<p>গহিন জঙ্গলে গর্তের মধ্যে বাস করে সজারু। তবে পানছড়ি উপজেলার বড় সাঁওতালপাড়ায় মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছে একটি সজারু। একেবারে পোষমানা প্রাণী যেন। পাহাড়ি এলাকায় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের কাছে অনেক নামে পরিচিত এই সজারু। চাকমা সম্প্রদায় একে ডাকে খুদুক, মারমা সম্প্রদায় ডাকে প্রু। ত্রিপুরায় মাসুংদুই আর সাঁওতাল সম্প্রদায়ের কাছে এটি ঝিন্ক নামে পরিচিত।</p> <p>সজারুর পুরো শরীরজুড়ে কাঁটা। বর্তমানে এটি বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী। বেশির ভাগ সজারু বাদামি, ছাই কিংবা সাদা রঙের। মিশ্র রঙেরও রয়েছে। বাংলাদেশে ২০১২ সালের বন্য প্রাণী আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।</p> <p>বড় সাঁওতালপাড়ায় গিয়ে দেখা গেছে, সামাই সাঁওতালের বাড়ির এপার-ওপার দৌঁড়ে বেড়াচ্ছে সজারুর ছানাটি। কেউ চলার পথে বাধা দিলে পুরো শরীরের কাঁটাগুলো মেলে ধরে।</p> <p>সামাই সাঁওতালের ছেলে বর্ষ সাঁওতাল জানান, যেকোনো ধরনের খাবার দিলেই প্রাণীটি খায়। তবে বাঁশকুড়ুল, ভাত, দুধ বেশি পছন্দ করে।</p> <p>সামাই সাঁওতালের স্ত্রী জবা জানান, মাস তিনেক আগে জঙ্গলে তরিতরকারি আহরণে গিয়ে তিনি সজারুর ছানাটিকে পানিতে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পানি থেকে তুলে বাড়িতে নিয়ে আসেন। ছোট্ট সজারুটি দিনে দিনে বড় হয়ে উঠছে। ঘরের এক কোণে বিছিয়ে দেওয়া খড়ে মন চাইলে ঘুমায়। তবে বেশির ভাগ সময় পুরো বাড়িজুড়ে ঘুরে বেড়ায়।</p>