<p>দ্বিতীয় দফায় করোনায় অধিক আক্রান্ত ৩১ জেলার মধ্যে নড়াইলও রয়েছে। কিন্তু এখানে স্বাস্থ্যবিধি মানার তেমন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বাস, ইজি বাইকসহ সব পরিবহনে সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ভাড়া বাড়ানো হলেও যাত্রীসংখ্যা অর্ধেক করা হয়নি। ভাড়া নিয়ে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষের সঙ্গে পরিবহনকর্মীদের তর্ক চলছে।</p> <p>যশোর থেকে নড়াইলে আসা আজগর আলী বলেন, ‘যশোর থেকে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস ছাড়লেও পথে যাত্রীর চাপে অনেক লোক দাঁড়িয়ে এসেছে। এতে কিভাবে করোনা ঝুঁকি মোকাবেলা হলো, বুঝলাম না। ভাড়া তো বেশিই নিল।’</p> <p>নড়াইল শহরে আবিদা সুলতানা নামের এক ইজি বাইক যাত্রী বলেন, ‘কোনো নিয়মই তারা মানছে না। প্রত্যেক সিটেই যাত্রী। অথচ পাঁচ টাকার ভাড়া ১০ টাকা নিচ্ছে জোর করে। কেউ তো এগুলো দেখছে না।’ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘মাস্ক পরাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত চলছে।’</p> <p><strong>পরীক্ষার কিট শেষ</strong></p> <p>নড়াইল সদর হাসপাতালের কভিড-১৯ ফোকালপারসন ডা. মশিউর রহমান বাবু বলেন, ‘করোনা পরীক্ষার জন্য রোগী এলে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে যশোরে পাঠানো হচ্ছে। অ্যান্টিজেন্ট পরীক্ষা করে নেগেটিভ পেলে তা আবার যশোর ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে। তবে অ্যান্টিজেন্ট পরীক্ষার কিট শেষ হয়ে গেছে।’</p> <p>এক প্রশ্নের জবাবে সিভিল সার্জন ডা. নাসিমা আক্তার বলেন, ‘করোনা পরীক্ষা ধীর গতিতে হচ্ছে, এটা ঠিক না। সদর হাসপাতালসহ তিনটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকেই নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।’</p>