রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণার প্রজ্ঞাপনের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়ার রিট আবেদনটি শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
গতকাল রবিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের দ্বৈত বেঞ্চে রিটটি শুনানিতে উঠলে তা শুনতে বিব্রতবোধ করেন বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারক। এরপর আদালত রিটটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে প্রয়োজনীয় আদেশের জন্য নথি প্রধান বিচারপতির দপ্তরে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতে রিট শুনানিতে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী এম এ আজিজ খান।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস।
একক প্রার্থী হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণার প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে গত ৭ মার্চ হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান। প্রজ্ঞাপন স্থগিতের পাশাপাশি রিটটিতে রুল চাওয়া হয়। রাষ্ট্রপতি পদে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর এই পদে তাঁকে যোগ্য ঘোষণা করে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি জারি করা প্রজ্ঞাপন কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, জানতে নির্বাচন কমিশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের প্রতি রুল চান রিটকারী।
আদেশের পর আইনজীবী এম এ আজিজ খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘রিটটি শুনানির সময় বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি আহমেদ সোহেল জানান, তিনি প্রায় পাঁচ বছর দুদকের আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনও দুদকের সাবেক কমিশনার। যে কারণে তিনি রিটটি শুনতে বিব্রত বোধ করেন। পরে আদালত রিট আবেদনটি প্রধান বিচারপতির দপ্তরে পাঠানোর আদেশ দেন।
এখন প্রধান বিচারপতি রিটটি যে বেঞ্চে শুনানির জন্য দিবেন সে বেঞ্চেই শুনানি হবে।’
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনে গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. সাহাবুদ্দিন। মো. আবদুল হামিদের উত্তরসূরি হিসেবে তিনি হবেন বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি। আগামী ২৩ এপ্রিল বর্তমান রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষে মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদের দায়িত্ব নিবেন।