<p>৫০ শয্যার পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের একমাত্র জেনারেটর এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে। এতে রোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে ভোগান্তি পোহাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার পার্বতীপুর শহরে রেলের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হলে হাসপাতালের রোগীদের অবস্থা কাহিল হয়ে পড়ে। প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করতে থাকে শিশু ও বয়স্ক রোগীরা। উচ্ছেদ অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলতে থাকে এ অবস্থা। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় হাসপাতালে গিয়ে আলো-বাতাসহীন অন্ধকার ঘরে প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করতে দেখা যায় রোগীদের। হাসপাতালের এ অবস্থা সম্পর্কে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুুক এক সেবিকা (নার্স) জানান, বিদ্যুৎ না থাকলে মাঝেমধ্যেই এমন দুর্বিসহ অবস্থার সৃষ্টি হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আবদুল্লাহেল মাফী বলেন, ‘হাসপাতালে সোলার বিদ্যুৎ ব্যবহারের ব্যবস্থা আছে। এ ছাড়া একটি জেনারেটর থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে তা বিকল হয়ে পড়ে থাকায় সব সময় বিকল্প ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হয় না।’ হাসপাতালের পরিসংখ্যানবিদ সেলিম উদ্দীন বলেন, প্রতিদিন হাসপাতালে ৩৫ থেকে ৪০ জন রোগী চিকিৎসাধীন থাকে। ২০০৫ সাল থেকে হাসপাতালের একমাত্র জেনারেটরটি বিকল হয়ে পড়ে আছে বলে তিনি জানান।</p>