<p>বগুড়ার ধুনট উপজেলায় এলাঙ্গী ইউনিয়নের শৈলমারি গ্রামে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৮ জন কৃষকের ২৬টি গরু মারা যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সর্বশেষ ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যার দিকে ওই গ্রামের কৃষক নুরুল ইসলামের দুটি গরুর মৃত্যু হয়। ফলে খামারি ও গৃহস্থ পরিবারগুলো তাদের গরু নিয়ে উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন পার করছে। তবে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা বলছেন, খুরা রোগে গরুগুলো মারা যাচ্ছে।</p> <p>উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক সূত্রে জানা যায়, মার্চ মাসে হঠাৎ করেই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে গরুর মৃত্যু মহামারি আকার ধারণ করে। ওই সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে জনবল ও প্রতিষেধক সংকট ছিল। গরুগুলো আক্রান্ত হলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে যোগাযোগ করেও চিকিৎসাসেবা মেলেনি। পরে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করে গরুগুলো সুস্থ করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে চিকিৎসার অভাবে উপজেলায় খামারি ও কৃষকের শতাধিক গরুর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশের পর প্রাণিসম্পদ দপ্তরের হস্তক্ষেপে কৃষকের এই সমস্যার সমাধান হয়েছিল।</p> <p>কিন্তু হঠাৎ করে ২০ দিন থেকে শৈলমারি গ্রামে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে ২৬টি গরুর মৃত্যু হয়। আক্রান্ত গরুর মুখ দিয়ে লালা ঝরা, জ্বর, দুর্বলতা ও কিছু না খাওয়া ছিল লক্ষণ। পরে ঘাড় বাঁকা হয়ে মারা যায় আক্রান্ত গরু।  শৈলমারি গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক নুরুল ইসলাম জানান, ‘আমার গরুর মতো পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতেও গরু মারা যাচ্ছে। পল্লী চিকিৎসক সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করতে পারছেন না। তার পরও আমরা পল্লী চিকিৎসকদের সব পরামর্শ অনুযায়ীই কাজ করছি। গরুগুলো খাচ্ছে না ঠিকভাবে। এভাবে খাওয়া ছেড়ে দিলে কত দিন বাঁচবে। আমরা চাই, দ্রুত এই সমস্যা থেকে উত্তরণ।’ ধুনট উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) ডা. হোসাইন মো. রাকিবুর রহমান বলেন, গরু মারা যাওয়ার খবর পেয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়েছে। খুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে গরুগুলো মারা গেছে। এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের চিকিৎসক দল কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন। উঠানবৈঠকের মাধ্যমে কৃষকদের সচেতন করা হচ্ছে।</p>