<p>বয়স আর উচ্চতা অনুযায়ী ওজন হলে সব ঠিক আছে। সবারই যে এমন অবস্থা তা কিন্তু নয়, বয়স আর উচ্চতাকে ছাপিয়ে গেছে শরীরের ওজন। এ নিয়ে শেষ নেই দুশ্চিন্তার। ওজন কমানোর জন্য কত কিছুই না করছে। এর পরও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো যাচ্ছে না। যাবেই বা কিভাবে? শরীরের ওজন কমানোর চিন্তা অথচ বাস্তবে কাজ করা হচ্ছে ঠিক উল্টোটা। এমন হলে ওজন কমা তো দূরের কথা বরং ওজন বেড়েই চলবে, এটাই স্বাভাবিক।</p> <p> </p> <p><strong>স্বাস্থ্যকর</strong> <strong>খাবার</strong> <strong>বেশি</strong> <strong>খাওয়া</strong></p> <p>স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন বাদাম, জলপাই তেলে রান্না খাবার, রুটি, নাশপাতি জাতীয় খাবার বেশি খেলে ওজন কমানো ইচ্ছার বাস্তব রূপটা দেখা কঠিন। এগুলো খাওয়া ভালো, কিন্তু কতটা খাওয়া হচ্ছে সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। গমের আটার রুটি খাওয়া ভালো, কিন্তু মনে রাখতে হবে এই রুটিতে ক্যালরির পরিমাণ অনেক বেশি। ১০০ গ্রাম রুটিতে ক্যালরির পরিমাণ ২৪৭।</p> <p><strong>সকালের</strong> <strong>নাশতা</strong> <strong>না</strong> <strong>খাওয়া</strong></p> <p>অনেকেই শরীরের ওজন কমানোর জন্য সকালের নাশতা না খাওয়াকে আদর্শ মনে করে। কিন্তু এটা আসলে ঠিক নয়। সকালের নাশতা না খেলে শরীরের যন্ত্রাংশ মনে করে তাদের ক্ষুধার্ত থাকতে হবে। সে কারণে বেশি করে চর্বি ধরে রাখে। মনে রাখতে হবে যারা নিয়মিত সকালের নাশতা খায় তারা কিন্তু অনেক বেশি ওজন হারায়। সুতরাং ওজন কমানোর জন্য সকালের নাশতা বাদ নয়, বরং নিয়মিত খেতে হবে। তবে পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।</p> <p><strong>দাঁড়িয়ে</strong> <strong>দাঁড়িয়ে</strong> <strong>খাবার</strong> <strong>গ্রহণ</strong></p> <p>অনেকেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খাবার খায়। এটা মোটেও স্বাস্থ্যকর উপায় নয়, বরং অস্বাস্থ্যকর। খাবার গ্রহণের সবচেয়ে ভালো উপায় একটা নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে নেওয়া। সেই সঙ্গে বসে খাবার গ্রহণের বিষয়টিও নিশ্চিত করা উচিত।</p> <p><strong>পরিমাণমতো</strong> <strong>ঘুমানো</strong></p> <p>অনেকে মনে করে বেশি ঘুমালে স্বাস্থ্য বেড়ে যায়। ওজন কমানোর জন্য ঘুমানো প্রয়োজন, তবে পরিমাণমতো। প্রতিদিন অন্তত সাত ঘণ্টা ঘুমের বিষয়টি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। ঘুমের ব্যাপারে অনীহা দেখালে শরীরের ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণের সামর্থ্যে ঘাটতি দেখা দেয়।</p>