শহরের মধ্যে ডোবা। না আছে ড্রেনেজ ব্যবস্থা, পয়োনিষ্কাশন ও সুপেয় পানির সুবিধা। তার পরও তারা খুলনা সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা, ভোটের বাজারে তাদের কদর আছে।
মহানগরীর মুজগুন্নি মহাসড়ক, শহীদ আবু নাসের হাসপাতাল পেরিয়ে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাস্তুহারা কলোনি।
শহরের মধ্যে ডোবা। না আছে ড্রেনেজ ব্যবস্থা, পয়োনিষ্কাশন ও সুপেয় পানির সুবিধা। তার পরও তারা খুলনা সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা, ভোটের বাজারে তাদের কদর আছে।
মহানগরীর মুজগুন্নি মহাসড়ক, শহীদ আবু নাসের হাসপাতাল পেরিয়ে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাস্তুহারা কলোনি।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, বাস্তুহারা কলোনির দুই পাশে জমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি হয়েছে। কলোনির পাশে ৪০ থেকে ৫০ ফুট প্রশস্ত খাল রক্ষণাবেক্ষণ হয় না।
বাস্তুহারার ১১ নম্বর সড়কের বাসিন্দা ফাতেমা বেগম (৪২) বলেন, ‘তিন-চার বছর ধরে এই অবস্থায় আছি। ঘরের সিঁড়ি থেকে পানি নামে না।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত হাসান সুমন বলেন, ‘আমাদের রাস্তায় আড়াই শ পরিবার বাস করে। এভাবে মানুষ থাকতে পারে না। এখানে প্রতি তিন পরিবার একটি টয়লেট ব্যবহার করে। সেখানে যেতে হাঁটুপানি ভাঙতে হয়। কিন্তু কেউ কোনো খোঁজ নেয় না।’
খাদিজা বেগম (৩৫) বলেন, ‘একদিন ছোট বাচ্চা নিয়ে পড়ে গিয়েছিলাম। চর্মরোগ ভালো হচ্ছে না। এভাবে বেঁচে থাকা যায় না।’
১২ নম্বর সড়কের মো. নাসির উদ্দিন (৪৮) বলেন, ‘দুই মাস কোনোভাবে শুকনা থাকে; তারপর যা তাই। কষ্ট দেখার কেউ নেই। অথচ রাস্তুাগুলো উঁচু করে ড্রেন নির্মাণ এবং খালগুলো পরিষ্কার করলে এ সমস্যা থাকে না।’ একই সুরে কথা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দা আ. লতিফ, দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
জলাবদ্ধতার কথা স্বীকার করেন খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো. আব্দুল আজিজ।
তিনি বলেন, পাইলিং বা ড্রেন ভরাটের কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। ড্রেনগুলো নতুন করে সংস্কার করে পানি ধারণ ক্ষমতা বাড়ানোসহ বিভিন্ন রকম পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্য জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিষ্কাশনব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য ১৪৩ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে সমস্যা নিরসন হবে।
সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এমডি মাহফুজুর রহমান লিটন বলেন, ‘করোনার কারণে ওই এলাকায় ড্রেন নির্মাণ ও সড়ক উন্নয়ন কাজ বিলম্বিত হয়েছে। এরই মধ্যে দুটি সড়কের দরপত্র হয়েছে। আমি এসব কাজের বিষয়ে আধাসরকারি (ডিও) চিঠি দিয়েছি। এসব কাজ বাস্তবায়িত হলে মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।’
সম্পর্কিত খবর
ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ চলাকালে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত ও হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি বেঁচে যাওয়া শিশুদের পরিচয় ও গোপনীয়তা রক্ষা এবং দায়িত্বশীলভাবে সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ জানিয়েছে সংস্থাটি। গতকাল মঙ্গলবার শোক প্রকাশ করে ইউনিসেফ বাংলাদেশে তাদের ফেসবুক পেজে একটি বিবৃতি পোস্ট করে। বিবৃতিতে বলা হয়, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় জাতিসংঘের পতাকা অর্ধনমিত রেখে জাতির সঙ্গে শোক দিবস পালন করছে ইউনিসেফ।
আহতদের দ্রুত ও সম্পূর্ণ সুস্থতা কামনা করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় অনেক প্রাণহানি হয়েছে, যার মধ্যে বেশির ভাগই শিশু। আহত হয়েছেন আরো অনেকে। আমরা আমাদের গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি সেই সব পরিবারের সদস্যদের প্রতি, যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন।’ বিবৃতিতে আরো বলা হয়, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
মা সমিরন বেগম মারা গেছেন প্রায় ১৫ বছর আগে। একমাত্র ভাই থাকেন প্রবাসে। বাবা অসুস্থ। একমাত্র বোনের বিয়ে হয়ে গেছে।
শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন মাসুকা (৪০)। বিমান দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছিলেন।
রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর উত্সুক জনতা ঘটনাস্থল ত্যাগ না করায় উদ্ধারকাজে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। একদল উত্সুক জনতার সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি ও বাদানুবাদের সৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছে আইএসপিআর। গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানিয়েছে আইএসপিআর।
আইএসপিআর জানায়, গত সোমবার দুপুর আনুমানিক ১টা ১৮ মিনিটে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ী এলাকায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়।
উদ্ধার কার্যক্রম চলাকালে দুর্ঘটনাস্থলে উত্সুক জনতার ব্যাপক ভিড় দেখা দেয়, যা ইভাকুয়েশন ও রেসকিউ কার্যক্রমকে বারবার ব্যাহত করে।
আইএসপিআর আরো জানায়, উদ্ধার কার্যক্রম চলাকালে বিকেলের দিকে বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও কিছু উত্সুক জনতা ঘটনাস্থল ত্যাগ না করায় উদ্ধারকাজে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়।
ফলে একদল উত্সুক জনতার সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি ও বাদানুবাদের সৃষ্টি হয়, যা এক পর্যায়ে একটি অনভিপ্রেত ঘটনার অবতারণা করে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সব সময় জনগণের পাশে থেকে পেশাদারি ও সর্বোচ্চ দায়িত্ববোধের সঙ্গে কর্তব্য পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
রাজধানীর শেওড়াপাড়ার একটি চারতলা আবাসিক ভবনের চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাটে আগুন লেগে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খবর পেয়ে আধাঘণ্টার মধ্যে তা নিয়ন্ত্রণে এনেছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ১৪ মিনিটে দক্ষিণ শেওড়াপাড়ার ৫৩২ নম্বর ভবনের আগুনের তথ্য পায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৬টা ৪৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।