<p>ভারতের বহুজাতিক স্বাস্থ্যসেবা গ্রুপ অ্যাপোলো হসপিটালসের এক প্রতিবেদনে ভারতকে ‘বিশ্বের ক্যান্সার রাজধানী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৭০ হাজার হতে পারে। ২০২০ সালে সংখ্যাটি ছিল ১৪ লাখ। এ ছাড়া নারীরা স্তন, সার্ভিক্যাল ও ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। আর পুরুষরা আক্রান্ত হচ্ছে ফুসফুস, মুখ ও প্রস্টেট ক্যান্সারে।</p> <p>গত মাসে প্রকাশিত অ্যাপোলো হসপিটালসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারতের মানুষ অন্য দেশের তুলনায় অল্প বয়সেই কিছু ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। যেমন, ভারতে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার গড় বয়স ৫৯। চীনে সেটি ৬৮, যুক্তরাষ্ট্রে ৭০ এবং যুক্তরাজ্যে ৭৫।</p> <p>ভারতে প্রতিবছর গড়ে ১০ লাখ মানুষ নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। তাদের মধ্যে ৪ শতাংশ শিশু। অথচ মাত্র ৪১ শতাংশ সরকারি হাসপাতালে পেডিয়াট্রিক অনকোলজি বিভাগ আছে বলে জানিয়েছেন মুম্বাইয়ের এমআরআর শিশু হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক অনকোলজিস্ট রুচিরা মিসরা।</p> <p>ভারতের পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশনের সাবেক সভাপতি কে শ্রীনাথ রেড্ডি বলেন, ‘ক্যান্সারের ঘটনা ও মৃত্যু বাড়ছে। আগামী দুই দশকে আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।’ অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া, বায়ুদূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অতিবেগুনি বিকিরণের মুখোমুখি হওয়াসহ নানা কারণে ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলে তিনি মনে করছেন।</p> <p>বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে স্বাস্থ্য স্ক্রিনিংয়ের কম হার। তারা এটি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন।</p> <p>অ্যাপোলো হসপিটালসের প্রতিবেদনে অন্য রোগের তথ্যও তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদন বলছে, প্রতি তিনজন ভারতীয়র একজন প্রি-ডায়াবেটিক, তিনজনের মধ্যে দুজন প্রি-হাইপারটেনসিভ, আর ১০ জনের একজন ডিপ্রেশনে ভুগছেন। ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কার্ডিওভাসকুলার রোগ ও মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যাগুলো এখন এতটাই প্রচলিত যে সেগুলো ‘গুরুতর স্তরে’ পৌঁছে গেছে।</p>