<p>আজ শেখ জামাল ধানমণ্ডির বিপক্ষে ম্যাচের আগে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের এবারের মৌসুমের শিরোপা সঙ্গে আবাহনীর দূরত্ব ছিল একটি জয়ের। বিকেএসপির চার নাম্বার মাঠে সেই কাঙ্খিত জয় দিয়েই শিরোপা ধরে রাখার কাজটা সম্পূর্ণ করেছে আবাহনী। সুপার লিগের আরো দুই ম্যাচ বাকি থাকতে তাই শিরোপার নিষ্পত্তিও হয়ে গেল।</p> <p>এ নিয়ে টানা দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা শেখ জামালকে হারিয়েছে চার উইকেট ও এক বল হাতে রেখে। শেষ ওভারে ভালোই রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে আবাহনীর শিরোপা নিশ্চিতের ম্যাচটি। শেখ জামালের ২৬৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় আবাহনীর দরকার ছিল নয় রান। বাঁহাতি পেসার শফিকুল ইসলামের প্রথম চার থেকে আটরান নেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। পঞ্চম বলে ছক্কা মেরে শিরোপা উৎসবের সঙ্গে দলকে মনে রাখার মতো এক জয় এনে দিয়েছেন আবাহনীর অধিনায়ক।</p> <p>অথচ জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে ঠাসা আবাহনী আজ একাদশ সাজানো নিয়েই দুশ্চিন্তায় ছিল। জিম্বাবুয়ে সিরিজ সামনে রেখে তাদের বেশিরভাগ ক্রিকেটার চট্টগ্রামে। শেষ পর্যন্ত বিসিবির কাছে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জিম্বাবুয়ে সিরিজের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড থেকে গতকাল তিনজনকে খেলানোর অনুমতি পায় আবাহনী।</p> <p>সেই তিনজনের একজন আফিফ হোসেনের ব্যাটেই শিরোপা নিশ্চিতের ম্যাচে দারুণ এক জয় পেয়েছে আবাহনী। আগে ব্যাটিং করে ৯ উইকেটে ২৬৭ রান করে শেখ জামাল। এক পর্যায়ে ১৫২ রানে হারনো দলটিকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন নয় নাম্বার ব্যাটার জিয়াউর রহমান। ৫৮ বলে ৮ ছক্কা ও ৬ চারে ৮৫ রান করে জিয়াউর।</p> <p>এই ম্যাচ দিয়ে বিরতি কাটিয়ে মাঠে ফেরা সাকিব আল হাসানের ব্যাট থেকে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৯ রান। এ ছাড়া ওপেনার সৈকত আলি ৪১ ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান করেন ৪১ রান।<br /> কিন্তু শেষ দিকে ব্যাটারদের কল্যাণে লড়াইয়ে ফেরা শেখ জামালের চেষ্টা বৃথা গেছে আবাহনীর ব্যাটিং শক্তির কাছে। তৃতীয় উইকেটে এনামুল হক বিজয় ও আফিফের ১০৩ রানের জুটিতে ম্যাচ আবাহনীর দিকে হেলে যায়।</p> <p>আফিফ ৮৩ রানের ইনিংস খেলেন। তাঁর ৮৮ বলের ইনিংসটি সাজানো ৮ চার ও ২ ছক্কায়। এনামুলের ব্যাট থেকে আসে ৬৭ রান। আর শেষ দিকে ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলা মোসাদ্দেক ৫৩ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন।</p>