ঢাকা, বুধবার ১৩ আগস্ট ২০২৫
২৯ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৮ সফর ১৪৪৭

ঢাকা, বুধবার ১৩ আগস্ট ২০২৫
২৯ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৮ সফর ১৪৪৭

বিশ্ব শিশু দিবসের আয়োজন

শরীফ মাহ্দী আশরাফ জীবন
শরীফ মাহ্দী আশরাফ জীবন
শেয়ার
বিশ্ব শিশু দিবসের আয়োজন
বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে বিশ্ব শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা

প্রতিবছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার সরকারিভাবে বিশ্ব শিশু দিবস পালন করা হয়। সেই হিসাবে গত ৭ অক্টোবর সোমবার ছিল বিশ্ব শিশু দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য—‘প্রতিটি শিশুর অধিকার রক্ষা আমাদের অঙ্গীকার। এ ছাড়া শিশুর অধিকার, সুরক্ষা এবং উন্নয়ন ও বিকাশে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অধিকতর উদ্যোগী ও সচেতন করার লক্ষ্যে এ বছর ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত পালন করা হয়েছে শিশু অধিকার সপ্তাহ।

বসুন্ধরা শুভসংঘ বিশ্ব শিশু দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। শিশুদের নিয়ে নানা আয়োজনের মাধ্যমে এই দিবসটি পালন করেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ।

এ উপলক্ষে সোমবার সকালে নাটোর জেলা শহরের স্টেশন বস্তি এলাকায় অবস্থিত সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্বপ্নকলি স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্রীড়া ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় শিশুরা দুই বিভাগে চিত্রাঙ্কন ও জালে বল নিক্ষেপ, ঝুড়িতে বল নিক্ষেপসহ বিভিন্ন খেলায় অংশ নেয়।

বিজয়ীদের বিভিন্ন পুরস্কারসহ অংশ নেওয়া প্রতিটি শিশুকে চকোলেট ও বেলুন উপহার দেওয়া হয়। বসুন্ধরা শুভসংঘ নাটোর জেলা শাখার সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বসুন্ধরা শুভসংঘ সব সময় সমাজে পিছিয়ে পড়া শিশুদের নিয়ে নানা কার্যক্রম করে থাকে। বিশ্ব শিশু দিবসেও আমরা শিশুদের নিয়ে আয়োজন করতে পেরে আনন্দিত। ভবিষ্যতেও এমন কর্মসূচি নিয়ে আমরা শিশুদের পাশে থাকব, ইনশাআল্লাহ।
সাধারণ সম্পাদক সুষ্ময় দাস বলেন, আজকের এই দিনটি শুধু শিশুদের জন্য। বসুন্ধরা শুভসংঘ সব সময় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের উন্নয়ন গুরুত্বের সঙ্গে দেখে। আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করেন আসলাম আলী সরদার, রাশেদা খাতুন, শিশির কুমার দাস, বর্ষা খাতুন, ফাতেমা খাতুন, আরবী খাতুন, সানজিলা রহমান তটিনী, মুহছানিন ইসলাম মোহন প্রমুখ।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

প্রতি মাসে শিক্ষাবৃত্তি পাচ্ছেন ঢাবির ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী

স্বপ্ন দেখতে সাহস জোগায় বসুন্ধরা গ্রুপ

শেয়ার
স্বপ্ন দেখতে সাহস জোগায় বসুন্ধরা গ্রুপ
বসুন্ধরা শুভসংঘ থেকে শিক্ষাবৃত্তিপ্রাপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ। ছবি : শাহ্ মো. হাসিবুর রহমান হাসিব

বুকভরা সাহস ও হাজারো স্বপ্ন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) পড়তে আসেন দেশসেরা মেধাবীরা। প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীরা এসে প্রথমেই পড়েন অর্থনৈতিক সংকটে। বর্তমান সময়ে টিউশন পাওয়াও কঠিন থেকে স্বপ্ন দেখতে সাহস জোগায় বসুন্ধরা গ্রুপকঠিনতর হয়েছে। কী করবেন ভেবে দিশাহারা হন স্বপ্ন দেখা তরুণরা।

ঢাবির এমনই হাজারো তরুণের ভরসা ও আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় মেধাবী অথচ অসচ্ছল শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়িয়ে শুভসংঘ তৈরি করছে নতুন ইতিহাস। দায়িত্বশীল ও মানবিক মানুষ হয়ে দেশ গঠনের অনুপ্রেরণা দিচ্ছে তরুণদের। বসুন্ধরা শুভসংঘের বৃত্তি পেয়ে নিশ্চিন্তে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া হাজারো তরুণপ্রাণ এখন নিজেকে সৃষ্টিশীল করে তুলতে ব্যস্ত।
তাঁরা জানিয়েছেন ভিন্ন ভিন্ন অনুভূতি। বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তাপ্রাপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের এই অনুভূতিগুলো ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরবেন জাকারিয়া জামান। দ্বিতীয় পর্ব ছাপা হলো আজ

 

স্বপ্ন দেখতে সাহস জোগায় বসুন্ধরা গ্রুপ

তামিমা আক্তার

সমাজবিজ্ঞান বিভাগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্পণের রাস্তা আমার জন্য মোটেও মসৃণ ছিল না। পেরিয়ে আসতে হয়েছে আর্থ-সামাজিক নানা প্রতিকূলতা।

সাত সদস্যের গ্রামীণ দরিদ্র পরিবারের মেয়ে আমি। বাবা শারীরিক অসুস্থতার জন্য কর্মক্ষম নন। আমরা চার ভাই-বোন বর্তমানে অধ্যয়নরত। সঙ্গে একজন প্রতিবন্ধী ফুফু আমাদের সঙ্গেই বসবাস করেন। এত বড় সংসারের দায়িত্ব মা একা সামলান।
গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি পালন করার মাধ্যমে সংসার চালিয়ে নেন। প্রয়োজনের তুলনায় এটা খুবই অপ্রতুল। মেধাবী হওয়ায় সব সময় টিউশন ফি মওকুফ পেয়েছি। বই-খাতা, স্কুল ফিসহ অন্যান্য খরচ মেটাতে মা সব সময়ই টানাপড়েনে পড়তেন। যখন বয়স ১২ বছর, তখন থেকেই আমার সংগ্রাম শুরু হয়। নিজের পড়াশোনা চালানোর জন্য টিউশন করানো শুরু করি। গ্রামে টিউশনের সম্মানী ছিল খুবই কম। এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও আর্থিক অনটনে এইচএসসিতে মানবিক বিভাগে ভর্তি হই। অনেক কষ্টে এইচএসসি উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হলাম স্বপ্নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখানে এসে যেন অথই সমুদ্রে পড়ে গিয়েছিলাম। মেসে থাকার মতো সামর্থ্য ছিল না, তবু বাধ্য হয়ে ঋণ করে মেসে থাকতে হয়েছিল। সেই ঋণের ১০ হাজার টাকা এখনো পরিশোধ করা হয়নি। সম্পূর্ণ নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে অনেক বেশি সমস্যা হচ্ছিল। টিউশনও ম্যানেজ করা সম্ভব হয়নি। অত্যন্ত করুণভাবে দিন পার করতে হয়েছিল। গত মার্চ থেকে বসুন্ধরা শুভসংঘের বৃত্তি পাওয়া শুরু করি। তাদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা আমার কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়ানোর জন্য। এখন আর আমার চিন্তা করতে হয় না পরের বেলা খাওয়ার টাকাটা আছে কি না। মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেয়েছি। আমার পরিবারেরও আমাকে নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। কোনো প্রকার মানসিক প্রেসার ছাড়াই পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারছি। বসুন্ধরা শুভসংঘের এই মহান উদ্যোগ আমার মতো হাজারো অসহায় শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়িয়ে তাদের জীবনকে করেছে সহজ ও চিন্তামুক্ত। বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ হাজারো দরিদ্র শিক্ষার্থীর ভরসার জায়গা হয়ে ওঠার জন্য।

 

স্বপ্ন দেখতে সাহস জোগায় বসুন্ধরা গ্রুপ

মার্জিয়া নূর

বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগ

আমি গর্বিত যে আমি বসুন্ধরা শুভসংঘ পরিবারের একজন সদস্য। সংগঠনটিকে একদমই গভীর থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে আমার। সমাজের বহু মেধাবী শিক্ষার্থী শুধু অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে তাদের স্বপ্নের পথে এগোতে পারে না। আমি নিজেও নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান। জীবনে বারবার কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছি। বসুন্ধরা শুভসংঘ আমার জীবনের আশীর্বাদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর ভেবেছিলাম কোথায় এমন কী সাপোর্ট পেতে পারি, যেখানে রাজনৈতিক ঝামেলা থেকে পুরোপুরি মুক্ত থেকে মহামূল্যবান সময়গুলো লেখাপড়ার পাশাপাশি শুভ কাজে ব্যয় করতে পারি। এর কয়েক দিনের মধ্যেই আমি বসুন্ধরা শুভসংঘের সন্ধান পেয়েছি; সত্যি আমার স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হয়েছে। বসুন্ধরা শুভসংঘ আমার মতো হাজারো তরুণের অর্থনৈতিক হতাশা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়েছে। জীবন পরিচালনার পথে আশীর্বাদ হয়েছে। এই বৃত্তি শুধু আর্থিক সহায়তাই নয়, আমার আত্মবিশ্বাস অনেক গুণ বাড়িয়েছে। মনে হয়েছে, আমি একা নই, আমার পাশে দাঁড়ানোর জন্য শুভসংঘের মতো একটি মানবিক সংগঠন আছে। বসুন্ধরা শুভসংঘের মানবিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ড হৃদয় ছুঁইয়ে দেয়। বসুন্ধরা শুভসংঘ একটি আলোকিত পরিবার, যার আলোতে আলোকিত হচ্ছে চারদিক। মানুষ হিসেবে আমাকে আরো মানবিক হতে শিখিয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ।

 

স্বপ্ন দেখতে সাহস জোগায় বসুন্ধরা গ্রুপ

সুমাইয়া

আরবি বিভাগ

আমি একজন প্রান্তিক কৃষকের সন্তান। আমার বাবা বহুদিন ধরে অল্প জমিতে কৃষিকাজ করে আমাদের পরিবারের খরচ চালাতেন। আমাদের সংসারের আয় সব সময় সীমিত ছিল। কিন্তু কয়েক বছর আগে বাবা অসুস্থ হলে তাঁকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে আমাদের চাষের জমিটুকুও বিক্রি করে দিতে হয়। কিছুদিন সুস্থ থাকলেও পরে তিনি প্যারালিসিসে আক্রান্ত হন। এখন তাঁর শরীরের ডান পাশ পুরোপুরি অকেজো। তিনি আর কোনো কাজ করতে পারেন না এবং সবকিছুতেই অন্যের সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি অচল হয়ে পড়ায় আমরা মারাত্মক আর্থিক সংকটে পড়েছি। সংসারের খরচ, বাবার চিকিৎসা এবং আমার পড়াশোনার খরচ একসঙ্গে চালানো আমার ভাইয়ের পক্ষে অসম্ভব হয়ে উঠেছে। যেহেতু সে নিজেও পড়াশোনা করে। টিউশন করে এত কিছু সামলানো বোঝা হয়ে যায় তার জন্য। আত্মীয়-স্বজনের সহায়তা পাওয়ার মতো অবস্থাও নেই। কারণ তারা নিজেরাও অর্থসংকট ও সীমিত সম্পদে জীবন যাপন করে। বসুন্ধরা শুভসংঘের শিক্ষাবৃত্তি আমার জীবনে আশার আলো হয়ে এসেছে। এই সহায়তা আমাকে অন্তত দৈনন্দিন খরচের দুশ্চিন্তা থেকে কিছুটা মুক্ত করেছে। ফলে আমি পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারছি। মানসিকভাবে অনেকটা স্বস্তি পাচ্ছি এবং শিক্ষাজীবনে নতুন আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছি। আমি কৃতজ্ঞ বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি। দুঃসময়ে বসুন্ধরা পাশে না দাঁড়ালে আমার পড়াশোনা চালানোই কষ্টকর হতো। আমি ও আমার পরিবার কোনো দিন তাদের এই ঋণ শোধ করতে পারব না। ভালো থাকুন বসুন্ধরার সবাই।

 

স্বপ্ন দেখতে সাহস জোগায় বসুন্ধরা গ্রুপ

নূশরাত জাহান সুরভী

সমাজবিজ্ঞান বিভাগ

অনেক অনেক ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই বসুন্ধরা গ্রুপ ও শুভসংঘকে। তারা আমার জীবনে এমন একটা সময় পাশে দাঁড়িয়েছে, যখন সত্যি আমি দিশাহারা ছিলাম। আমার বাবা দরিদ্র কৃষক। সংসার চলে অল্প কিছু
জমির ওপর নির্ভর করে। ২০১৫ সালে বাবা স্ট্রোক করেন। এর পর থেকে আর আগের মতো কাজ করতে পারতেন না। সংসারে অভাব লেগেই থাকত, কিন্তু তার পরও বাবা চাইতেন আমি যেন পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারি। এইচএসসি পাস
করি ২০২৩ সালে। অনেক চেষ্টায় ও আল্লাহর রহমতে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাই। তবে এখানেই চিন্তা শেষ হয়নি। আসল চিন্তাটা তখনই শুরু হয়, ঢাকায় থেকে পড়াশোনার খরচ কিভাবে চালাব? এর মধ্যে আমার ছোট ভাই এসএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়ে নেত্রকোনায় কলেজে ভর্তি হয়। ফলে বাবার
পক্ষে আমাদের খরচ চালানো একেবারেই সম্ভব ছিল না। এই সময়েই পাশে দাঁড়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘ। তারা আমাকে প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা বৃত্তি দেয়, যা আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ চালাতে খুব সাহায্য করে। এই টাকা না পেলে হয়তো আমার স্বপ্নগুলো শুরু হওয়ার আগেই থেমে যেত। স্বপ্ন দেখি, বড় কিছু হব। আর এই স্বপ্নের পথে সাহস আর ভরসা জুগিয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় আমি এখন নিশ্চিন্তে পড়ছি। যে অবস্থায় ছিলাম, বসুন্ধরা গ্রুপ পাশে না দাঁড়ালে হয়তো এখানেই থেমে যেত আমার স্বপ্ন দেখা। স্বপ্ন দেখার সাহস জুগিয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ।

 

স্বপ্ন দেখতে সাহস জোগায় বসুন্ধরা গ্রুপ

সাদিয়া খাতুন

দর্শন বিভাগ

আমি সাদিয়া খাতুন, ২০২২-২৩ সেশন, দর্শন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। আমার বাবা একজন কৃষক। বর্তমানে বার্ধক্যজনিত কারণে কোনো কাজ করতে পারেন না। পাঁচ সদস্যের পরিবারে আমার বাবাই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। কিন্তু অনেক দিন ধরে কোনো কাজ করতে না পারায় ঢাকায় এসে আমার পড়াশোনা চালানো খুব কঠিন হয়ে যায়। এর আগে বাড়ি থাকাকালে টিউশন ও সেলাই মেশিনে কাজ করে চলতাম। পরে ঢাকায় আসি। বাবার একটু জমি ছিল, তা বন্ধক রেখে দেন। যখন আমার প্রতিবার খেতে গেলে হিসাব করত হতো আজ কী খাব? মাস কিভাবে শেষ হবে? পড়াশোনা ভালো হতো না এই চিন্তায়। এমন অবস্থায় জানতে পারি বসুন্ধরা সম্পর্কে। এরপর ভাইভা দেয় এবং আমার বৃত্তির ব্যবস্থা করে দেয়। এরপর আমার বাড়িতে বলার পর আব্বু-আম্মু দোয়া করেন, যাঁদের অসিলা করে আমার এ ব্যবস্থা হয়, তাঁদের জন্য। এখন আমি আল্লাহর রহমতে ভালোভাবে পড়াশোনা চালাতে পারছি এবং হলে ভালোভাবে চলতে পারছি বসুন্ধরার সহায়তায়। আমি চেষ্টা করি এই সাহায্যকে সত্ভাবে সঠিকভাবে ব্যবহারের। সর্বোপরি এমন শত শত মানুষের পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ। এ ছাড়া শুভসংঘের সেবামূলক কাজ দেখে আমি মুগ্ধ। আমিও চাই বসুন্ধরা শুভসংঘের হয়ে কাজ করতে এবং ভালো কাজে সবার পাশে থাকতে। শুভ কাজে সবার পাশে, বসুন্ধরা শুভসংঘ।

 

স্বপ্ন দেখতে সাহস জোগায় বসুন্ধরা গ্রুপ

রোজিনা আক্তার

ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ

বসুন্ধরা শুভসংঘ আমার পাশে দাঁড়িয়েছে, আমাকে বৃত্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছে। এটি শুধু আর্থিক সহায়তা নয়, আমার মনোবল বাড়িয়েছে, আশ্বাস দিয়েছে। বিপদের সঙ্গী হয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। জানুয়ারি ২০২৫-এ আমি রোকেয়া হলে সিট পাই। কিন্তু খাওয়া এবং পড়াশোনার খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলাম। প্রথম বর্ষে পড়ার কারণে টিউশন পাচ্ছিলাম না। পরিবারের পক্ষেও দায়িত্ব নেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। কারণ আমার আম্মু একমাত্র উপার্জনকারী। তিনি স্থানীয় একটি সুতার মিলে চাকরি করেন। তাঁর উপার্জিত সামান্য অর্থ দিয়ে সংসার এবং আমার পড়াশোনা চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। আমার এমন অসচ্ছলতার কথা শুনে বৃত্তির ব্যবস্থা করে দেয় বসুন্ধরা শুভসংঘ। যখন বৃত্তির টাকাটা আমার হাতে আসে, তখন অনেক আনন্দিত হই। বসুন্ধরা শুভসংঘের মাধ্যমে আমি পড়াশোনা চালাতে পারছি। আমার পাশে থাকার জন্য, আমাকে সুযোগ প্রদানের জন্য বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।

 

স্বপ্ন দেখতে সাহস জোগায় বসুন্ধরা গ্রুপ

ফাতেমা খাতুন

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া ছিল আমার বহুদিনের স্বপ্ন, যা অর্জনের পেছনে রয়েছে অনেক ত্যাগ, পরিশ্রম ও প্রার্থনার গল্প। বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের শুরুটা আমার জন্য ছিল বেশ চ্যালেঞ্জিং। পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় একদিকে নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়া, অন্যদিকে শিক্ষা ও দৈনন্দিন ব্যয় মেটানো—দুটিই হয়ে উঠেছিল অনেক বড় বাধা। আমার জীবনে আশার আলো হয়ে আসে বসুন্ধরা শুভসংঘ। জানতে পারি তারা মেধাবী কিন্তু অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের সহায়তায় এগিয়ে আসে। শিক্ষাবৃত্তির জন্য আবেদন করি এবং মহান আল্লাহর রহমতে সেই বৃত্তি লাভ করি। বসুন্ধরা শুভসংঘের এই সহায়তা শুধু একটি বৃত্তিই নয়, আমার স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য একটি শক্ত ভরসা। এই সহায়তার ফলে আমি পড়ালেখায় পুরোপুরি মনোযোগ দিতে পেরেছি। আমার পরিবারও স্বস্তি অনুভব করেছে। শুভসংঘ যেন অন্ধকার সময়ের এক উজ্জ্বল দীপ্তি। বসুন্ধরা শুভসংঘ আমার চলার পথকে অনেক সহজ করেছে। আরো অনেকের জীবনে আশার আলো হয়ে উঠুক, নতুন দিনের স্বপ্ন দেখাক বসুন্ধরা শুভসংঘ। অনেক ধন্যবাদ বসুন্ধরা গ্রুপকে।

 

স্বপ্ন দেখতে সাহস জোগায় বসুন্ধরা গ্রুপ

আয়েশা সিদ্দিকা

উর্দু বিভাগ

বাবা দরিদ্র কৃষক। আমরা পাঁচ ভাই-বোন। বাবাই আমাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাঁর পক্ষে আমাদের পরিবার চালানোই কষ্টকর। আমাদের পড়ালেখার খরচ চালানো তাঁর জন্য খুবই চাপের। ছোটবেলা  থেকেই  স্বপ্ন ছিল পড়ালেখা  করে  ভালো  কিছু  করার। তাই  অনেক  কষ্ট  করে  সামনের দিকে এগোতে  থাকি। সবকিছুতেই টানাপড়েন লেগেই থাকত। মানসিক  অবস্থা  অনেক  খারাপ  ছিল। পড়াশোনায় মন বসাতে  পারতাম  না। সব সময়  অস্থিরতা  কাজ করত। ভাবতাম, মাসটা কিভাবে শেষ  হবে, বাকি দিনগুলো কিভাবে চলব। আর্থিক চিন্তায় পড়াশোনা ও মানসিক অবস্থা খারাপ থেকে  খারাপ হতে লাগল। বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতি অশেষ  কৃতজ্ঞতা। তাদের দেওয়া বৃত্তি পেয়ে আমি অনুভব  করেছি বিপদের সময় একটু সাহায্য কতটা জরুরি। বসুন্ধরা শুভসংঘ আমার মতো  আরো অনেক শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়িয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সাহায্য করছে। বসুন্ধরা  শুভসংঘ আমাকে সব টানাপড়েন থেকে বের করে নিয়ে এসেছে। এখন ঠিকমতো পড়াশোনা করতে পারছি, ভালো রেজাল্টের জন্য পরিশ্রম করছি।

 

স্বপ্ন দেখতে সাহস জোগায় বসুন্ধরা গ্রুপ

সাবিকুন্নাহার লিমা

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ

প্রান্তিক দরিদ্র পরিবারের মেয়ে হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার স্বপ্নটা যেমন ছিল আনন্দের, তেমনি এক নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়াও ছিল চ্যালেঞ্জিং। পড়াশোনার পাশাপাশি আর্থিক সংকট আমাকে দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল। তখনই বসুন্ধরা শুভসংঘের শিক্ষাবৃত্তি আমার জীবনে আশার আলো হয়ে এসেছে। এই বৃত্তি পাওয়ার পর আমার পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ বেড়েছে। আগের মতো বই কেনা কিংবা নোট তৈরির খরচ নিয়ে ভাবতে হয় না। সবচেয়ে বড় কথা, বসুন্ধরা শুভসংঘের শিক্ষাবৃত্তি আমাকে মনে করিয়ে দেয়, আমি একা নই। বসুন্ধরা শুভসংঘ আমাকে অর্থনৈতিক সহায়তাই দিচ্ছে না, আমার মধ্যে মানবিকতা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার বীজ বুনে দিচ্ছে। ভবিষ্যতে সমাজের জন্য কিছু করতে অনুপ্রাণিত করছে। স্বপ্ন দেখি, একদিন আমিও কারো পাশে এভাবে দাঁড়াব।

 

স্বপ্ন দেখতে সাহস জোগায় বসুন্ধরা গ্রুপ

মাহমুদা খাতুন জ্যোতি

আরবি বিভাগ

আমার বাবা গ্রামের একটি মসজিদের মুয়াজ্জিন। তাঁর সামান্য আয়ে পরিবারের সবার ভরণ-পোষণের পাশাপাশি আমাকে ঢাকায় থেকে পড়াশোনা করানো অসম্ভব ছিল। আমি আরবি বিভাগের হওয়ায় টিউশন পেতেও অনেক ঝামেলা হয়। এক আত্মীয়র বাসায় খুবই বাজে অবস্থায় আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে থাকতে হয়েছে কয়েক মাস। হলে সিট পেয়ে যাওয়ার পর সেখানে আল্লাহর রহমতে সসম্মানে থাকতে পারছি। মাঝখানের জার্নিটা অনেক কঠিন ছিল। স্বল্প টাকায় মাস চালানোটা অনেক জটিল হয়ে যেত। এরপর আল্লাহর রহমতে বসুন্ধরা শুভসংঘের বৃত্তিপ্রাপ্ত হই। এখন অন্তত সেই চিন্তাটা নেই যে মাস শেষে কিভাবে বাড়িতে টাকা চাইব। এটা আমার কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে পাওয়া অশেষ রহমত।

 

স্বপ্ন দেখতে সাহস জোগায় বসুন্ধরা গ্রুপ

মরিয়ম আক্তার

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ

আমার বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলার প্রত্যন্ত এক গ্রামে। জীবনে প্রথম আমি পড়াশোনার উদ্দেশ্যে ঢাকায় এসেছি। নতুন শহর, নতুন পরিবেশ—সবকিছুই আমার জন্য ছিল চ্যালেঞ্জিং। আমার বাবা দরিদ্র কৃষক। আবাদি জমির পরিমাণ খুবই সামান্য। সেই অল্প জমির আয়ে সংসার চালানোই কঠিন হয়ে পড়ে, সেখানে আমার উচ্চশিক্ষার ব্যয়ভার বহন করাটা ছিল অসম্ভব। বাবা ছাড়া পরিবারের অন্য কোনো উপার্জনক্ষম ব্যক্তি নেই। ঢাকায় এসে কোথাও টিউশন খুঁজে পাইনি। একসময় অনেকটা দুশ্চিন্তায় ডুবে গিয়েছিলাম। তখনই আমি বসুন্ধরা শুভসংঘ সম্পর্কে জানতে পারি। আমি সেখানে আবেদন করি। আলহামদুলিল্লাহ, তাদের সহায়তায় আমি সেই অনিশ্চয়তা থেকে মুক্তি পেয়েছি।

 

স্বপ্ন দেখতে সাহস জোগায় বসুন্ধরা গ্রুপ

সাবরিনা

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ

আমি অনার্স চতুর্থ বর্ষের একজন ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড শিক্ষার্থী। শারীরিক অক্ষমতার কারণে আমার পক্ষে একা হলে থাকা সম্ভব হয় না। তাই আমি নিয়মিত ক্লাসেও অ্যাটেন্ড করতে পারি না। পরীক্ষার দিনগুলোতে আমাকে টঙ্গী থেকে সিএনজিতে করে পরীক্ষায় অ্যাটেন্ড করতে হতো, যা আমাদের মতো পরিবারের জন্য অনেকটাই কষ্টসাধ্য কিংবা বোঝার কারণ হয়ে দাঁড়াত; যা আমার জন্য যথেষ্ট ব্যয়বহুল কিংবা কঠিন হয়ে পড়ত। আমার বাবা একজন স্বল্প আয়ের গার্মেন্টসকর্মী ছিলেন। বর্তমানে তিনি বেকার। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াতের খরচ জোগানোই হয়ে উঠেছিল অনেক বড় দুশ্চিন্তার বিষয়। সম্পূর্ণ হুইলচেয়ারভিত্তিক চলাচল করতে হয় বলে টিউশনও ম্যানেজ করতে পারি না। বসুন্ধরা শুভসংঘের শিক্ষাবৃত্তি আমার জন্য অনেক বড় আশীর্বাদ।

 

 

 

মন্তব্য

বসুন্ধরার এই দৃষ্টান্ত অনুকরণীয়

    সন্তোষ কুমার শীল, সহকারী অধ্যাপক, টেকনাফ সরকারি কলেজ
শেয়ার
বসুন্ধরার এই দৃষ্টান্ত অনুকরণীয়

সৃষ্টি মানেই সুন্দর, সৃষ্টি মানেই নতুন। সৃষ্টি সুখের উল্লাসে মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে, মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রাখার মধ্যে আছে আনন্দ, আছে আত্মতৃপ্তি। বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় টেকনাফ উপজেলার ৩০ অসচ্ছল নারীকে বিনামূল্যে সেলাই মেশিন উপহার দেওয়া হয়েছে। জীবন ও জীবিকার তাগিদে যাঁদের পথচলা অতীব কষ্টসাধ্য এমন নারীর সমৃদ্ধির জন্য তিন মাস প্রশিক্ষণ শেষে এই সেলাই মেশিনগুলো তাঁদের দেওয়া হলো।

আমাদের সমাজের প্রায় অর্ধেক নারী। এক পায়ে যেমন হাঁটা যায় না, তেমনি নারীদের অনগ্রসর রেখে সমাজকে অগ্রসর করা যায় না। দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপ হয়তো এই উপলব্ধি থেকেই অনগ্রসর ও অসচ্ছল নারীদের এগিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। তাদের এই মহতী সিদ্ধান্ত অত্যন্ত যুগোপযোগী ও প্রশংসনীয়।
একটি পরিবার বা সমাজে সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরও বিভিন্নভাবে আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত হতে হবে। অনেক সময় নারীরা নিজেদের আত্মমর্যাদার জন্য আত্মনির্ভরশীল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে সমাজের বিভিন্ন স্তরে বাধাগ্রস্ত হন। যথার্থ পৃষ্ঠপোষকতা না পেয়ে অনেক নারীর স্বপ্নই অধরা থেকে যায়। তাঁরা দিনের পর দিন অবহেলায় সমাজের বোঝা হিসেবে থেকে যান।
বসুন্ধরা গ্রুপ সারা দেশে যে পরিমাণ মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে, অন্যরা যদি অর্ধেকও করত সমাজের মানুষের জন্য, তাহলে আমাদের দেশে অভাবের তাড়নায় এত হাহাকার থাকত না।

 

মন্তব্য

সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখবে বসুন্ধরা

    মো. রবিউল আলম, সভাপতি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, টেকনাফ পৌর শাখা
শেয়ার
সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখবে বসুন্ধরা

বসুন্ধরা শুভসংঘের মাধ্যমে সেলাই মেশিন পেয়ে অসচ্ছল নারীরা স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ পাবেন। একটি সেলাই মেশিনের মাধ্যমে একজন নারী স্বাবলম্বী হবেন শুধু তা-ই নয়, আমি মনে করি একটি সেলাই মেশিন একটি পরিবার ও সমাজের আর্থিক সচ্ছলতায় অনন্য অবদান রাখতে সক্ষম। বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই মেশিন পাওয়া অসচ্ছল নারীরা নিজেরা স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি তাঁদের পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন ছাড়াও সমাজের অন্য নারীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন। বসুন্ধরা গ্রুপের আর্থিক সহায়তায় টেকনাফের মতো একটি অবহেলিত এলাকার পিছিয়ে পড়া অসচ্ছল নারীদের স্বাবলম্বী করার যে উদ্যোগ বসুন্ধরা শুভসংঘ নিয়েছে, তা প্রশংসনীয়।

দেশে অনেক বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান থাকলেও প্রত্যেকে এভাবে সমাজের মানুষের আর্থ-সামজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে না। সারা দেশে শুভসংঘের মাধ্যমে বসুন্ধরা গ্রুপের মানবিক কার্যক্রমগুলো দারিদ্র্য বিমোচন ও বেকারত্ব দূর করে একজন নারীকে অবহেলা-অবজ্ঞার গ্লানি ছেড়ে স্বনির্ভর ও আত্মমর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম করবে। একটি সেলাই মেশিনের মাধ্যমে নারীরা চাইলে নিজেকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন। এই মেশিনের মাধ্যমে তারা পরিবার থেকেই ক্ষুদ্র ব্যবসার সূচনা করতে পারেন।
বসুন্ধরা গ্রুপ ও বসুন্ধরা শুভসংঘ সমাজের মানুষের জন্য যে অসাধারণ উদ্যোগ নিয়েছে, এটি দেশের বিত্তবানদের জন্য অনুকরণীয় বার্তা হিসেবে থাকবে।

 

মন্তব্য

নারী উন্নয়নে সবাই এভাবে ভাবেন না

    মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, অর্থ সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), কক্সবাজার জেলা শাখা
শেয়ার
নারী উন্নয়নে সবাই এভাবে ভাবেন না

টেকনাফের পিছিয়ে পড়া অসচ্ছল ৩০ নারীকে তিন মাস প্রশিক্ষণ দিয়ে সেলাই মেশিন দিয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। কাজটি সম্পন্ন করেছে দেশসেরা সামাজিক সংগঠন বসুন্ধরা শুভসংঘ। এই সংগঠনটির মাধ্যমে সারা দেশে বসুন্ধরা গ্রুপের মানবিক কার্যক্রম দৃশ্যমান। টেকনাফে বসুন্ধরা শুভসংঘ তাদের মানবিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সেলাই মেশিন দিচ্ছে এবং সে অনুষ্ঠানে আমি উপস্থিত থেকে নিজেকে ধন্য মনে করছি।

সমাজের মানুষের জন্য যে-ই এগিয়ে আসুক, তা শুধু সমাজের মানুষের উন্নয়নে সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং পুরো দেশকে পরিবর্তনে অনন্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়। প্রশিক্ষণ পাওয়া এই নারীরা যদি আরো একজন করে নারীকে সেলাই প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষতা অর্জনে সাহায্য করেন, তাতেও মন্দ কিসে? বসুন্ধরার সেলাই মেশিনে আজ ৩০টি পরিবারে হাসি ফুটবে। তারা দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে আলোর মুখ দেখতে সক্ষম হবে। বসুন্ধরা গ্রুপের উপহার হিসেবে সেলাই মেশিন পাওয়ার মাধ্যমে যেসব নারী আত্মনির্ভরশীল হওয়ার যাত্রা শুরু করেছেন, এটি আমাদের পিছিয়ে পড়া নারীসমাজের জন্য নিশ্চিত আনন্দের সংবাদ।
বসুন্ধরা শুভসংঘের নানা কাজের বিষয়ে আগে আমার কোনো ধারণা ছিল না। আমার মনে হয়, বসুন্ধরা গ্রুপ সমাজের অনগ্রসর নারীদের নিয়ে যেভাবে চিন্তা করেছে, সেভাবে অন্য সবাই ভাবেন না। তাদের সহায়তায় অসচ্ছল ৩০ জন নারীকে বিনামূল্যে সেলাই মেশিন বিতরণ নিঃসন্দেহে একটি মহৎ উদ্যোগ। বসুন্ধরা শুভসংঘের এ ধরনের মানবিক কার্যক্রম সারা বছর ধরে চলতে থাকুক।
বসুন্ধরা গ্রুপের নানা সহায়তা নিয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘ ভবিষ্যতেও এই সীমান্ত উপজেলার অসচ্ছল মানুষের পাশে দাঁড়াবে, এমনটিই আমাদের প্রত্যাশা।

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ