<p>প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সফরে আমন্ত্রণ জানাতে আসছেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিশেষ এয়ারক্রাফটে আগামী ৭ ডিসেম্বর ঢাকায় আসছেন। পরদিন তিনি নয়াদিল্লি ফিরে যাবেন।</p> <p>সফরকালে সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ভারত সফরসহ দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন। আগামী ২৬ জানুয়ারি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশ নেওয়ার বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে।</p> <p>এদিকে আমাদের সিলেট অফিস জানায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেটে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের সফরে আসার কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। ভারতীয় পররাষ্ট্রসচিব কী বার্তা নিয়ে আসেন তারপর জানা যাবে।’</p> <p>এদিকে বাংলাদেশের বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আগামী ১৫ ডিসেম্বর ঢাকায় আসছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এর আগে গত মার্চে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সফরে আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই বছরে প্রতিবেশী ভারতের সরকারপ্রধান ও রাষ্ট্রপ্রধানের সফর এটিই প্রথম।</p> <p><strong>ঢাকা-দিল্লি জোরালো সম্পর্কের প্রতিফলন মৈত্রী দিবস</strong></p> <p>বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের জোরালো ও গভীর সম্পর্ক আগামী ৬ ডিসেম্বর মৈত্রী দিবস পালনের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লিতে ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী মৈত্রী দিবস উদযাপনের বিষয়টি জানান।</p> <p>অরিন্দম বাগচী বলেন, বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও ১৮টি দেশে মৈত্রী দিবস পালিত হবে। দেশগুলো হলো—বেলজিয়াম, কানাডা, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, রাশিয়া, কাতার, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, জাপান, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্র।</p> <p>অরিন্দম বাগচী আরো বলেন, গত মার্চে বাংলাদেশের জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের সময়ই ৬ ডিসেম্বর মৈত্রী দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ পুরোপুরি মুক্ত হওয়ার ১০ দিন আগে ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকারী প্রথম দেশ হলো ভারত।</p>