শীতকারি শব্দের অর্থ শিস দেওয়ার মতো শব্দ করে শীতল বাতাস গ্রহণ করা। গুটিকয়েক প্রাণায়ামের মধ্যে এই শীতকারি প্রাণায়ামে নাকের পরিবর্তে মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়া হয়। অভ্যাসের সময় গুঞ্জনরত মৌমাছির মতো শব্দ করতে হয়
পদ্ধতি
♦ ম্যাটের ওপরে সোজা হয়ে পা মুড়ে বসুন। মাথা ও ঘাড় আরামদায়কভাবে সোজা রাখুন।
চোখ বন্ধ করে এই অবস্থানে কিছুক্ষণ বসুন। স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিন।
♦ এবারে এমনভাবে ঠোঁট ফাঁক করুন, যেন দাঁত দেখা যায়। দুই পাটি দাঁতের মধ্যে কিছুটা ফাঁক রাখুন, আরামদায়কভাবে জিব থাকুক মুখের মধ্যে।
উত্তেজিত না হয়ে শান্ত থেকে চোখ বন্ধ রাখুন।
♦ ধীরে ধীরে মুখ দিয়ে শ্বাস টানুন, যেন হিসহিস শব্দ হয়। মুখের ভেতর উল্লেখযোগ্যভাবে শীতল হয়ে যাচ্ছে অনুভব করতে পারবেন।
♦ শ্বাস টেনে নিয়ে ঠোঁট চেপে মুখ বন্ধ করুন।
এই অবস্থানে কয়েক সেকেন্ড শ্বাস ধরে রাখুন। এবারে নাক দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন। এক রাউন্ড সম্পূর্ণ হলো। এভাবে সাত রাউন্ড অভ্যাস করতে হবে। অভ্যাস হয়ে গেলে কিছুক্ষণ চোখ বুজে বসে স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিন।
♦ এই অবস্থায় অনুভব করতে পারবেন মুখের ভেতর ও সমস্ত শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। চোখ খোলার আগে শান্তভাবে এই শীতলতা অনুভব করুন।
সাবধানতা
শীতকালে বা ঠাণ্ডার দেশে এই প্রাণায়াম করা ঠিক নয়। রক্তচাপ কম থাকলে, নিঃশ্বাসের কষ্ট থাকলে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যে এই প্রাণায়াম নিষিদ্ধ।
উপকারিতা
শীতকারি অভ্যাস করলে শরীরের নানা পেশির আরাম হয় ও টেনশন কমে। আবার ঘুমের আগে অভ্যাস করলে ঘুমের ওষুধের মতো কাজ করে। শরীরের কোষকলাকে পুনরুজ্জীবিত করার পাশাপাশি খিদে-তেষ্টার বোধ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এই প্রাণায়াম। তাই বারবার খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা কমে এবং মানসিক সন্তুষ্টি পাওয়া যায়। নিয়মিত অভ্যাসে আরো কিছু বাড়তি উপকার পাওয়া যায়, যেমন রক্তচাপ ও অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণে থাকার পাশাপাশি দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্যও ভালো হয়।