রাজধানীতে জাতীয় সংসদ ভবনের চারপাশের সড়কগুলোতে প্রতিনিয়ত যানজট বাড়ছে। বিশেষ করে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ার পর থেকে খামারবাড়ির কাছে বঙ্গবন্ধু চত্বর, আড়ং সিগন্যাল ও উড়োজাহাজ মোড়ে যানজট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ফলে সংসদ সদস্যসহ সাধারণ মানুষের চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। এদিকে সংসদ সদস্যদের আবাসস্থল ন্যাম ভবন থেকে সংসদ ভবনে চলাচলের সুবিধার্থে প্রধানমন্ত্রী মানিক মিয়া এভিনিউয়ে আন্ডারপাস নির্মাণের নির্দেশনা দিলেও গত পাঁচ বছরেও তা নির্মিত হয়নি।
আন্ডারপাস নেই, যানজটের ভোগান্তি
নিখিল ভদ্র

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর শেরেবাংলানগর এলাকায় সংসদ ভবনের উত্তর পাশে লেক রোডে যানজট না থাকলেও অন্য তিন দিকের সড়কে কমবেশি যানজট লেগেই আছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ার পর ফার্মগেট থেকে আসাদ গেট ও ধানমণ্ডির দিকে যাওয়ার সময় যানবাহনকে খামারবাড়ির সামনে বঙ্গবন্ধু চত্বর ও আড়ং সিগন্যালে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। আবার লেক রোড থেকে বিজয় সরণি সিগন্যাল পার হতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়।
সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি সংসদ সদস্যদের আবাসনসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা সংসদীয় কমিটির বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বৈঠকে মানিক মিয়া এভিনিউ এলাকায় আন্ডারপাস নির্মাণের বিষয়টি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে। ন্যাম ভবন থেকে সংসদ ভবনে যাতায়াতের সুবিধার্থে ওই আন্ডারপাস নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এরই মধ্যে আন্ডারপাস নির্মাণের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু স্থান জটিলতার কারণে এটি নির্মাণে বিলম্ব হয়েছে। বৈঠকে আলোচনা শেষে সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে আন্ডারপাস নির্মাণের বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগকে জানানো হয়। ন্যাম ভবনের জমি ব্যবহার করে দ্রুত নির্মাণকাজ শেষ করতে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত বিভাগ এবং সংসদ সচিবালয়ের সঙ্গে সমন্বয়ের নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওই কাজ দেখাশোনার জন্য তিন সদস্যের একটি সাবকমিটি গঠন করা হয়। সংসদ সদস্য সাজ্জাদুল হাসানকে আহ্বায়ক করে গঠিত সাবকমিটিতে কাজী নাবিল আহমেদ ও এস এম শাহজাদাকে সদস্য করা হয়েছে। এ ছাড়া যানজট নিরসনে সংসদ ভবন এলাকার ট্রাফিকব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কমিটির সদস্য এস এম শাহজাদা কালের কণ্ঠকে বলেন, কমিটির বৈঠকে আলোচনা শেষে যানজট কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে সংসদ ভবনের সামনের সড়ক, আসাদ গেটসহ সংসদ ভবনের চতুর্দিকে সার্বক্ষণিক ট্রাফিকব্যবস্থা কার্যকর রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া মানিক মিয়া এভিনিউয়ে আন্ডারপাস নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
সম্পর্কিত খবর

আইএমওতে পুনর্নির্বাচনে প্রার্থী বাংলাদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক

আন্তর্জাতিক সমুদ্র চলাচল সংস্থার (আইএমও) ২০২৬-২৭ মেয়াদের কাউন্সিলে পুনর্নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থিতা দাখিল করেছে। এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী নিরাপদ, সুরক্ষিত ও টেকসই সামুদ্রিক কার্যক্রমে বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হলো। গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত সোমবার লন্ডনে আইএমও সদর দপ্তরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ বাংলাদেশের পক্ষে প্রার্থিতা উপস্থাপন করেন। আইএমওতে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ এই তিনটি বিভাগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিরক্ষাসচিবের পরিচয় ব্যবহার করে প্রতারণা
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আশরাফ উদ্দিনের ছবি ও দাপ্তরিক পরিচয় ব্যবহার করে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। আইএসপিআরের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কিছু অসাধু ব্যক্তি মো. আশরাফ উদ্দিনের ছবি ও পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন মোবাইল নম্বর (যেমন—০১৩৩৭-৪০৯৩১৮ ও ০১৩৩৯-০৫৪০০৮) এবং হোয়াটসঅ্যাপ আইডি থেকে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে অনৈতিক সুবিধা দাবি করছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এয়ার মার্শাল সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এয়ার মার্শাল সম্মেলন গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা সেনানিবাসের বিমানবাহিনী সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, সম্মেলনে বিমানবাহিনী প্রধান উপস্থিত এয়ার ভাইস মার্শাল পদবির কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।

কর্মকর্তাদের ক্ষমা করে দিলেন এনবিআর চেয়ারম্যান
নিজস্ব প্রতিবেদক

আন্দোলনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষমা করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। তবে আন্দোলনের কারণে রাষ্ট্রের যে ক্ষতি হয়েছে সে ব্যাপারে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে আন্দোলনকারী অনেক কর্মকর্তা চেয়ারম্যানের কাছে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমা চেয়েছেন। সূত্র বলছে, শতাধিক আয়কর ক্যাডারের কর্মকর্তা চেয়ারম্যানের কাছে ব্যাচভিত্তিক ক্ষমা চেয়েছেন।