<p>নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটিটিসি)। গত বৃহস্পতিবার রাতে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে গ্রেপ্তারকৃত চার জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল শুক্রবার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তাঁদের আদালতে তোলা হলে শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারী এ আদেশ দেন।</p> <p>গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন শাহীন আলম ওরফে ওমর (২১), সাইফুল ইসলাম (১৮), হানিফুজ্জামান ওরফে বিপ্লব (১৮) ও আল মামুন (২০)। তাঁদের কাছ থেকে তিনটি চাপাতিসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ উপকরণ জব্দ করা হয় বলে জানিয়েছেন সিটিটিসিপ্রধান মনিরুল ইসলাম।</p> <p>গতকাল শুক্রবার সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য। তাঁরা আনসার আল ইসলামের আদর্শ অনুসারে কথিত জিহাদি গ্রুপের সদস্য।</p> <p>সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গ্রেপ্তারকৃতরা শারীরিক ও জিহাদি প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে কথিত হিজরত করে দেশের বিভিন্ন জেলার সদস্যদের নিয়ে সুন্দরবনের করমজল এলাকায় একটি জঙ্গি প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে অবস্থান নেন। সেখানে এক সপ্তাহের প্রশিক্ষণ নিয়ে তাঁরা বান্দরবান জেলার আলীকদম এলাকায় আরো প্রায় এক মাস জঙ্গি প্রশিক্ষণ নেন। তাঁরা কথিত জিহাদের প্রস্তুতির লক্ষ্যে শারীরিক প্রশিক্ষণ, চাপাতি পরিচালনা ও অন্যান্য সাংগঠনিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এ ছাড়া তাঁরা দেশের বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায়ও প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ফেসবুক মেসেঞ্জার চ্যাট গ্রুপের মাধ্যমে একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেশে নাশকতার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেছেন।</p> <p>গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে শাহীন ও মামুনের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায়। সাইফুল ইসলামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের নিকলী এবং হানিফুজ্জামানের বাড়ি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায়। এঁদের মধ্যে আনসার আল ইসলাম ও নব্য জেএমবিকে এক করতে চেয়েছিলেন শাহীন আলম। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। সাইফুল মাদরাসার ছাত্র।</p> <p>সিটিটিসিপ্রধান আরো জানান, দুই সংগঠনকে এক করার উদ্দেশ্যে উভয় পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে আসছিলেন শাহীন আলম। তবে এ প্রচেষ্টা বেশি দূর এগোনোর আগেই তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তবে এঁদের প্রশিক্ষণদাতা হিসেবে শায়খ নামের একজনের তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁর সঙ্গে আনসার আল ইসলামের নেতা সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হওয়া সাবেক মেজর জিয়ার কোনো সম্পর্ক রয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সিটিটিসিপ্রধান বলেন, ‘এই কথিত শায়খকে ধরার চেষ্টা চলছে।’</p>