<p>জাতীয় পরিচয়পত্রসংক্রান্ত দুর্নীতি দমনে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে গতকাল শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি এ কথা জানান। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘এনআইডি নিয়ে কেউ যদি সচেতনভাবে অপরাধে জড়িত হয়, আমাদের টলারেন্স জিরো হবে। আমরা এ ধরনের কর্মকর্তাদের পুলিশে হস্তান্তর করতে দ্বিধা করব না।’</p> <p>তিনি বলেন, এনআইডির গুরুত্ব অনেক বেড়েছে। এনআইডি কার্ডসংক্রান্ত অপরাধ প্রবণতাও বেড়েছে। যারা ‘অতি চালাক’, তারা একাধিক কার্ড করে রেখেছে। সম্পত্তি বেহাতের জন্য এটা অনেকে করে থাকে। ভোটারের রায়ে যেন প্রতিনিধিত্ব আসে, এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে সিইসি বলেন, ‘গত নির্বাচনে একটি বড় দল অংশ নেয়নি। তাই অনেক ভোটার না-ও এসে থাকতে পারেন। আমাদের কাজ হলো ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। সেদিক থেকে নির্বাচন কমিশনের ওপর বড় দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের স্বাধীনভাবে ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে।’</p> <p>সিইসি জানান, সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী দেশে ভোটারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জনে। চূড়ান্ত তালিকায় পুরুষ ভোটার ছয় কোটি ২১ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮৭ জন। নারী ভোটার পাঁচ কোটি ৯৭ লাখ চার হাজার ৬৪১ এবং হিজড়া ভোটার ৯৩২ জন। সভায় নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান বলেন, ‘একটা সময় দেড় কোটি ভুয়া ভোটার হওয়ার খবর এসেছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশন যখন ডাটাবেইস তৈরি করল ও স্মার্ট কার্ড তৈরি করল, তখন আর দেশে ভুয়া ভোটারের কথা শোনা যায়নি। বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর আমাদের প্রচেষ্টা ছিল ভোটারদের জন্য নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া।’</p> <p>নির্বাচন কমিশনার রাশেদা বেগম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নিশ্চিতের জন্য নিরন্তর কাজ করে। গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে আমরা এমন পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করেছি, যেন ভোটাররা স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারেন। এবার ভোট দিতে না পারার অভিযোগ করেছেন, এমন কাউকে পাওয়া যায়নি।’ সভায় নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর, ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ প্রমুখ বক্তব্য দেন।</p>