<p>বিশ্বঐতিহ্য সুন্দরবনে বন্য প্রাণী নিধন কার্যক্রম মোটেও থেমে নেই। বিশেষ করে চোরাশিকারি ও পাচারকারীদের প্রধান টার্গেটে পরিণত হয়েছে বনের বাঘ ও চিত্রা হরিণ। সাম্প্রতিক সময়ে উদ্বেগজনকহারে বেড়েছে শিকারিদের দৌরাত্ম্য। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সুন্দরবন থেকে শিকার করা ৬৯ কেজি হরিণের মাংস, ১৯টি হরিণের চামড়া ও একটি বাঘের চামড়া উদ্ধার করে বন বিভাগ, পুলিশ ও র‌্যাবের সদস্যরা। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে শিকারিচক্রের সাত সদস্যকে। </p> <p>সর্বশেষ গত রবিবার রাতে বাগেরহাটের শরণখোলা থেকে ২২ কেজি হরিণের মাংসসহ এক শিকারিকে আটক করেন বন বিভাগের সদস্যরা। উপজেলার সুন্দরবনসংলগ্ন ধাসেরভারানি এলাকা থেকে হরিণের মাংসসহ তাঁকে আটক করা হয়। আটক শিকারি মিলন মোড়ল যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার উত্তর দেওলী গ্রামের লতিফ মোড়লের ছেলে। তিনি সাত-আট বছর আগে প্রথমে রাজমিস্ত্রির শ্রমিক হিসেবে শরণখোলায় আসেন। রাজমিস্ত্রির কাজ ছেড়ে বেছে নেন হরিণের মাংস পাচারের কাজ।</p> <p>বন বিভাগ সূত্রে আরো জানা গেছে, এর আগে গত শনিবার রাতে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের সদস্যরা বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার দিগরাজ বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪৭ কেজি হরিণের মাংসসহ একটি হরিণের মাথা উদ্ধার করে। এ সময় তিনজন হরিণ শিকারিকে আটক করা হয়। এর আগে ২৩ জানুয়ারি জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ শরণখোলা উপজেলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৯টি হরিণের চামড়া উদ্ধার করে। এ ছাড়া ১৯ জানুয়ারি সুন্দরবন বিভাগ ও র‌্যাব অভিযান চালিয়ে শরণখোলা থেকে একটি বাঘের চামড়াসহ গাউস ফকিরকে আটক করে।</p>