<p>প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যায় ইউরিক এসিড। তা না হলে রক্তে জমতে থাকে এই ইউরিক এসিড। ইউরিক এসিড রক্তে জমতে থাকলেই গাউটের সমস্যা বাড়ে। ইউরিক এসিড বেশি বাড়লে সেখান থেকে কিডনির পাথরও হতে পারে। এটি পুরুষ ও বৃদ্ধা মহিলাদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে লক্ষণীয় প্রদাহজনিত আর্থ্রাইটিস। এ রোগে পুরুষরা সাধারণত ৩০ বছরের বেশি বয়সে এবং মহিলারা মেনোপজের পর বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। সাধারণভাবে বয়স বৃদ্ধি ও রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এ রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।</p> <p> </p> <p><strong>করণীয়</strong></p> <p>► প্রত্যহ ৭ ঘণ্টা ঘুমান।</p> <p>► দিনে অন্তত ৩০ মিনিট এক্সারসাইজ করুন।</p> <p>► ইউরিক এসিডের পরিমাণ অত্যধিক বেড়ে গেলে পালংশাক, পুঁইশাক, মসুর ডাল, বিউলি ডাল, মাটন, গরুর মাংস, খাসির মাংস, ভেড়ার মাংস, হরিণের মাংস, সব ধরনের হাঁসের মাংস, যেমন—রাজহাঁস, জংলি হাঁস ও পাতিহাঁস, শূকরের মাংস, খরগোসের মাংস, বড় পাখির বা তুর্কি মোরগের মাংস, কবুতরের মাংস, তিতির পাখির মাংস ইত্যাদি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।</p> <p>► মগজ, কলিজা, বৃক্ক, যকৃৎ, অগ্ন্যাশয়, জিহ্বা সামুদ্রিক মাছের মধ্যে পিউরিন বেশি পরিমাণে থাকে। সার্ডিন, টুনা এসব মাছ তাই এড়িয়ে চলতে পারলেই ভালো।</p> <p>► খাবারের মধ্যে প্রোটিন বেশি খাওয়া যাবে না। খেতে হবে সুষম খাবার।</p> <p>► পুষ্টিবিদদের মতে, ইউরিক এসিড বাড়লে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে। দিনে সাড়ে তিন থেকে চার লিটার পানি খেলে  ইউরিক এসিড প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। ফলে কমে যায় ইউরিক এসিডের মাত্রা।</p> <p>► ফাইবারসমৃদ্ধ খাদ্য রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা কমিয়ে কিডনির সাহায্যে তা শরীরের বাইরে বের করে দেয়। ফাইবারসমৃদ্ধ খাদ্য হিসেবে ইসবগুল, ওটস, ব্রকোলি, আপেল, কমলা, নাশপাতি, স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, শসা, সেলারি, গাজর, বার্লি ইত্যাদি খেতে পারেন। কলাও ইউরিক এসিড কমাতে সাহায্য করে। তবে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার হিসেবে মাছ, চিকেন বা ডিম খাওয়া যেতে পারেন।</p> <p> </p> <p style="text-align: right;">পরামর্শ দিয়েছেন</p> <p style="text-align: right;"><strong>ডা. মো. সাইদুল হক</strong></p> <p style="text-align: right;">সহকারী অধ্যাপক</p> <p style="text-align: right;">বারডেম বিইউএইচএস ইউনিভার্সিটি, ঢাকা</p>