অর্থনীতি, রাজনীতি ও কূটনীতির খেরোখাতা

&lt;p&gt; ব্রিটিশরা ভারতবর্ষে নিজেদের শাসনক্ষমতা বজায় রাখার স্বার্থে এই ভূমির ইতিহাসকে তাদের মতো করে গড়ে তুলেছিল। ইতিহাস বিকৃতিতে ইংরেজদের দোষারোপ করলেও ১৯৪৭-পরবর্তী পাকিস্তানে কিংবা &#039;৭১-পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশে জাতি, সমাজ, রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উন্নতি, সংস্কৃতির সমৃদ্ধি, জনগণতান্ত্রিক রাজনীতি গড়ে তোলার প্রশ্নে যে বুনিয়াদই প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরা ও তাকে কষ্টিপাথরে যাচাই-বাছাই করে উন্নত সমাজ-রাষ্ট্র গঠনে দিকনির্দেশনার পথপ্রদর্শকের ভূমিকায় আনার কথা ছিল। অন্তত তৎকালীন জাতীয়তাবাদী রাজনীতির উপরিকাঠামোর চরিত্র তাই বলে! কিন্তু তা হয়ে ওঠেনি। তার অন্যতম কারণ বলা যায় জনগণের সত্যিকারের প্রতিনিধিত্বশীল রাষ্ট্রশক্তির অভাব। সরকারি ইতিহাস লেখক অপেক্ষা পণ্ডিতি লেখকের অভাব। ফলে সংখ্যালঘু শাসকগোষ্ঠীর স্বার্থেই, তাদের আদর্শ, উদ্দেশ্য ও দৃষ্টিভঙ্গিতে রচিত ইতিহাসে সয়লাব হয়েছে। &#039;বাঙালির ইতিহাস&#039; গ্রন্থে নীহাররঞ্জন রায় এক স্থানে লিখেছেন &#039;মানুষের সমাজই মানুষের সর্বপ্রকার কর্মকৃতির উৎস, এবং সেই সমাজের বিবর্তন-আবর্তনের ইতিহাসই দেশকালধৃত মানব-ইতিহাসের গতিপ্রকৃতি নির্ণয় করে।&#039; ফলে আমাদের বিকৃত বহুভঙ্গির ইতিহাসে জনগণতান্ত্রিক রাষ্ট্র তৈরির গতিপ্রকৃতি ভুলপথে চালিত করেছে। রাজকূট জানা-অজানা কিংবা চেপে রাখা ইতিহাস ঢুঁড়ে ঢুঁড়ে জনসমক্ষে তুলে ধরার আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা ব্রিটিশদের অর্থনৈতিক শোষণ-নিপীড়নের অন্যতম জ্বলন্ত উদাহরণ &#039;সাঁওতাল বিদ্রোহ&#039; বা সাঁওতালি ভাষায় &#039;হুল&#039; বিদ্রোহের ইতিবৃত্ত তুলে ধরি। শোষণ-নিপীড়নের হাত থেকে রক্ষা পেতে। একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক ভূখণ্ডের জন্য এ জনপদের মানুষ বারবার অকাতরে প্রাণ দিয়েছে। ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের আগে শক্তিশালী ও অপ্রতিরোধ্য ব্রিটিশ বাহিনীকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল এই &#039;সাঁওতাল বিদ্রোহ&#039;। বন্দুক-কামান আর আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র উপেক্ষা করে সাঁওতালরা নেমেছিল নিজেদের ভূমি রক্ষার তাগিদে, নিজেদের দেশ ও অস্তিত্ব রক্ষার জন্য। এ বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন দুই অকুতোভয় সাহসী সহোদর সিদু ও কানু। শেষ পর্যন্ত প্রাণ দিয়েছিলেন তাঁরা নিজেদের স্বাধীনতার জন্য। মৃত্যুক্ষণে বিপ্লবী কানু বলেছিলেন, &#039;আমি আবার আসব, সারা দেশে বিদ্রোহের আগুন জ্বালিয়ে তুলব।&#039; বাংলার বিদ্রোহ সাঁওতাল বিদ্রোহ নিয়ে রাজকূটের প্রথম ধাপ প্রকাশনার ২৫তম সংখ্যায় &#039;সাঁওতাল বিদ্রোহ : নিপীড়িতের পুনর্জন্ম&#039; শিরোনামে বিশেষ বিশ্লেষণী প্রচ্ছদ প্রতিবেদন করে।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; ১৯৬১ সালের ১৯ মে বরাক ভ্যালির ভাষা আন্দোলনে প্রাণ হারান ১১ জন মানুষ। বাংলাদেশ তো বটেই, ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও বাঙালিদের মধ্যেও এই ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিরক্ষায় খুব একটা উদ্যোগ দেখা যায় না। বরাক ভ্যালির ভাষা আন্দোলনের ঊনপঞ্চাশ বছর পূর্তিতে ১৯ মের এই ভাষা আন্দোলন নিয়ে শিলং ঘুরে বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত নিয়ে বিশেষ প্রচ্ছদ প্রতিবেদন করা হয়েছিল রাজকূটের ১৯তম সংখ্যায়, যার শিরোনাম ছিল &#039;অমর উনিশে : বাংলা ভাষার জন্য প্রাণ দেওয়া আরো ১১ জন&#039;।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; একাত্তরে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীনতার সুফল ভোগ করেছি সবাই। আমাদের লাল-সবুজ পতাকায় জড়িয়ে আছে যাঁদের সম্ভ্রম, তাঁরাই শুধু থেকেছে বঞ্চিত। তাঁদের মৃত্যুতে জানাজা হয় না, মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম ওঠে না, অসুস্থতায় চিকিৎসা হয় না! এই অকৃতজ্ঞ রাষ্ট্র ও সমাজ তাঁদের কথা ভুলতে চায়, ভুলে থাকতে চায়। বীরাঙ্গনা মায়েদের অবস্থা জানতে রাজকূট বেরিয়েছিল বাংলার পথে পথে। &#039;আমার মায়ের কথা ভুলেই গেছে বাংলাদেশ&#039; প্রচ্ছদ শিরোনামে রাজকূট নবম সংখ্যা প্রকাশ করে।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; ১৪ মার্চ ১৯৮২ সালে সামরিক আইন জারি করে ক্ষমতা দখল করেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ছাত্ররা প্রথম থেকেই এরশাদের শাসনক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করে বসে। স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্রদের প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রথম শহীদের নাম জয়নাল দিপালী কাঞ্চন। পশ্চিম থেকে আগত ভ্যালেন্টাইনের জোয়ারে ভেসে এ প্রজন্ম ভুলে যাচ্ছে সেই সব শহীদের নাম। ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারির সেই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজকূট তার সপ্তম সংখ্যায় প্রকাশ করে &#039;রক্তের অক্ষরে লেখা শহীদের নাম ভেসে গেছে ভ্যালেন্টাইনের জোয়ারে&#039;। এ ছাড়া এরশাদের শাসনক্ষমতা দখল যে অবৈধ ছিল, তা শেষ পর্যন্ত ২০১০ সালের ২৬ আগস্ট হাইকোর্ট এক ঐতিহাসিক রায়ের মধ্য দিয়ে আরো একবার প্রমাণিত হয়। এ সম্পর্কে রাজকূটের ৩২তম সংখ্যায় &#039;সহি বড় এরশাদনামা&#039; শিরোনামে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন করা হয়।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; ইতিহাসের রহস্যময় অংশ &#039;মুজিব বাহিনী&#039;। মুজিবনগর সরকারের অলক্ষ্যে গড়ে ওঠা &#039;মুজিব বাহিনী&#039; শেষ বিচারে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্যও উপকারী কোনো সংগঠন হিসেবে কাজে আসেনি, যার প্রমাণ মিলেছে স্বাধীনতার পর। ইতিহাস খুঁড়ে সেই বাহিনীর আদ্যোপান্ত নিয়ে রাজকূটের ৫৮তম সংখ্যায়-&#039;মুজিব বাহিনী : মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে রহস্যময় অধ্যায়&#039; শিরোনামে প্রচ্ছদ রচনা করা হয়। অন্যদিকে বিএনপি ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে থাকে। অথচ ৭ নভেম্বর সংঘটিত করার অপরাধে সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেওয়া মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহের বীর-উত্তমকে বেআইনিভাবে ফাঁসি দেওয়া হয়। কর্নেল তাহেরের চিঠি এবং তাঁর স্বজনদের সঙ্গে আলাপ করে রাজকূটের ২৭তম সংখ্যায়-&#039;কর্নেল তাহের : ফাঁসির মঞ্চে গেয়ে গেলেন জীবনের জয়গান&#039; শিরোনামে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন করা হয়।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; &lt;a name=&quot;RIMG0&quot;&gt;&lt;/a&gt;&lt;/p&gt; &lt;p&gt; প্রতিশ্রুতি, প্রত্যাশা আর বরখেলাপের রাজনীতি&lt;/p&gt; &lt;p&gt; নবম জাতীয় সংসদীয় নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি আসনের দিক থেকে অনেক পিছিয়ে থাকলেও ভোটের হারে আওয়ামী লীগের থেকে খুব বেশি দূরে ছিল না। সেই মোতাবেক জনগণের সরকার ও বিরোধী দলের কাছে ছিল সমান প্রত্যাশা। সবাই বিরোধী দলকে সংসদে জনগণের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে গঠনমূলক অবস্থানে দেখতে চান। বিরোধী দলকে ছায়া সরকার বলা হলেও কার্যত তা প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে সরকারি কিংবা বিরোধী দলের কারোরই কোনো দিন প্রচেষ্টা লক্ষ করা যায়নি। বিরোধী দলের কাছে মানুষের প্রত্যাশা নিয়ে রাজকূটের ১৩তম সংখ্যা ছিল &#039;চাই শক্তিশালী বিরোধী দল&#039; শিরোনামে। এ ছাড়া কার্যকরহীন নবম জাতীয় সংসদের এক বছর পূর্তিতে রাজকূটের দ্বিতীয় সংখ্যায় প্রকাশ হয় &#039;আসন ভাগাভাগির রাজনীতি এক বছরেও কার্যকর হয়নি সংসদ&#039;।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; নবম জাতীয় নির্বাচনের আগে তৎকালীন মহাজোট নেত্রী আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, &#039;উপজেলা পরিষদকে শক্তিশালী ও কার্যকর করবেন।&#039; আজও পর্যন্ত তা হয়নি, ফলে আজকের প্রধানমন্ত্রীর এই প্রতিশ্রুতি আষাঢ়ে গল্পে পরিণত হয়েছে। রাজকূটের তৃতীয় সংখ্যায় এ বিষয়টি নিয়েই &#039;উপজেলা : স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণের আষাঢ়ে গল্প&#039; শিরোনামে প্রকাশিত হয়।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; দলীয় পরিচয়ে অযোগ্য ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে জনপ্রশাসনের দলীয়করণ এবং প্রশাসনের ওপর সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের অন্যায্য নিয়ন্ত্রণ একটি গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় কাম্য নয়। অন্যদিকে একটি রাজনৈতিক কর্মসূচির প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকারের সঙ্গে জনপ্রশাসনের দ্বন্দ্বও দেশের অগ্রগতির জন্য হুমকি। রাজনৈতিক দল বনাম প্রশাসনের দ্বন্দ্বের আলোকপাত নিয়ে রাজকূট ৩৫তম সংখ্যায় করে &#039;দল বনাম প্রশাসন&#039;।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; দেশের দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে সমূলে দুর্নীতির মূল উৎপাটনের দায়িত্ব দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের। কিন্তু আদতে দুদক বরাবর যেকোনো সরকারের তল্পিবাহক প্রতিষ্ঠান হয়েই থেকেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের আদ্যোপান্ত নিয়ে রাজকূট তার চতুর্থ সংখ্যায় করে &#039;দুর্নীতি দমন কমিশন : সরকারের পোষা নখদন্তহীন প্রতিষ্ঠান&#039;। এ ছাড়াও ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত আঞ্চলিক পরিষদের কার্যক্রম ও ৯ আগস্ট পালিত হওয়া বিশ্ব আদিবাসী দিবসকে কেন্দ্র করে রাজকূটের ৩০তম সংখ্যায় প্রকাশিত হয় &#039;কোন পথে পার্বত্য আঞ্চলিক পরিশোধ&#039;। এ ছাড়া নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান ও বনপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি সানাউল্লাহ নূর বাবু হত্যা মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে না পারায় রাজকূটের ৪১তম সংখ্যায় বের হয় &#039;পেরিয়ে গেছে এক মাস : জনপ্রতিনিধি হত্যায় নিশ্চুপ রাষ্ট্র&#039;। টিফার সাতকাহন নিয়ে &#039;টিফা এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ&#039; শিরোনামে প্রকাশিত হয় রাজকূটের ২০তম সংখ্যায়। আধুনিক ক্ষুদ্রঋণের ধারণার জন্ম বাংলাদেশে। এর প্রবক্তা ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁর সেই আধুনিক ক্ষুদ্রঋণ এখন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য-পশ্চিম অঞ্চল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঋণ আদৌ ঋণগ্রহীতাকে দারিদ্র্যসীমার ওপরে তুলেছে কি না-তা নিয়ে চলছে এখনো বিতর্ক। রাজকূটের ৪৮তম সংখ্যায় &#039;ক্ষুদ্রঋণ দারিদ্র্য এবং বৃহৎ বাণিজ্য&#039; শিরোনামে এ বিষয়ে বিশ্লেষণাত্মক প্রচ্ছদ প্রতিবেদন করে। এ ছাড়া বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে রাজকূটের ৫২তম সংখ্যায় &#039;রাষ্ট্রের হত্যাকাণ্ডের নাম ক্রসফায়ার!&#039; শিরোনামে প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া রাজনীতির ১০তম সংখ্যায় প্রকাশিত হয় &#039;রাষ্ট্র যখন সন্ত্রাসের প্রশ্রয়দাতা&#039;।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; &lt;/p&gt; &lt;p&gt; নারীর অধিকার রক্ষায় সমাজ ও রাষ্ট্র কত দূর?&lt;/p&gt; &lt;p&gt; ৮ মার্চ পালিত হয় বিশ্ব নারী দিবস। প্রতিবছরই স্লোগানে ও পোস্টারে, সভা আর শোভাযাত্রায় নারী অধিকারের কথা বলাও হয় জোরালোভাবে। কিন্তু আদৌ কি নারীদের অধিকার রক্ষায় এগোচ্ছে সমাজ ও রাষ্ট্র? নাকি দিনের পর দিন, বছরের পর বছর এই নারী অধিকার কথাটি শুধু কেতাবি কথাতেই সীমাবদ্ধ রয়ে যাচ্ছে? খোদ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্যরা কি ঠিকমতো তাঁদের দায়িত্ব পালন করতে পারছেন? এ বিষয়টি নিয়েই রাজকূটের ৫৬তম সংখ্যায় করা হয় &#039;সংরক্ষিত নারী আসন : সংসদেই প্রশ্নবিদ্ধ নারী অধিকার&#039;। এ ছাড়া রাজনীতির চতুর্থ সংখ্যায় প্রকাশিত হয় &#039;নারী উন্নয়ন নীতিমালা ২০১১ : রাজনৈতিক চাতুর্যে ভরা কাঁঠালের আমসত্ত্ব&#039;।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; &lt;/p&gt; &lt;p&gt; ঐতিহ্যবাহী ছাত্ররাজনীতির কলঙ্কময় বর্তমান&lt;/p&gt; &lt;p&gt; বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে ছাত্রলীগের ইতিহাসকে আলাদা করে দেখার কোনো উপায় নেই। আমাদের সব আন্দোলন-সংগ্রামে সেই ১৯৪৮ সাল থেকেই ছাত্রলীগ উজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংগঠনটি পরিণত হয়েছে দখলবাজ, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজদের নিরাপদ আশ্রয়ে। ছাত্রলীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে রাজকূটের পঞ্চম সংখ্যায় প্রকাশিত হয় &#039;ছাত্রলীগকে সামলানোর কেউ নেই&#039;। অন্যদিকে দেশে ছাত্ররাজনীতি খুইয়ে বসেছে তাদের অতীত ঐতিহ্য। বড় ছাত্রসংগঠনগুলো পরিণত হয়েছে অছাত্রদের স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ারে। বয়সভিত্তিক রাজনৈতিক দল তৈরির ব্যবস্থা থাকলে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে বুড়ো আর অছাত্রদের নিয়ে গঠিত কেন্দ্রীয় কমিটি নিয়ে রাজকূটের যাত্রা শুরুর সংখ্যাতেই &#039;আমরা শক্তি আমরা বল বিবাহিত বৃদ্ধ দল&#039; নামে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ছাত্রলীগের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে রাজনীতির ৩২তম সংখ্যায় &#039;ছাত্রলীগ যেন আওয়ামী লীগের পতন ঘণ্টা!&#039; শিরোনামে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; &lt;/p&gt; &lt;p&gt; মুক্তিযুদ্ধ : রক্তের আখরে লেখা যত নাম&lt;/p&gt; &lt;p&gt; ২৫ মার্চের কালো রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বর্বরোচিত হামলার মধ্য দিয়ে পৃথিবী থেকে পূর্ব পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে কী হচ্ছিল তা পৃথিবীবাসী খুব কমই জানতে পারছিল। এ সময় জীবনের মায়া ত্যাগ করে ভারতীয় স্টেটসম্যান পত্রিকার তরুণ সাংবাদিক মানস ঘোষ বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। বাংলাদেশের জনগণ ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত সংবাদ বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার জন্য মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করেন। সেই মানস ঘোষের সাক্ষাৎকার নিয়ে রাজকূটের ১১তম সংখ্যা ছিল &#039;সীমান্ত পার হয়ে আসা প্রথম বিদেশি সাংবাদিক&#039;।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; অন্যদিকে ২০ মে, ১৯৭১। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা থেকে আগত মানুষ অপেক্ষা করছে ভারতে পাড়ি দেওয়ার। ঘড়ির কাঁটায় সকাল ১০টা। পাকিস্তানি বাহিনীর একটি কনভয় প্রবেশ করে চুকনগরে। তারপর? নির্বিচারে মানুষের ওপর মেশিনগানের তপ্ত বুলেট। নিহতের সংখ্যা কে গুনবে? জীবিত মানুষ কোথায়। পৃথিবীবাসী তো দূরে থাক বাংলাদেশের শাসক শ্রেণির হাতে গড়া ১৫ খণ্ডের স্বাধীনতার দলিলপত্রেও এই গণহত্যার ঠাঁই হয়নি। খুলনার সেই চুকনগর নিয়ে রাজকূটের ১৮তম সংখ্যায় প্রকাশিত হয় &#039;চুকনগর গণহত্যা : ঠাঁই হয়নি স্বাধীনতার দলিলপত্রে!&#039;&lt;/p&gt; &lt;p&gt; মুক্তিযুদ্ধ শেষ হওয়ামাত্র ঘাতক-দালালদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব ছিল ১৯৭১ সালেই। কিন্তু তা হয়ে ওঠেনি, জাতিকে সে বিচারের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে দীর্ঘ চার দশক। যা এখনো চলমান। কিন্তু ইতিহাস বলে খুলনা জেলার কপিলমুনিতে সেই বিচার হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বরের আগেই। ইতিহাসের পর্দার আড়ালে বিস্মৃত সেই বিচারের কাহিনী নিয়ে রাজকূটের ৪৫তম সংখ্যায় প্রকাশ হয় &#039;খুলনার কপিলমুনি : একাত্তরের সেই গণ-আদালত&#039;।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; অতঃপর দীর্ঘ ৩৮ বছরের প্রতীক্ষা শেষে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজ শুরু হয়। একের পর এক যুদ্ধাপরাধের রায় ও কার্যকরের মধ্য দিয়ে জাতি এগিয়ে যাচ্ছে কলঙ্ক মোচনের একেকটি ধাপ। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে রাজকূট তার ১২তম সংখ্যায় &#039;যে বিচারের অপেক্ষায় বাংলাদেশ&#039; শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; গণ-আন্দোলনে, সাংস্কৃতিক জাগরণে সিলেটের পুণ্যভূমি বারবার সাড়া দিয়েছে। সেই সিলেট শহরে একাত্তরের পরাজিত শক্তির উত্থান সম্ভব হয় স্বৈরাচারের হাত ধরে। জামায়াত-শিবিরের হাতে একদিনে প্রাণ হারান সিলেটের তিন প্রতিবাদী তরুণ মুনির, তপন ও জুয়েল। ১৯৮৮ সালের এই মর্মান্তিক ঘটনার পর ২২ বছর পূর্তিতে রাজকূট তার ৩৪তম সংখ্যায় প্রকাশ করে &#039;মুনির তপন জুয়েল : পরাজিত শক্তির নখরাঘাতে নিহত সেই তরুণরা&#039; শিরোনামে বিশেষ প্রতিবেদন। অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ইউকিপিডিয়া ও সচলায়তনের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা এস এ জালাল সংগৃহীত যুদ্ধ সময়ের পত্রিকা, দলিল ও সংবাদভাষ্যের বিশাল ভাণ্ডার ডিজিটালাইজড করার কাহিনী নিয়ে রাজকূটের ৪৬তম সংখ্যা &#039;একজন এস এ জালাল ও মুক্তিযুদ্ধের তথ্য ভাণ্ডার&#039;।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; &lt;a name=&quot;RIMG1&quot;&gt;&lt;/a&gt;&lt;/p&gt; &lt;p&gt; সংবিধান : গণতন্ত্রের পবিত্র গ্রন্থ!&lt;/p&gt; &lt;p&gt; ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের শাসনতন্ত্র রচিত হয় লক্ষ প্রাণের রক্তের বিনিময়ে। রক্তের অক্ষরে লেখা সেই সংবিধানকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ইতিহাসে সমসাময়িক কালের সবচেয়ে আধুনিক শাসনতন্ত্র হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। কিন্তু তারপর বারবার সংবিধানে কাটাছেড়া হয়েছে, সামরিক-বেসামরিক শাসকরা নিজেদের প্রয়োজনে বদলিয়ে নিয়েছেন। বিভিন্ন সময় বদলে যাওয়া, আজকের সংবিধানের মধ্যে থাকা নানা আলোচিত প্রশ্নই নিয়ে রাজকূটের ২৮তম সংখ্যায় &#039;একনায়কতন্ত্র বনাম জনগণের সংবিধান&#039;। এ ছাড়া পঞ্চম সংশোধনী বাতিল ও বাংলাদেশের সংবিধান ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির হালচাল নিয়ে রাজকূটের ষষ্ঠ সংখ্যায় প্রকাশিত হয় &#039;পঞ্চম সংশোধনী বাতিল : গণতন্ত্রের মাইলফলক&#039;।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; &lt;/p&gt; &lt;p&gt; ষড়যন্ত্রের রাজনীতি-রাজনীতির ষড়যন্ত্র&lt;/p&gt; &lt;p&gt; ব্যর্থ রাষ্ট্রের ষড়যন্ত্র চলছে বাংলাদেশকে ঘিরে। এ অভিযোগ পুরনো। মাঝখানে জরুরি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কারণে ব্যর্থ রাষ্ট্রের তাত্ত্বিকেরা নিশ্চুপ ছিলেন বলে মনে হয়। অথচ জরুরি তত্ত্বাবধায়ক আমলেই রাষ্ট্র দুই বছর ব্যর্থ ছিল। তাত্ত্বিকেরা এক অর্থে সফলকাম। জরুরি অবস্থার অবসান ঘটিয়ে নির্বাচনের পর গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা কায়েম হয়েছে বেশ দেশে। বিশ্ব অর্থনীতি ও তার অবসম্ভাবী ফল বিশ্বরাজনীতির সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কারণ নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় রাজকূটের ১৪তম সংখ্যায় &#039;বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের তকমা : &#039;ব্যর্থ রাষ্ট্র&#039;র ষড়যন্ত্র থেমে নেই!&#039; শিরোনামে।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; &lt;/p&gt; &lt;p&gt; স্বাধীনতা-উত্তর মুক্তিযুদ্ধ&lt;/p&gt; &lt;p&gt; ২০০৬ সালের ২৬ আগস্ট দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে তাই জড়ো হয়েছিল অর্ধলক্ষ মানুষ। একটাই দাবি, প্রাণ-পরিবেশ ধ্বংস করে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা খনি করা যাবে না। সরকারি আশ্বাসে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ শেষ করে ফিরে যাচ্ছিল সমাবেশে আগত লাখো মানুষ। সেই সময় অকস্মাৎ গর্জে ওঠে রাইফেল। অকালে ঝরে যায় তিন-চারটি তাজা প্রাণ। শতাধিক মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়, চিরতরে পঙ্গু হয় অনেকেই। ফুলবাড়ীর রক্তাক্ত সেই আন্দোলনের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজকূটের ৩১তম সংখ্যায় প্রকাশিত হয় &#039;ফুলবাড়ী আন্দোলন : কালো কয়লা ভিজে আছে মানুষের লাল রক্তে&#039;। এ ছাড়া তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি বিদেশি অর্থায়নে রপ্তানির বিধান রেখে খোলামুখ পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনের বিরোধিতা করে ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে ফুলবাড়ী অভিমুখে লংমার্চের কর্মসূচি প্রসঙ্গে রাজকূটের ৩৮তম সংখ্যায় &#039;কয়লা কালো রাজনীতি&#039; শিরোনামে প্রকাশিত হয় বিশেষ প্রচ্ছদ প্রতিবেদন।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; &lt;/p&gt; &lt;p&gt; শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ ও উদ্ভট সংস্কৃতি&lt;/p&gt; &lt;p&gt; বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের জনবহুল দেশে যখন শিক্ষাই জনসমস্যাকে জনসম্পদে পরিণত করার একমাত্র উপায়, তখন এই খাতে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ বৃদ্ধিই কাঙ্ক্ষিত সমাধান। অথচ ক্রমেই শিক্ষায় রাষ্ট্রের বিনিয়োগ নয়, বরং পুঁজি সংগ্রহে ছাত্রদের ওপরই নির্ভরশীলতা বাড়ছে। এ প্রসঙ্গে রাজকূটে ২৯তম সংখ্যায় প্রকাশিত হয় &#039;শিক্ষার অধিকার থেকে দরিদ্রদের ছেঁটে ফেলার কৌশলপত্র : উচ্চশিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ&#039;। এ ছাড়া রক্তের বিনিময়ে উর্দুকে রুখে দিতে পারলেও সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারের রক্তের উত্তরসূরিরা আজ হিন্দির আগ্রাসন নিয়ে অসচেতন। মুক্তবাজার অর্থনীতি আর মুক্ত গণমাধ্যমের দোহাই দিয়ে ঘরে ঘরে ঢুকে পড়ছে হিন্দি ভাষা আর উদ্ভট সংস্কৃতি। এই সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের দীর্ঘমেয়াদি কুফল নিয়ে রাজকূটের ৫৪তম সংখ্যায় প্রকাশিত হয় &#039;ছেলে ঘুমাল পাড়া জুড়াল হিন্দি এলো দেশে&#039;। রাজনীতির ৬২তম সংখ্যায় প্রকাশিত হয় &#039;মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি জটিলতা : অদক্ষ ব্যবস্থাপনার শেষ উদাহরণ&#039;।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; &lt;/p&gt; &lt;p&gt; মুনাফার স্বাস্থ্যসেবা&lt;/p&gt; &lt;p&gt; তৈরি হয়েছে এমন এক সম্পর্ক, যেখানে পণ্য, পুঁজি আর মুনাফা ছাড়া সব সম্পর্কই যেন অপ্রয়োজনীয়। পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থা জ্ঞান-বিজ্ঞান যেমন বিকশিত করেছে পুঁজির বিকাশের স্বার্থে, তেমনি আবার বিজ্ঞানকে মুনাফা করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। নতুন আবিষ্কৃত ওষুধ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য বিশ্বের বহুজাতিক কম্পানিগুলো বেছে নিচ্ছে তৃতীয় বিশ্বের গরিব দেশগুলোকে। বাংলাদেশও এই পরীক্ষা-নিরীক্ষার বাইরে নয়। কিন্তু এসব পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে কি ন্যূনতম সচেতনতার পরিচয় দিচ্ছে কম্পানি ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠানগুলো? পরীক্ষার অনুমোদন দেওয়ার পর এসবের খোঁজখবর কি রাখছে সরকার? এ বিষয়টি কেন্দ্র করেই রাজকূটের ৫৫তম সংখ্যায় প্রকাশ পায় &#039;ষোলো কোটি গিনিপিগের দেশ&#039; শিরোনামে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন। ১৪০তম সংখ্যায় &#039;রাহু চক্রে চিকিৎসাসেবা বলি হচ্ছে সাধারণ মানুষ&#039;।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; &lt;/p&gt; &lt;p&gt; প্রয়োজন বুদ্ধিদীপ্ত কূটনৈতিক পদক্ষেপ&lt;/p&gt; &lt;p&gt; বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। ক্রমে দেশকে এগিয়ে নিতে হলে যেমন অভ্যন্তরীণ পরিবেশ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হবে, তেমনি বৈদেশিক সম্পর্কেরও উন্নয়ন ঘটাতে হবে। অন্যদিকে দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় শক্তিধর দেশগুলোর ক্ষমতা বিন্যাসের ওপর বাংলাদেশের স্বাধীন-সার্বভৌম অবস্থান টিকিয়ে রাখার বাস্তবতা নির্ভর করছে। বিশ্ব পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের অবস্থা কী? এ বিষয়ে বিশ্লেষণাত্মক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় রাজকূটের ৩৬তম সংখ্যায়-&#039;এশিয়ার আধিপত্য নিয়ে ক্ষমতাবান রাষ্ট্রের কৌশল : বাংলাদেশের অবস্থান কোথায়&#039;। এ ছাড়া বিশ্বজুড়ে আঞ্চলিক অনেক জোট সার্কের পর গঠিত হয়েও অনেক সাফল্য পেয়েছে। কিন্তু সার্ক ক্রমেই তার গুরুত্ব হারিয়ে একটি সম্মেলনসর্বস্ব জোটে পরিণত হয়েছে। সার্কের বাস্তবিক পরিস্থিতি নিয়ে রাজকূটের ১৬তম সংখ্যায়-&#039;সার্ক : পরিবর্তিত বাস্তবতা, সফলতার পথে বাধা ও সম্ভাবনা&#039;।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট-করিডর নিয়ে গত এক দশক রাজনীতিতে বিতর্ক কম হয়নি। বাংলাদেশকে প্রায় তিন দিক থেকে ঘিরে রাখা ভারতের সুবিধার জন্য বাংলাদেশের ভূখণ্ডকে ব্যবহারের উদ্যোগ বিশেষত ট্রানজিট, ট্রান্সশিপমেন্ট কিংবা করিডর-যে নামেই ডাকা হোক না কেন, এ নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কের বাইরে যে আলোচনা, সে বিষয়েই আলোকপাত নিয়ে রাজকূটের ৪৩তম সংখ্যায়-&#039;ট্রানজিট-করিডর : লাভ কার ক্ষতি কার&#039; প্রকাশিত হয়। &#039;তিস্তা প্রকল্পে বাংলাদেশের অবস্থান, সম্ভাব্য সমাধান&#039;-এসব নিয়েই রাজকূটের ৩৭তম সংখ্যায় প্রকাশিত হয় &#039;তিস্তা চুক্তি ও তৃষ্ণার্ত বাংলাদেশ&#039;। এ ছাড়া গঙ্গা চুক্তি নিয়ে অনেক রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে, কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা অনেক বিশ্লেষণ করেছেন; কিন্তু পানি বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য তেমন করে প্রকাশিত হয়নি মিডিয়ায়। রাজকূট তার ৪৪তম সংখ্যায় বিশেষজ্ঞের বিশ্লেষণ নিয়ে &#039;ফিরে দেখা গঙ্গা চুক্তি&#039; শিরোনামে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এ ছাড়া আঞ্চলিক রাজনীতির ঘেরাটোপে ঘটে যাওয়া নানা ইস্যু নিয়ে সর্বদা সক্রিয় ছিল রাজকূট। যেমন রাজকূটের ১৭তম সংখ্যায় প্রকাশিত হয় &#039;মুজিব-ইন্দিরা যৌথ ঘোষণার তিন যুগ পূর্তি : ফরাক্কার ফাঁদে আজও কাঁদছে বাংলাদেশ&#039; শিরোনামে একটি প্রচ্ছদ প্রতিবেদন।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; দক্ষিণ আফ্রিকায় ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজন নিয়ে রাজকূটের ২৪তম সংখ্যায়-&#039;বিশ্বকাপের রাজনৈতিক অর্থনীতি : ভুভুজেলার শব্দের নিচে চাপাপড়া কান্না&#039;। ১৪৩তম সংখ্যায় প্রকাশিত হয় &#039;মুনাফার বিশ্বকাপ ও আমাজনের তীর-ধুনক&#039;। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে রাজকূটের ২৬তম সংখ্যায়-&#039;রোহিঙ্গা শরণার্থী : বাংলাদেশের মাটিতে মিয়ানমার জান্তার যন্ত্রণা&#039;। প্রতিবেশী দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে অহরহ মারা যাচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ। এমন কোনো সপ্তাহ নেই, যে সপ্তাহে বাংলাদেশিদের রক্তে ভিজছে না মাটি। রাজকূটের ৫০তম সংখ্যায় সীমান্ত সংকট নিয়ে প্রকাশিত হয় &#039;সীমান্তে লাশের সারি : বিএসএফের বন্দুকের মুখে বাংলাদেশের মানুষ&#039;। দেশে দেশে যখন গণতন্ত্রের লড়াইয়ে মানুষ সংগ্রামরত, তখন বছরের পর বছর মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে চলছে স্বৈরশাসন। প্রেসিডেন্ট কিংবা রাজতন্ত্রের নামে এসব দেশে একেকজন স্বৈরশাসক অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্ষমতা আঁকড়ে আছেন। কিন্তু হঠাৎই জেগে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য। এই বিক্ষোভের কারণ কী, গতিপথই বা কোথায়? এসব প্রশ্নের জবাবের খোঁজ নিয়ে রাজকূটের ৫৩তম সংখ্যায় আয়োজন ছিল &#039;মধ্যপ্রাচ্যে জাগছে মানুষ&#039;। মহান বিপ্লবী চে&#039;র বর্ণাঢ্য জীবন নিয়ে রাজকূটের ২১তম সংখ্যায় প্রকাশিত হয় &#039;চে : বিপ্লবের বাঁশিওয়ালা&#039;। রাজকূট মাঝখানে স্বল্পবিরতির বন্ধের পর রাজনীতি নামে নতুন করে আত্মপ্রকাশ করে ২৪ মে ২০১১ সালে। যার প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল সাংবিধানিক বিতর্ক নিয়ে-প্রচ্ছদ শিরোনাম ছিল &#039;প্রয়োজন আর সাংবিধানিক অবৈধতার বিতর্কে তত্ত্বাবধায়ক সরকার&#039;। রাজনীতির দ্বিতীয় সংখ্যাটি ছিল &#039;বিপ্লবের বাঁশিওয়ালা : সিরাজ শিকদার ও তাঁর সর্বহারা পার্টি&#039;। পঞ্চম সংখ্যায় &#039;গ্যাস বিক্রির আত্মঘাতী চুক্তিগুলো বিদেশিদের কাছে মুচলেকার রাজনীতি&#039;। দূর মরুদেশ লিবিয়ায় শ্রম বিক্রি করে ভাগ্য গড়তে চাওয়া শ্রমিকদের দেশে ফেরার গল্প নিয়ে রাজকূটের ৫৭তম সংখ্যায়-&#039;ফিরে আসার গল্প&#039;। পাহাড়ের অশান্তির ডামাডোলের অন্ধকার রাতে ৭২টি চাকমা শিশুও উদ্বাস্তু হয় তাদের আশ্রম থেকে। তারপর প্রথমে ঠাঁই হয় আগরতলার আশ্রয়শিবিরে। ভারতের আগরতলা থেকে তাদের যাত্রা হয় ফ্রান্সে। পেছনে ফেলে রাখা বাংলাদেশ সেই শিশুদের ভুলে যায়। কোথাও কখনোই আলোচিত হয়নি এই নির্বাসনদণ্ডের বেদনা। দেশত্যাগের ২৪ বছর পর রাজকূট জানতে চায় সেই শিশুদের খবর। রাজকূটের ৫৯তম সংখ্যায় &#039;দেশান্তরের সেই বাহাত্তর দেব শিশু&#039;। রাজকূট চলমান রাজনীতির যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতেই রাখতে সচেষ্ট হয়েছে দায়িত্বের ছাপ। জনগণতান্ত্রিকতার প্রশ্নে আপসহীন।&lt;/p&gt; &lt;p&gt; &lt;/p&gt;

রাজকূটের পাঁচ বছর

অর্থনীতি, রাজনীতি ও কূটনীতির খেরোখাতা

এ দেশের কৃষক-মেহনতি মানুষের দীর্ঘদিনের শোষণ-নিপীড়ন

এ দেশের কৃষক-মেহনতি মানুষের দীর্ঘদিনের শোষণ-নিপীড়ন

সর্বশেষ সংবাদ

বোয়ালমারীতে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়

সূচনাতেই দুশ্চিন্তা বাংলাদেশের

৫ দশক পর পাওয়া গেল লেননের হারানো গিটার

গাজার গণকবর : এখন পর্যন্ত ৩২৪ লাশ উদ্ধার

টঙ্গীতে আগুনে পুড়ল ৫ ঝুটের গুদাম

লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত জীবন, বেড়েছে চার্জার ফ্যানের দাম

মহানবী (সা.) যেসব উপায়ে উপার্জন করতেন

নিহত ৯ জনের ময়নাতদন্ত আজ, ৪ জনের চিকিৎসা চলছে

শিল্পী সমিতিতে মারামারি : সবশেষ যা হলো

নিরাপদ খাদ্যের তাগিদে ছাদকৃষি

তিনটি নতুন ছবি হাতে নিয়েছি : মিম

কক্সবাজার ছেড়েছেন মিয়ানমারের ২৮৮ বিজিপি ও সেনা সদস্য

ম্যালেরিয়া নির্মূল লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন কত দূর

এআই নীতিমালা : সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ

কমলা রঙে ঢেকে গেছে গ্রিসের আকাশ

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিল জ্যামাইকা

৭ বছর পর জানা গেল জলহস্তীটা আসলে স্ত্রী

বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস : ৪ বছরে ম্যালেরিয়া রোগী বেড়েছে ৪ গুণ

নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষা পাঁচ ঘণ্টা, ৫০ শতাংশ লিখিত

ঢাকায় আইএমএফ প্রতিনিধিদল : রিজার্ভ ও রাজস্ব বাড়ানোর তাগিদ

তীব্র তাপপ্রবাহের পরিধি আরো বেড়েছে, ২৪ ঘণ্টায় ৫ মৃত্যু

‘সুযোগ’ রেখে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত বিএনপির

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : গুরুত্ব পাচ্ছে স্থানীয় বাস্তবতা

এখন চাল আমদানির প্রয়োজন নেই

২০২৮ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে ১৯তম হবে বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন : বরুড়ার ওসির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ

প্রিমিয়ার ব্যাংকের নতুন এমডি ও সিইও মোহাম্মদ আবু জাফর

চার বছরে ম্যালেরিয়া রোগী চার গুণ বেড়েছে, উচ্চঝুঁকিতে তিন জেলা

চালককে হত্যা অটো ছিনতাই, ১৪ দিন পর মূলহোতা গ্রেপ্তার

পারিবারিক কলহে স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করল পাষণ্ড স্বামী

সর্বাধিক পঠিত

আদালতের রায়ে ‘মা’ হিসেবে ইতিহাস গড়লেন বাঁধন

বিএনপি-জামায়াতের দখলে চলে গেল কি শিল্পী সমিতি?

‘অটোগ্রাফ’ দিয়ে প্রতারণার ফাঁদে পড়লেন অভিনেত্রী!

ক্যামেরায় শরীর জুম করার অভিযোগ, খেপলেন নোরা

সোনার দাম ভরিতে কমল ২১০০ টাকা, আজ থেকেই কার্যকর

হজ নিয়ে শঙ্কা, ধর্ম মন্ত্রণালয়কে দুষছেন এজেন্সি মালিকরা

বলিউডে ফিরছেন প্রীতি জিনতা, নতুন সিনেমার শুটিং শুরু

‘চরম ন্যক্কারজনক, বিচার চাই’, এফডিসির ঘটনায় রিয়াজ

বাংলাদেশ সিরিজের জন্য জিম্বাবুয়ের দল ঘোষণা

ইরান সফরে উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধিদল

মিয়ানমারে কারাভোগ শেষে ১৭৩ বাংলাদেশি কক্সবাজারে

সুরাটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজেপির জয়, বিতর্ক শুরু

দলীয় নির্দেশনা না মানলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা : কাদের

গাজীপুরে রিসোর্ট-খামারের দখলে থাকা পৌনে ৯ একর বনভূমি উদ্ধার

র‍্যাবের নতুন মুখপাত্র হলেন কমান্ডার আরাফাত

ধর্ষণের অভিযোগে প্রিমিয়ার লিগের দুই ফুটবলার গ্রেপ্তার

নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষা পাঁচ ঘণ্টা, ৫০ শতাংশ লিখিত

যেভাবে শুরু সাংবাদিকদের ওপর হামলা

থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা

আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাবোওকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করল ইন্দোনেশিয়া

‘ভালো কিছুই হবে’, শাকিবের ‘তুফান’ প্রসঙ্গে চঞ্চল

তিন অডিটরকে খুশি করতে চাঁদা দিতে হলো ৫৭ নার্সকে

সালমানের বাড়িতে গুলি : নদী থেকে উদ্ধার আরো এক বন্দুক

স্বরূপকাঠিতে ঘরে একা পেয়ে শিশুকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

ব্যাটিং নিয়েই ভাবনা বাংলাদেশের

উপজেলা নির্বাচন : বরুড়ার ওসির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ

প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনার বিভিন্ন শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ

তীব্র তাপপ্রবাহের পরিধি আরো বেড়েছে, ২৪ ঘণ্টায় ৫ মৃত্যু

চার শিরোপায় চোখ পিএসজির

ডিএমপির এক এডিসি ও তিন এসির বদলি

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন