<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নওগাঁর রানীনগরে গবাদি পশুর জাত উন্নয়নে গরুর কৃত্রিম প্রজননে ৩০ টাকার সরকারি সিমেন (বীজ) খামারি ও পশুপালকদের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার দপ্তর থেকে কিনতে হয় ৫০০ থেকে এক হাজার টাকায়। এতে করে প্রতারিত হয়ে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় গবাদি পশু পালনকারীরা। অনেকেই অতিরিক্ত দামে সিমেন কিনে প্রজনন করাতে না পারায় মান হারাচ্ছে গবাদি পশু।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা গেছে, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রানীনগরে মোট এক লাখ ১৫ হাজার ৫৬৩টি গবাদি পশু রয়েছে। এদের জাত উন্নয়নে সরকারিভাবে কৃত্রিম প্রজননে প্রতি বছর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কাছে সিমেন বরাদ্দ দেওয়া হয় ১০ হাজার ৫০০টি। এই সিমেনগুলো পর্যায়ক্রমে উপজেলার আট ইউনিয়নে একজন উপসহকারী কর্মকর্তা ও আটজন মাঠকর্মীর মাধ্যমে গবাদি পশুকে কৃত্রিম প্রজনন করানো হয়। সরকারিভাবে প্রতিটি ফ্রিজিয়াম এবং শাহিয়াল জাতের বীজ ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গবাদি পশু পালনকারীরা জানান, সরকার নির্ধারিত সিমেনের দামের চেয়ে অতিরিক্ত টাকা নেন মাঠ পর্যায়ের প্রজননকর্মীরা। একবার প্রজননে গর্ভধারণ না করলে পরে এক মাস বা দুই মাস পর আবারও প্রজনন করতে হয়। এ ক্ষেত্রে গরু পালনকারীকে প্রজননের জন্য আবারও ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা গুনতে হয়। ফলে টাকা বাঁচাতে গিয়ে বাধ্য হয়ে গৃহস্থরা স্থানীয় জাতের ষাঁড় দিয়েই গাভিকে প্রজনন করাতে বাধ্য হচ্ছেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপজেলার গুয়াতা বাঁকাপাড়া গ্রামের আলম সরদারের অভিযোগ, গরুর কৃত্রিম প্রজনন করাতে মাঠকর্মী ৫০০ টাকা নিয়েছেন। সেই সিমেন কোনো কারণে কাজ না হওয়ায় পরেরবারে আবারও ৫০০ টাকা নিয়েছেন। এতে এক গাভির কৃত্রিম প্রজননে এক হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গোনা ইউনিয়নের নান্দাইবাড়ী গ্রামের খামারি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গরু প্রজননে সরকারি বীজ নিতে ৫০০ টাকা করে নেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে বেসরকারিভাবে কিছু টাকা কমে প্রজনন করে নিচ্ছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt">’</span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রানীনগর উপজেলার বড়গাছা ইউনিয়নের মাঠকর্মী জিল্লুর রহমান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কৃত্রিম প্রজননকেন্দ্র থেকে দূরত্বের হিসাবে ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা নিয়ে থাকি। এ ছাড়া নির্ধারিত কেন্দ্রে এলে ৭০ টাকা নেওয়া হয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে দুই-একটি গরুকে ফ্রি প্রজননও করে থাকি।</span></span><span style="font-size:14.0pt">’</span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রানীনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কামরুন্নাহার আকতার বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মাঠকর্মীরা প্রতি মাসে সামান্য দুই হাজার টাকা করে সম্মানী পান। তাঁরা অনেকটা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করেন। আমাদের কাছ থেকে কর্মীরা সিমেন নিয়ে সরকারি নির্ধারিত দামে প্রতি সিমেন বাবদ ৩০ টাকা জমা দিয়ে থাকেন। গবাদি পশু নির্ধারিত কেন্দ্রে নিয়ে এলে ৩০ টাকা করে নেওয়ার কথা। এ ছাড়া কেন্দ্রের বাইরে বা গবাদি পশুর মালিকদের বাড়িতে গেলে কত টাকা নিতে পারবেন, তা জানা নেই আমার।</span></span><span style="font-size:14.0pt">’</span></span></span></p>