ঢাকা, শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫
২৮ আষাঢ় ১৪৩২, ১৬ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫
২৮ আষাঢ় ১৪৩২, ১৬ মহররম ১৪৪৭
যোগাভ্যাস

শীতকারি প্রাণায়াম

notdefined
notdefined
শেয়ার
শীতকারি প্রাণায়াম

শীতকারি শব্দের অর্থ শিস দেওয়ার মতো শব্দ করে শীতল বাতাস গ্রহণ করা। গুটিকয়েক প্রাণায়ামের মধ্যে এই শীতকারি প্রাণায়ামে নাকের পরিবর্তে মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়া হয়। অভ্যাসের সময় গুঞ্জনরত মৌমাছির মতো শব্দ করতে হয়

পদ্ধতি

♦ ম্যাটের ওপরে সোজা হয়ে পা মুড়ে বসুন। মাথা ও ঘাড় আরামদায়কভাবে সোজা রাখুন।

চোখ বন্ধ করে এই অবস্থানে কিছুক্ষণ বসুন। স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিন।

♦ এবারে এমনভাবে ঠোঁট ফাঁক করুন, যেন দাঁত দেখা যায়। দুই পাটি দাঁতের মধ্যে কিছুটা ফাঁক রাখুন, আরামদায়কভাবে জিব থাকুক মুখের মধ্যে।

উত্তেজিত না হয়ে শান্ত থেকে চোখ বন্ধ রাখুন।

♦ ধীরে ধীরে মুখ দিয়ে শ্বাস টানুন, যেন হিসহিস শব্দ হয়। মুখের ভেতর উল্লেখযোগ্যভাবে শীতল হয়ে যাচ্ছে অনুভব করতে পারবেন।

♦ শ্বাস টেনে নিয়ে ঠোঁট চেপে মুখ বন্ধ করুন।

এই অবস্থানে কয়েক সেকেন্ড শ্বাস ধরে রাখুন। এবারে নাক দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন। এক রাউন্ড সম্পূর্ণ হলো। এভাবে সাত রাউন্ড অভ্যাস করতে হবে। অভ্যাস হয়ে গেলে কিছুক্ষণ চোখ বুজে বসে স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিন।

♦ এই অবস্থায় অনুভব করতে পারবেন মুখের ভেতর ও সমস্ত শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। চোখ খোলার আগে শান্তভাবে এই শীতলতা অনুভব করুন।

সাবধানতা

শীতকালে বা ঠাণ্ডার দেশে এই প্রাণায়াম করা ঠিক নয়। রক্তচাপ কম থাকলে, নিঃশ্বাসের কষ্ট থাকলে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যে এই প্রাণায়াম নিষিদ্ধ।

উপকারিতা

শীতকারি অভ্যাস করলে শরীরের নানা পেশির আরাম হয় ও টেনশন কমে। আবার ঘুমের আগে অভ্যাস করলে ঘুমের ওষুধের মতো কাজ করে। শরীরের কোষকলাকে পুনরুজ্জীবিত করার পাশাপাশি খিদে-তেষ্টার বোধ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এই প্রাণায়াম। তাই বারবার খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা কমে এবং মানসিক সন্তুষ্টি পাওয়া যায়। নিয়মিত অভ্যাসে আরো কিছু বাড়তি উপকার পাওয়া যায়, যেমন রক্তচাপ ও অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণে থাকার পাশাপাশি দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্যও ভালো হয়।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মানববন্ধন

শেয়ার
মানববন্ধন
শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের দাবিতে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন করে তামাকবিরোধী সংগঠন। ছবি : কালের কণ্ঠ
মন্তব্য

ডেঙ্গু রোগী

শেয়ার
ডেঙ্গু রোগী
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগী বেড়েই চলেছে। গতকাল রাজধানীর মহাখালীতে ডিএনসিসি হাসপাতালে। ছবি : কালের কণ্ঠ
মন্তব্য

চট্টগ্রামে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিদর্শন করলেন নৌবাহিনী প্রধান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
চট্টগ্রামে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিদর্শন করলেন নৌবাহিনী প্রধান

জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নৌ সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহণ অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের কার্যক্রম সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করেছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, পরিদর্শনকালে নৌবাহিনী প্রধান এনসিটি-২ জেটি এলাকায় কনটেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রম, এপ্রেইস পয়েন্টে কনটেইনার এক্সামিন কার্যক্রম এবং সিটিএমএস ভবনে টার্মিনাল অপারেশন সিস্টেম কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

এ ছাড়া তিনি এনসিটিতে কর্মরত চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেডের কর্মকর্তা ও সদস্যদের এবং বন্দরের কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। এ সময় চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের কমান্ডার, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেডের এমডিসহ সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আইএসপিআর আরো জানায়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ গত সোমবার চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেডের কাছে চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব দেয়। চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেড এনসিটির দায়িত্ব নেওয়ার ফলে বন্দরের কর্মকাণ্ডে শৃঙ্খলা, সময়ানুবর্তিতা ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বন্দরের কার্যক্রমকে আরো বেগবান করবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন নৌবাহিনী প্রধান ।

সঠিকভাবে বন্দর পরিচালনার মাধ্যমে দ্রুত পণ্য ওঠানামা ও পরিবহন নিশ্চিত করা হলে দেশের আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া গতিশীল হবে, যা দেশের অর্থনীতিতে সরাসরি ভূমিকা রাখবে। এ ছাড়া দক্ষ ব্যবস্থাপনায় বন্দরের সামগ্রিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেলে তা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করবে, যা জাতীয় অর্থনীতির অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে সবাই আশা ব্যক্ত করেন।

মন্তব্য

ঢাবি ক্লাবে ‘ফ্যাসিবাদী’ আওয়ামী শিক্ষকদের পুনর্বাসনের প্রতিবাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
ঢাবি ক্লাবে ‘ফ্যাসিবাদী’ আওয়ামী শিক্ষকদের পুনর্বাসনের প্রতিবাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্লাবে আওয়ামী লীগপন্থী নীল দলের শিক্ষকদের পুনর্বাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। গতকাল বুধবার দুপুরে ঢাবি ক্লাব প্রাঙ্গণে এই বিক্ষোভ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা স্বৈরাচারের গদিতে আগুন জ্বালাও একসাথে, সাদা-নীল ভাগাভাগি, এই ক্যাম্পাসে হবে না, ফ্যাসিবাদের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান, আওয়ামী লীগের চামচারা, হুঁশিয়ার সাবধান, গণহত্যার মদদদাতারা, হুঁশিয়ার সাবধান, ঢাবি ক্লাবে হবে না, দালালদের ঠিকানা ইত্যাদি স্লোগান দেন।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী দোসর নীল দলের শিক্ষকদের পুনর্বাসন করা হয়েছে।

এর সঙ্গে সাদা দলের শিক্ষকরাও জড়িত। তাঁরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে ঢাবি ক্লাব কমিটি বাতিল করে ক্লাব থেকে ফ্যাসিবাদী দোসরদের উত্খাতের দাবি জানান।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ বি জুবায়ের বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর না পেরোতেই ঢাবি ক্লাবে খুনি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। ঢাবি ক্লাবের ১৫ সদস্যের কমিটির সাতজনই নীল দলের সদস্য, যা সাদা দলের শিক্ষকদের জন্য লজ্জাজনক।

যারা খুনি হাসিনাকে বিভিন্ন ন্যারেটিভ তৈরি করে ফ্যাসিবাদী হতে সাহায্য করেছে, তাদের সাদা দল পুনর্বাসন করে জুলাইয়ের আহত ও শহীদদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এর পেছনে কী স্বার্থ জড়িত, তা খতিয়ে দেখার দাবি জানাই আমরা।

অন্য শিক্ষার্থী আশিক খান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্রলীগের দ্বারা সাধারণ শিক্ষার্থী নির্যাতনের বৈধতা দিয়েছিলেন নীল দলের শিক্ষকরা। গত বছরের ৫ আগস্টের পরও নীল দলের শিক্ষকরা ঢাবি ক্লাবে বিপ্লব বেহাত করতে ষড়যন্ত্র করেছিলেন।

এখন সাদা দলের মদদে এসব ফ্যাসিবাদী শিক্ষককে ঢাবি ক্লাবের কমিটিতে পুনর্বাসন করা হচ্ছে।

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ