ ভিডিও নেই। প্রতিটি গানের মধ্যে সুনো নামক একটি মিউজিক জেনারেশন সেবার ছাপ রয়েছে।
ড্রামের গতিতে কোনো হেরফের নেই, প্রতিটি গানেই ভোকালিস্টের কণ্ঠ কিছুটা আলাদা। এআইয়ের তৈরি সংগীতে এ ধরনের অসংগতি থাকাই স্বাভাবিক।

যদিও ব্যান্ডটির বায়োগ্রাফি বলছে ভিন্ন কথা। সেখানে লেখা রয়েছে, ব্যান্ডটির চার সদস্যের নামগেইব ফ্যারো, লেনি ওয়েস্ট, মাইলো রেইনস ও ওরিওন রিও ডেল মার। কিন্তু কোনো সদস্যেরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা অন্য কোনো প্ল্যাটফর্মে প্রোফাইল নেই, কোনো ছবিও খুঁজে পাওয়া যায় না তাঁদের।

ব্যান্ডটির বিরুদ্ধে এআই ব্যবহারের অভিযোগ ওঠার পরও বায়োগ্রাফিতে নিজেদের বাস্তব মানুষ দাবি করেনি এই ব্যান্ড। বরং এক ভুয়া মুখপাত্রের দেওয়া কিছু মন্তব্যের নিন্দা জানিয়ে ব্যান্ডটির সঠিক আপডেট পেতে ফেসবুক ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের পেজে চোখ রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

দ্য ভেলভেট সানডাউনকে বলা যায় ১৯৭০-এর দশকের ফোক এবং সাইকাডেলিক রক ঘরানার ব্যান্ড। কিছু অল্ট-পপ এবং আধুনিক ইন্ডি ব্যান্ডের প্রভাবও আছে। গানের কথাগুলো বেশ অর্থহীন, সাইকাডেলিক রকের ক্ষেত্রে সেটি অবশ্য বেমানান নয়। তবে রেডিট এবং অন্যান্য ফোরামে ব্যবহারকারীরা বলছে, ব্যান্ডটির গানগুলোও লিখেছে এআই। অসংলগ্ন লিরিক তার প্রমাণ। এমনকি এ-ও হতে পারে, শ্রোতাগুলোও বট অ্যাকাউন্ট। অর্থাৎ এআইয়ের তৈরি সংগীত শুনছে অন্য এআই অথবা যন্ত্র, শিল্পী বা শ্রোতা কোনোটিই মানুষ নয়।

সংগীত ও চিত্রকর্ম জেনারেট করা থেকে শুরু করে স্পটিফাইয়ে আপলোড করা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রোফাইল তৈরি অবশ্যই কোনো ব্যক্তির কাজ। এ থেকে সে লাভবানও হচ্ছে, প্রতিবার এ ব্যান্ডের গানগুলো স্ট্রিম করলে অল্প কিছু রাজস্ব তার অ্যাকাউন্টে জমা হচ্ছে। ব্যান্ডটির বিষয়ে তুমুল সমালোচনার পরও দ্য ভেলভেট সানডাউনের প্রোফাইল বন্ধ করেনি স্পটিফাই। সে ক্ষেত্রে বলা যায়, এআই জেনারেটেড সংগীতকে উৎসাহিত করছে জনপ্রিয় এই প্ল্যাটফর্ম। আরেকটি স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ডিজার অবশ্য এ ব্যান্ডটিকে এআই ট্যাগ দিয়েছে। ডিজারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্ল্যাটফর্মটিতে যোগ দেওয়া নতুন শিল্পীদের মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশই এখন এআই। ভবিষ্যতে এর সংখ্যা আরো বাড়বে।

এআই ব্যবহার করে তৈরি সংগীতকে কি শিল্পকর্ম বলা যায়? বা এই গানগুলোর জন্য প্ল্যাটফর্মগুলোর রাজস্ব দেওয়া ঠিক হচ্ছে কি নাএ বিষয়ে ইন্টারনেটের বিভিন্ন ফোরামে চলছে তুমুল বিতর্ক এবং সমালোচনার ঝড়। ইন্ডি শিল্পীরা বলছেন, এআই সংগীতকে একই পাল্লায় মাপায় তাঁদের অবমূল্যায়ন করছে স্পটিফাই। কিছু শিল্পী এ-ও বলেছেন, স্পটিফাই ইচ্ছা করেই এআই জেনারেটেড সংগীতকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এতে করে এআই সংগীত স্ট্রিম হবে বেশি, বাস্তব শিল্পীদের গান শুনবে কম মানুষ। এতে বাস্তব শিল্পীদের স্পটিফাইয়ের কম রাজস্ব দিতে হবে, খরচ কমে যাবে তাদের। কারণ এআই সংগীতের রাজস্ব হার অনেক কম।

অন্যদিকে বিভিন্ন ফোরামে অনেক ব্যবহারকারী এআই সংগীতকে ফটোগ্রাফির সঙ্গে তুলনা করেছে। তারা বলছে, তৈলচিত্রের সঙ্গে আলোকচিত্র যেমন তুলনা করা উচিত নয়, তেমনি এআই জেনারেটেড কনটেন্টের সঙ্গে মানবসৃষ্ট শিল্পের তুলনা করাও ভুল। দুটোর ক্ষেত্র আলাদা, একে অন্যের পরিপূরক নয়।

এর আগে দ্য ডেভিল ইনসাইড নামের একটি ব্যান্ডের বিরুদ্ধেও এআই ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। দুই বছরের মধ্যে ১০টি অ্যালবাম কিভাবে তারা প্রকাশ করল, নিজের টক শোতে এ প্রশ্ন করেছেন জন অলিভার। মজার বিষয়, দ্য ভেলভেট সানডাউনের সঙ্গে এ ব্যান্ডটির [দ্য ডেভিল ইনসাইড] গানের বিষয়বস্তু এবং সুরের মিল রয়েছে। সম্ভবত দুটি ব্যান্ড একই এআই মডেল ব্যবহার করে তৈরি।

 

মন্তব্য

ফ্রিল্যান্সিং শুরুর আগে

    ইন্টারনেটের মাধ্যমে চুক্তিভিত্তিক রিমোট জব বা ফ্রিল্যান্স কাজের বাজার দ্রুত বদলাচ্ছে। আপওয়ার্ক বা ফাইভারের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোতে এআই সম্পর্কিত কাজের সংখ্যা বাড়ছে, এসব কাজ থেকে আয়ের পরিমাণও বেশি। ফ্রিল্যান্স জব মার্কেটের ট্রেন্ড নিয়ে লিখেছেন এস এম তাহমিদ
শেয়ার
ফ্রিল্যান্সিং শুরুর আগে

ক্যারিয়ার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং জনপ্রিয়। তবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য কী ধরনের কাজ শেখা উচিত, সেটা অনেকেই বুঝে উঠতে পারে না। ডিজিটাল মার্কেটিং, কপিরাইটিং আর গ্রাফিকস ডিজাইন কোর্সের চক্করেই রয়ে যায় অনেকে। সহজে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরুর জন্য বহুদিন পর্যন্ত এ ধরনের কাজই ছিল সেরা।

প্রোগ্রামিং ও সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টেরও কদর কম ছিল না। পুরো ক্ষেত্রটিই বদলে দিয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আগ্রাসন।

ফ্রিল্যান্স কাজের ক্ষেত্রে দুভাবে এর মূল্য নির্ধারণ করা হয়ছোট কাজের ক্ষেত্রে এককালীন পেমেন্ট, আর দীর্ঘমেয়াদি কাজে ঘণ্টাপ্রতি। তাই কোন ক্ষেত্রে সফলতার সম্ভাবনা কত, সেটি ঘণ্টাপ্রতি আয়ের হারে বিচার করা হয়।

এক ব্লগ পোস্টে ২৫টি উচ্চ আয়ের কাজের তালিকা প্রকাশ করেছে আপওয়ার্ক। সেরা সাতটি কাজ নিয়ে আজকের আয়োজন।

মেশিন লার্নিং ইঞ্জিনিয়ার

শীর্ষে আছে মেশিন লার্নিং ইঞ্জিনিয়ার, অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কিত কাজ। এই কাজগুলোর জন্য প্রতি ঘণ্টায় ৫০ থেকে ২০০ ডলার পর্যন্ত দিচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

গত এক বছরে এ ক্ষেত্রটিতে কাজের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ২৬ শতাংশ, ভবিষ্যতে আরো বাড়ার সম্ভাবনা আছে।

মেশিন লার্নিং ইঞ্জিনিয়ারিংকে বলা যায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ডাটা অ্যানালিসিসের মেলবন্ধন। ট্রেন্ডের সঙ্গে তাল মেলাতে সেবাগুলোর মধ্যে এআই যোগ করার চেষ্টা করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সেটা হতে পারে ওপেনএআই বা গুগলের এআই কাজে লাগিয়ে গ্রাহক সেবাদানকারী চ্যাটবট তৈরির মতো তূলনামূলক সহজ কাজ, অথবা লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল (এলএলএম) ট্রেনিং করে বিশেষায়িত এআই তৈরির মতো জটিল প্রজেক্ট।

মিডিয়া বায়ার

স্পন্সরড ভিডিও-বিজ্ঞাপন প্রচারের উপায় অনেকখবরের কাগজ বা ম্যাগাজিনের পাতায় ছাপা বিজ্ঞাপন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চালানো প্রচারণা অথবা টিকটক বা ইউটিউবে আপলোড করা।

তবে সব পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন সব মাধ্যমে প্রচার করলে সমান ফল পাওয়া যায় না। সম্ভাব্য ক্রেতার কাছে সঠিক মাধ্যম কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞাপন পৌঁছে দেওয়ার কাজটি করে মিডিয়া বায়ার। ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে এ ধরনের কাজ করে ঘণ্টাপ্রতি ৫০ থেকে ১০০ ডলারের বেশি আয় করা সম্ভব।

ক্লায়েন্টের পণ্য বা সেবার ধরন এবং বাজেট অনুযায়ী বিজ্ঞাপনের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করা মিডিয়া বায়ারদের কাজ। এ ক্ষেত্রটিতে অভিজ্ঞতা থাকা গুরুত্বপূর্ণ। যারা অন্তত কয়েক বছর বিজ্ঞাপন নিয়ে কাজ করেছে, বোঝে কোন ডেমোগ্রাফিকের কাছে কী ধরনের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে পৌঁছানো সম্ভবতারাই মিডিয়া বায়ার হিসেবে সফল হয়।

 

পাবলিক রিলেশনস ম্যানেজার

পাবলিক রিলেশনস (পিআর) ম্যানেজাররা কাজ করে প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্র হিসেবে। এ ধরনের কাজের মূল লক্ষ্য, জনসাধারণের মধ্যে পরিচিতি ও মর্যাদা ধরে রেখে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কার্যকলাপ সম্পর্কে প্রচারণা চালানো। প্রতিদিনের কাজের মধ্যে রয়েছে প্রেস রিলিজ লেখা এবং বিভিন্ন ধরনের গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্মে সেগুলো প্রকাশ করা। সে জন্য প্রতিটি পিআর ম্যানেজারের সঙ্গে সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের সুসম্পর্ক থাকা জরুরি। প্রতিষ্ঠানের কার্যকলাপ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখিও হতে হয় পিআর ম্যানেজারদের। এই ক্ষেত্রটিতে কাজ করার বড় দায়িত্ব হলো ক্রাইসিস মোকাবেলা করা। কোনোভাবেই প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা নষ্ট করা যাবে না।

ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্মগুলোতে পিআর ম্যানেজারের কাজ প্রতিনিয়ত বাড়ছে, ২০৩৩ সাল পর্যন্ত এই ক্ষেত্রে কাজের পরিমাণ প্রতিবছর অন্তত ৭ শতাংশ করে বৃদ্ধি পাবে। পিআর ম্যানেজারদের আয় ঘণ্টাপ্রতি ৫০ থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে।

 

সাইবার সিকিউরিটি ডেভেলপার

প্রতিনিয়ত নতুন ধরনের সাইবার হামলা ও ম্যালওয়্যার তৈরি করছে হ্যাকাররা, তাদের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে থাকতে যা করণীয় সবই সাইবার সিকিউরিটি ডেভেলপারের কাজ। ওয়েবসাইট বা সফটওয়্যারের ত্রুটি সারানো, ফায়ারওয়াল এবং অথেন্টিকেশনের নিরাপত্তা জোরদার করা থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নিরাপত্তা সিস্টেম তৈরি করারও প্রয়োজন হতে পারে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের চাহিদা ভিন্ন, একই নিরাপত্তাব্যবস্থা সব ক্ষেত্রে কার্যকর নয়। সঠিক নিরাপত্তাব্যবস্থা ঠিক করার মতো অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে এ ধরনের কাজ করে ঘণ্টাপ্রতি ৪০ থেকে ৯০ ডলার পর্যন্ত আয় করা যায়। এ ক্ষেত্রটিতে কাজের সুযোগও বাড়ছে দ্রুত, ২০৩৩ সাল পর্যন্ত বছরপ্রতি ৩৩ শতাংশ হারে এ কাজের পরিধি বাড়বে।

 

ভিডিও এডিটিং

ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ভিডিও এডিটর নিয়োগ করে অনেক কনটেন্ট নির্মাতা। কাজের দক্ষতা অনুযায়ী ঘণ্টাপ্রতি ১০ থেকে ৭০ ডলার পর্যন্ত আয়ের সুযোগ আছে। ইউটিউব এবং টিকটকের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর জনপ্রিয়তা এবং কনটেন্টের চাহিদা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাওয়ায় এ ক্ষেত্রটিতে কাজের সুযোগও বাড়ছে প্রতিনিয়ত।

গ্রাহকরা সাধারণত নিজেদের শুট করা ফুটেজ এবং ভয়েস ওভার রেকর্ড করে পাঠিয়ে দেয়। তাদের চাহিদা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভিডিও তৈরি করতে হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কিছু ভিজ্যুয়াল ইফেক্টসের কাজও করতে হয়। তাই এ কাজের জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী পিসি এবং উচ্চগতির ইন্টারনেট।

 

বিজনেস ও ফিন্যানশিয়াল কনসালট্যান্ট

ব্যবসার মুনাফা বাড়াতে সেটি সঠিকভাবে পরিচালনা করা এবং মূলধন ও অন্যান্য সম্পদের যথাযথ ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিজনেস ও ফিন্যানশিয়াল কনসালট্যান্টদের নিয়োগ করে থাকে। এ ধরনের কাজের মজুরি ঘণ্টাপ্রতি ২৮ থেকে ১০০ ডলারেরও বেশি হতে পারে। এ দুটি ক্ষেত্রে কাজের পরিমাণও প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ২০৩৩ সাল পর্যন্ত ১১ শতাংশ হারে কাজের সুযোগ বাড়তে থাকবে।

বিজনেস কনসালট্যান্টদের কাজ প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কার্যক্রম কিভাবে আরো সুচারুভাবে পরিচালনা করা যায় সেটি বের করা। সে জন্য অপ্রয়োজনীয় কর্মচারী ছাঁটাই করা, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় সংকোচন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিশেষায়িত ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করার মতো অনেক ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। বিজনেস কনসালট্যান্টদের দায়িত্ব ধাপগুলোর পূর্ণাঙ্গ কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা এবং বাস্তবায়ন।

প্রতিষ্ঠানের মূলধন এবং স্থাবর সম্পত্তিগুলোর সর্বোচ্চ লাভজনক ব্যবহার বের করা ফিন্যানন্সিয়াল কনসালট্যান্টদের দায়িত্ব। ব্যক্তি পর্যায়েও একই কাজ করে থাকে তারা। সেটা হতে পারে বিনিয়োগের পোর্টফোলিও সাজিয়ে দেওয়া, অবসরপ্রাপ্তদের পেনশনের লাভজনক বিনিয়োগের পরামর্শ দেওয়া বা ট্যাক্সের বোঝা কমানোর উপায় বের করা।

 

ডেটা অ্যানালিস্ট

প্রতিটি ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান বিপুল পরিমাণ তথ্য প্রতিনিয়ত সংগ্রহ করে। ক্রেতাদের তথ্য, বিক্রীত পণ্যের লেজার অথবা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হাজিরার তথ্যসব কিছু থেকেই প্রতিষ্ঠানকে আরো সুচারুভাবে পরিচালনার উপায় এবং কোথায় লোকসান হচ্ছেসেটিও বের করা যায়। এ কাজগুলোর জন্য ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ডেটা অ্যানালিস্ট নিয়োগ করে তারা। ঘণ্টাপ্রতি মজুরি ২০ থেকে ৫০ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে, তবে দক্ষ ডেটা অ্যানালিস্টদের ফুলটাইম চাকরিও দেয় অনেক প্রতিষ্ঠান, সে ক্ষেত্রে আয়ের পরিমাণ বেশি।

এ কাজগুলোর জন্য স্ট্যাটিসটিক্যাল অ্যানালিসিসে বিশেষায়িত সফটওয়্যারগুলো ব্যবহারে পারদর্শী হতে হবে। এ ক্ষেত্রে স্কিল বাড়ালে লস নেই, ২০৩৩ সাল পর্যন্ত অন্তত ২৩ শতাংশ হারে কাজের সুযোগ বাড়তে থাকবে।

 

এছাড়াও

সেরা সাতটি ফটো ফ্রিল্যান্স জবের বাইরে এডিটিং, এআই প্রফেশনাল, ব্লকচেইন ডেভেলপার, ডিজাইনার বা অ্যাপ ডেভেলপারের মতো আরো অনেক ধরনের কাজ করেও সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়া সম্ভব। সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চাইলে প্রয়োজন প্রতিটি প্ল্যাটফর্মে কী ধরনের কাজ বেশি পাওয়া যাচ্ছে সে অনুযায়ী নিজের দক্ষতা তৈরি করা। এ ক্ষেত্রে সফলতার আসল চাবিকাঠি দক্ষতা বাড়ানো।

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ