<p>মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী (বিজিপি) ও সেনাবাহিনীর আরো ১৫ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার তাঁরা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছেন। এদিকে সীমান্তের ওপারে রাখাইনে এখনো বোমা ও মর্টার বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। গতকাল বিকেলে সীমান্ত এলাকা থেকে সরিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি সদর দপ্তরসংলগ্ন বিজিবি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। দেশে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত তাঁরা সেখানেই অবস্থান করবেন।</p> <p>এদিকে বিজিবির পক্ষ থেকে অনুপ্রবেশ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য জানানো হচ্ছে না। তবে বান্দরবান জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, গতকাল সকালে নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি বিওপিসংলগ্ন ৪৫ নম্বর আন্তর্জাতিক পিলারের কাছ দিয়ে ১০ জন প্রবেশ করেন। দুপুর আড়াইটার দিকে একই সীমান্তের আন্তর্জাতিক পিলার ৪০-এর পাশ দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েন পাঁচজনের একটি দল।</p> <p>স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, অনুপ্রবেশকারী ১৫ জনের মধ্যে ১০ জনই মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদের অফিসার ও জওয়ান। বাকি পাঁচজন বিজিপির সদস্য। এর আগে গত রবিবার ও এর পরদিন ১৬ জন পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এর আগে গত ১১ মার্চ দুই দফায় পালিয়ে আসা ১৭৭ জন এবং ৩০ মার্চ আসা তিনজনকেও বিজিবি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে।</p> <p>এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসেন ৩৩০ জন। বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মাধ্যমে ১৫ ফেব্রুয়ারি তাঁদের মিয়ানমার সরকারের প্রতিনিধির কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু গত ১১ ও ৩০ মার্চ পালিয়ে আসা ১৮০ জনকে বারবার তারিখ নির্ধারণ করেও এখনো হস্তান্তর করা যায়নি। সর্বশেষ পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগেই মিয়ানমারের অনুপ্রবেশকারীদের ফেরত পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার কারণে ফেরত পাঠানোর প্রস্তুতি থমকে যায়।</p>