রাজধানীর তেজগাঁও থানার কারওয়ান বাজারে রেললাইনসংলগ্ন মোল্লাবাড়ী বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত দুজনের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ টেস্ট করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
অন্যদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ নাজমা বেগম (২৫) ও তাঁর ছেলে নজরুল ইসলাম (৪) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছেন। তাঁদের অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
নাজমা বেগম নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার দাসপাড়া ফকিরবাড়ী গ্রামের ওমর ফারুকের স্ত্রী।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, নাজমা বেগমকে ২৪ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় ও তাঁর ছেলেকে ধোঁয়ায় অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার পুলিশ জানিয়েছে, একজন নারীসহ দুজন এসে নিহতদের তাঁদের স্বজন বলে দাবি করেন।
তবে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে আসল পরিচয় জানা যাবে। মরদেহ দুটির একটি শিশু ও অন্যটি একজন নারীর বলে জানা গেছে।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি এ বি এম মশিউর রহমান জানান, মরদেহ দুটি পুড়ে যাওয়ায় সাধারণভাবে পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তাই এখন ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করতে মরদেহ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
গত শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে মোল্লা বস্তিতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট। দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে তারা। দগ্ধ হয় চারজন। পুড়ে যায় বস্তির তিন শতাধিক ঘর।
ফায়ার সার্ভিস ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আগুনে কাঠ, বাঁশ আর টিনের তৈরি একতলা-দোতলা তিন শতাধিক ঘর পুড়ে গেছে জানিয়ে ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন বলেন, আগুন লাগার সঠিক কারণ জানা যায়নি। বস্তিতে সাধারণত গ্যাস লিকেজ কিংবা শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকে। এই বস্তিতেও একই কারণে আগুন লেগেছে বলে তাঁদের প্রাথমিক ধারণা।