ঢাকা, শুক্রবার ১১ জুলাই ২০২৫
২৭ আষাঢ় ১৪৩২, ১৫ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ১১ জুলাই ২০২৫
২৭ আষাঢ় ১৪৩২, ১৫ মহররম ১৪৪৭
একসঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন ১২০০ জন

এআই সুবিধার ভিডিও কনফারেন্স প্ল্যাটফর্ম আনছে সিনেসিস আইটি

টেক প্রতিদিন ডেস্ক
টেক প্রতিদিন ডেস্ক
শেয়ার
এআই সুবিধার ভিডিও কনফারেন্স প্ল্যাটফর্ম আনছে সিনেসিস আইটি

করোনায় অনলাইনে মিটিং ও অন্যান্য কাজের জন্য বেড়েছে ভিডিও প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার। এই প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে দেশীয় তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সিনেসিস আইটি বিশ্বমানের একটি ভিডিও কনফারেন্স প্ল্যাটফর্ম আনছে। প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা ও উন্নয়ন শাখা তাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে রয়েছে। একসঙ্গে এক হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষকে যুক্ত করার সুবিধ ছাড়াও এতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নানা সুবিধা থাকবে।

বর্তমানে যেসব ওপেনসোর্স প্ল্যাটফর্ম আছে সেগুলো ২০ জনের বেশি লোড নিতে পারে না। এ ছাড়া এগুলোতে চার-পাঁচজনের কনফারেন্স ভালো হয়, কিন্তু ১০-১৫ জনের বেশি হলে আর পারে না। ওপেনসোর্স প্ল্যাটফর্মের পাশাপাশি বর্তমানে জুম, গোটুমিটিং, ব্লুজিন্সের মতো প্ল্যাটফর্ম থাকার পরও ভিডিও কনফারেন্স প্ল্যাটফর্ম নিয়ে কাজ করার কারণ তুলে ধরে সিনেসিস আইটির গ্রুপ সিইও রূপায়ণ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের প্ল্যাটফর্মে মৌলিক এমন কিছু থাকবে, যা ব্যবহারকারীদের অন্য রকম একটা অভিজ্ঞতা দেবে। আমরা কয়েকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রেখে কাজ শুরু করি।
সেগুলো হচ্ছে একটা ভিডিও মিটিংয়ে এক হাজার ২০০-র মতো অংশগ্রহণকারী থাকবে, অডিও বা সাউন্ড কোয়ালিটি হবে অসম্ভব উচ্চমানের।’ তিনি বলেন, সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা এতে সিনেসিস আইটির নিজস্ব সিকিউরিটি সিস্টেম ব্যবহার করছি। সিনেসিস আইটির মার্কেটিং এবং প্রডাক্ট ইনোভেশন বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার কাজী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান. এই প্ল্যাটফর্মটিতে ই-হেলথ, ই-লার্নিং এবং ই-গভর্নেন্সের জন্য বিশেষ ধরনের ফিচার ছাড়াও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা থাকায় ব্যবহারকারীরা পাবেন নানা সুবিধা। সিনেসিস আইটির গবেষণা এবং প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান বিজন কুমার ধর বলেন, ‘সম্প্রতি একটি টেস্টে আমরা দেখেছি, প্ল্যাটফর্মটিতে ১০০ জনে ৬৪ কোরের সার্ভারের মাত্র ৫ শতাংশ ব্যবহার হয়েছে।
ব্যান্ডউইথের ব্যবহারও খুব সন্তোষজনক। এক হাজার ২০০ জনের একটি মিটিং অনায়াসে করা যায়, যেখানে জুম সর্বোচ্চ সুবিধা দিচ্ছে এক হাজার জনের।       সূত্র : সিএনএন

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বছর শেষে আসছে ওপেনএআইয়ের সোরা

টেক প্রতিদিন ডেস্ক
টেক প্রতিদিন ডেস্ক
শেয়ার
বছর শেষে আসছে ওপেনএআইয়ের সোরা
সোরার তৈরি ভিডিওর স্থিরচিত্র

ওপেনএআইয়ের টেক্সট-টু-ভিডিও জেনারেটর সোরা আসছে চলতি বছরের শেষে। কম্পানিটির চিফ টেকনিক্যাল অফিসার (সিটিও) মিরা মুরাতি সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সোরা সম্পর্কে এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অন্যান্য এআই মডেলের তুলনায় সোরাকে চালানো খুবই ব্যয়বহুল। তার পরও ডাল-ই ৩-এর মতোই হবে সোরার সাবস্ক্রিপশন ফি।

তবে ফি এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। সোরার তৈরি প্রতিটি ভিডিওতে ওয়াটারমার্ক থাকবে। প্রতিষ্ঠিত কোনো তারকা ব্যক্তির ভিডিও তৈরির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে। আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন।
সে সময় সোরা উন্মুক্ত করা হবে কি না তা নিয়ে মুরাতি বলেন, নির্বাচনে কেমন প্রভাব ফেলবে, সে বিষয়ে আস্থা না থাকলে ওপেনএআই কোনো কিছু উন্মুক্ত করবে না। সোরাকে প্রশিক্ষণ দিতে কোন কোন সোর্স থেকে ডাটা নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, শাটারস্টকের কনটেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে ওপেনএআইয়ের চুক্তি আছে। তবে ফেসবুক বা ইউটিউবের কনটেন্ট ব্যবহৃত হয়েছে কি না, সে বিষয়টি নিশ্চিত করেননি তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সোরা উন্মোচন করে ওপেনএআই। প্রম্পট কত জটিল হবে তার ভিত্তিতে সময় নিয়ে এক মিনিটের হাই রেজল্যুশনের ভিডিও তৈরি করবে সোরা। এআই মডেলটি সূক্ষ্মাতিসূক্ষ বিষয়গুলো ভিডিওতে ফুটিয়ে তুলতে পারবে।

সূত্র : গ্যাজেট ৩৬০ ডিগ্রি

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
চীনের মুখপাত্র জানালেন

টিকটক নিষিদ্ধ করলে ক্ষতি হবে যুক্তরাষ্ট্রেরই

টেক প্রতিদিন ডেস্ক
টেক প্রতিদিন ডেস্ক
শেয়ার
টিকটক নিষিদ্ধ করলে ক্ষতি হবে যুক্তরাষ্ট্রেরই

টিকটক নিষিদ্ধ করার ফলাফল বুমেরাং হয়ে যুক্তরাষ্ট্রকেই ঘায়েল করবে বলে মন্তব্য করেছে চীন। চীনা কম্পানি বাইটডান্সের মালিকানাধীন কম্পানি টিকটককে নিষিদ্ধ করতে ভোট হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস বা কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে। বুধবার প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট সদস্যরা টিকটককে নিষিদ্ধের জন্য প্রটেক্টিং আমেরিকানস ফ্রম ফরেইন অ্যাডভার্সারি কন্ট্রোল্ড অ্যাপ্লিকেশন অ্যাক্ট নামের একটি খসড়া আইন পাস করেন। পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট খসড়া আইনটির অনুমোদন দিলে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একে পূর্ণাঙ্গ আইনে পরিণত করতে পারবেন।

এমনটা ঘটলে টিকটকের মালিকানা বিক্রি করতে হবে বাইটডান্সকে। এই সিদ্ধান্ত না মানলে যুক্তরাষ্ট্রের সব অ্যাপ স্টোর ও ওয়েবহোস্টিং প্ল্যাটফরম থেকে টিকটক নিষিদ্ধ করা হবে। এ বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়া ওয়েনবিন বলেছেন, টিকটক জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিএই দাবির সপক্ষে যুক্তরাষ্ট্র কোনো প্রমাণ খুঁজে না পেলেও টিকটককে দমিয়ে রাখছে। এ ধরনের নিপীড়নমূলক আচরণ নিরপেক্ষভাবে  জয়ী হতে পারে না, বরং কম্পানির স্বাভাবিক ব্যাবসায়িক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটায়।
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মনোবল ভেঙে দেয় এবং বৈশ্বিক অর্থবাণিজ্যের স্বাভাবিক চক্রে বাগড়া দেয়। শেষে এটা যুক্তরাষ্ট্রের জন্যই ক্ষতিকর হয়ে উঠবে।

ওয়া ওয়েনবিনের সঙ্গে চীনের মিডিয়াও একাত্মতা দেখিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে চীনের কয়েকটি পত্রিকা ব্যঙ্গাত্মক কার্টুনও প্রকাশ করেছে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে আছে ১৭ কোটি টিকটক ব্যবহারকারী।

সূত্র : বিবিসি

মন্তব্য

অ্যাপলের ভিশন প্রোর সহায়তায় মেরুদণ্ডের অপারেশন

টেক প্রতিদিন ডেস্ক
টেক প্রতিদিন ডেস্ক
শেয়ার
অ্যাপলের ভিশন প্রোর সহায়তায় মেরুদণ্ডের অপারেশন

অ্যাপলের ভিশন প্রোর হেডসেটের সহায়তায় অপারেশন করল লন্ডনের ক্রসওয়েল হাসপাতালের একটি চিকিৎসকদল। মেরুদণ্ডের হাড়ে অপারেশন করার আগে প্রস্তুতি হিসেবে হেডসেটটি পরেন দলটির নার্স সুভি ভেরহো। হেডসেটটি পরার পর ভার্চুয়াল স্ক্রিন থেকে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বাছাই করা এবং অপারেশনের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। ইএক্সইএক্স এআই অ্যাপের মাধ্যমে এই কাজগুলো করা সম্ভব হয়।

এ বিষয়ে ক্রসওয়েল হাসপাতালের সার্জন সাইদ আফতাব বলেন, ‘যেভাবে রোগীদের আমরা সেবা দিই তাতে বিশাল পরিবর্তন এনে দিয়েছে ভিশন প্রো। আগামী দিনে এই প্রযুক্তি কিভাবে পুরো হাসপাতালে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে তা দেখার অপেক্ষায় আছি।’ ভার্চুয়াল স্ক্রিন চোখের সামনে যখন ভেসে ওঠে তখন রোগীর অঙ্গগুলোর থ্রিডি চিত্র দেখা যায়। এ বিষয়ে অপারেশনপ্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকা নার্স সুভি ভেরহো বলেন, “এই প্রযুক্তি ‘গেমচেঞ্জার’, মানুষ যেসব ভুল করে সেগুলো দূর করে এটা, অনুমাননির্ভর কাজ করতে হয় না।
ফলে অপারেশনের সময় বাড়তি আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায়।” অ্যাপলের উদ্যোগেই ভিশন প্রো ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে বিভিন্ন হাসপাতালের সার্জারি বিভাগ। তবে ভিশন প্রো নিয়ে আলোচনা চললেও হেডসেটটির সমালোচনা করেছেন মেটাপ্রধান মার্ক জাকারবার্গ।

সূত্র : গিজমোদো

মন্তব্য

সফটওয়্যার বানিয়ে দেবে বিশ্বের প্রথম এআই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার

টেক প্রতিদিন ডেস্ক
টেক প্রতিদিন ডেস্ক
শেয়ার
সফটওয়্যার বানিয়ে দেবে বিশ্বের প্রথম এআই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার

চ্যাটজিপিটিকে কেন্দ্র করে এআই যে ধরনের বিপ্লব ঘটিয়ে যাচ্ছে তা শিগগিরই থামছে না। এআই ছুটছে বুলেট ট্রেনের গতিতে, ঝোড়ো বাতাসে নড়ে যাচ্ছে বিভিন্ন চাকরিক্ষেত্রের ভিত। নিশ্চিত ও নিরাপদ চাকরি হিসেবে পরিচিত সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং খাতেও ভীতি ছড়ানো শুরু করেছে এআই। সিলিকন ভ্যালির স্টার্টআপ ‘কগনিটিভ এআই’ তৈরি করেছে ‘ডেভিন’ নামের এক এআই সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট।

একে প্রথম এআই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারও বলা হচ্ছে। কোডিং সাজেশন দেওয়া এবং অর্ধসমাপ্ত কোড শেষ করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না ডেভিনের কাজ। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো সফটওয়্যার প্রজেক্টের কাজ সম্পন্ন করতে পারবে। যেমন—ওয়েবসাইটের জন্য ম্যাপ তৈরি করে নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নত করা এবং সেখানকার ঠিকানা, যোগাযোগের তথ্য প্রকাশ করার দক্ষতা রয়েছে এটির।
ওয়েবসাইটে কোনো ত্রুটি বা বাগ থাকলে সেটারও সমাধান করতে পারবে। যে কোড লিখে এআই সফটওয়্যারটি তৈরি করা হয়েছে সেই কোড পুনরায় লিখে পরীক্ষা চালিয়ে ত্রুটি সারাতে পারবে এটি।

এ ছাড়া আগের কথোপকথনের প্রসঙ্গ মনে রাখা, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শেখা এবং হাজার হাজার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আছে ডেভিনের। এতে খুব সাধারণ কিছু ডেভেলপার টুলও যুক্ত করা হয়েছে।

যেমন—শেল, কোড এডিটর ও ব্রাউজার। এআই সফটওয়্যারটির ক্ষমতা চিন্তায় ফেলে দিয়েছে ডেভেলপারদের। এক্সে (টুইটারে) পোস্টে অনেকেই লিখেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিখে পড়ে এসে চাকরিক্ষেত্রে দক্ষতা তৈরি হওয়ার আগেই মেশিন তাদের জায়গা নিয়ে নেবে। উল্লেখ্য, মাইক্রোসফটের কোপাইলট চ্যাটবটের ওপর ভিত্তি করে এই এআই সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্টটি তৈরি করা হয়েছে।          

                                সূত্র : ব্লুমবার্গ

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ